আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

আমরা অশান্তিতে আছি, আপনারা?

রবিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০১৫, দুপুর ০৩:৫৫

দিলরুবা সরমিন

এই প্রশ্নের উত্তর যে কার জানা আছে সেটিও আমার জানা নাই ।

হঠাৎ করেই ৫ জানুয়ারি ২০১৫ থেকে দেশে এক অশান্তি শুরু হয়েছে। বিএনপি সরকার পতন চায়। চাইতেই পারে। এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু চাওয়া পূরণের পথটি হতে হবে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে। সেই পথে যেই হাঁটবে সে বিজয়ী হবেই। এটাই নিয়ম ।

বিএনপি ৫ জানুয়ারি ২০১৪ এর নির্বাচন কেন করেনি সেই প্রশ্ন এখন আমি তুলতেও চাই না। নির্বাচন করলে ফল ভাল হত নাকি খারাপ হত সেই প্রসঙ্গেও যাব না । আমার নিজের অশান্তি, অস্বস্তি, ভয়, আতঙ্কের আলোকে শুধু এটাই বলতে পারি – জন পরিবহনে আগুন দেয়া, পেট্রোল বোমা ছোঁড়া, সাধারন মানুষ ও অবলা প্রাণী পুড়িয়ে মারা কোন রাজার নীতি অর্থাৎ রাজনীতি হতে পারে না ।

এই সব অঘটন কেবল সাধারণ মানুষের উপরই ঘটে চলেছে। আর রাষ্ট্রীয় সম্পদের বিনাশ? সেও তো আমাদের । কারো উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সম্পদ বা সম্পত্তি নয়। তাহলে বিষয়টি আসলে কী দাঁড়ায় ?

মানুষ মরছে – সাধারণ। সম্পদ ধ্বংস হচ্ছে জনগণের। না কোন রাজনীতিবিদের ব্যক্তিগত বা সম্পদ গত কোন ক্ষয়-ক্ষতি হচ্ছে না । সেই ক্ষেত্রে কেনই বা যারা গদিতে আসীন তারা গদি ছাড়বেন বা যারা যাতে পারেননি বা বহুদূরে আছেন তারাই বা এইসব অশান্তিদায়ক কাজকর্ম বন্ধ করবেন? এই দুই গোত্রের আসলেই কী কোন ক্ষতি হচ্ছে ?

রাজনীতি আসলেই রাজারই নীতি । এখানে প্রজার কোন সম্পৃক্ততা কোনদিন ছিল না–আজো নাই । আমরা হলাম প্রজা। আগেকার দিনে রাজাদেরকে উপঢৌকন দিতে হত , জমিদারদেরকে খাজনা দিতে হত আর আজকাল সভ্য ভাষায় বলা হয় “ট্যাক্স “। আধুনিক যুগের সুশীল শব্দ । সাথে আবার যোগ হয়েছে সব কিছুতেই “ভ্যাট” ও।

কিন্তু যে নামেই বলি না কেন আমাদের রাজাদেরকে এই উপঢৌকন /খাজনা/  ট্যাক্স/ভ্যাট দিতে হলে আমাদের তো প্রথমেই বেঁচে থাকতে হবে,  কিছু আয় উপার্জন করতে হবে । নইলে কার টাকায়ই বা আরাম আয়েশ করবেন বা কষ্ট করে রাজনীতি করবেন ? আর এই যে ধ্বংস লীলায় আপনারা লিপ্ত হয়েছেন এর ফলে আসলে লাভের লাভ কার হচ্ছে ?

থামতে হবে – অনতিবিলম্বে আপনাদের এই ধবংসলীলা থামাতে হবে । নইলে সামনে আপনাদের ঘোর অমানিশা। জনগণ কীভাবে আপনাদের এই হত্যা আর ধবংসলীলার উত্তর দিবে সেটি আপনাদের একটু হলেও আঁচ করা উচিৎ। আজকাল আমরা আর কোন অবস্থাতেই এই সব অহেতুক অবরোধ আর হরতালে সাড়া দিচ্ছি না । শুধু আমরা কেন – আপনারা যারা এই সব কর্মসূচী দিচ্ছেন তাঁদের দলীয় লোকজন ও তো দিচ্ছে না । তাহলে কেন এই অহেতুক গোঁয়ার্তুমি যার কোন সুফল জনগণ তো পাচ্ছেই না এমন কি আপনারাও পাচ্ছেন না। বরঞ্চ দিনে দিনে যে হত্যা ও ধ্বংসের দায়ভার আপনাদের উপরে বর্তাচ্ছে তার বোঝা বহন করার মত কাঁধের জোর আপনাদের আছে তো ? থাকলে ভাল, নইলে প্রস্তুত করুন।

লেখক: আইনজীবী ও মানবাধিকারকর্মী

মন্তব্য করুন


 

Link copied