আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

“বিএনপি-জামায়াত” নাকি “জামায়াত-বিএনপি”?

মঙ্গলবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, দুপুর ০২:৫০

বিজন সরকার

সাধারণত বিএনপি-জামায়াত শব্দ দুটি যখন ব্যবহার হয়, তখন আমরা বুঝি যে বিএনপি-জামায়াত এই দুটি সত্ত্বার মধ্যে বিএনপির প্রভাবই বেশি, জামায়াতের প্রভাব কম। আমরা ধরে নেই যে, বিএনপি পথ প্রদর্শক, জামায়াতে ইসলাম বিএনপির পথ অনুসারী। সোজা কথায়, বিএনপি-জামায়াত'কে যদি আমরা কোনও গাড়ির মতো চিন্তা করি, এই ক্ষেত্রে বিএনপিকে চালক এবং জামায়াতে ইসলামকে যাত্রী ধরে নেওয়া যায়। তবে আজকের ২০ দলীয় জোটের রাজনৈতিক বাস্তবতা থেকে প্রশ্ন উঠছে, বিএনপি জামায়াতে ইসলামীকে পরিচালনা করছে না, নাকি জামায়াত চালাচ্ছে বিএনপিকে।

সেনা ছাউনিতে জন্ম নেওয়া বিএনপির আদর্শিক পুঁজির মধ্যে একটি নির্ভরশীল পুঁজি হল ধর্মীয় ও রাজনৈতিক উগ্রবাদ। জিয়াউর রহমান ধর্মীয় দলগুলিকে রাজনীতি করার সাংবিধানিক অধিকার দেওয়ার পেছনে ধর্ম নয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যই মুখ্য ছিল। ধর্ম নিরপেক্ষতার বিপক্ষের গোষ্ঠীগুলোকে রাজনৈতিক কাঠামোতে স্থান দিয়ে নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করাই ছিল জিয়াউর রহমান সরকারের মূল উদ্দেশ্য। তবে সাংগঠনিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক নানান সীমাবদ্ধতার কারণে তখনকার ধর্মীয় দলগুলির রাজনৈতিক সক্ষমতা আজকের মতো ছিল না। বিশেষ করে, একাত্তর পরবর্তী সামাজিক জীবনে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াতে ইসলামীর মতো ধর্মীয় দলগুলির অবস্থানও ছিল বেশ দুর্বল।

এরশাদবিরোধী আন্দোলনের কারণে বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র বহুলাংশে বদলে যায়। দলটি একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে। একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক চর্চার ক্ষেত্র বিএনপি পেয়ে যায়। ১৯৯১ সালে দেশ শাসন করার দায়িত্ব নেওয়ার পর দলটি গণতান্ত্রিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠতে থাকে। আস্তে আস্তে দলটি নিজের গা থেকে সামরিক চরিত্রের তকমাটি ঝেড়ে ফেলে দিতে বহুলাংশে সমর্থ হয়।

যাইহোক, দলটি ধর্মীয় উগ্রতাকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করতে থাকে। অনেক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ মনে করেন, খালেদা জিয়ার প্রথম শাসনামল ছিল বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বীজ বপনের সময়। সরকারের মদদ না থাকলেও উগ্র গোষ্ঠীর সম্ভাব্য উত্থানকে রুখতে সরকার কোনও ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। তবুও বাংলাদেশে বিএনপির শাসনামলের মধ্যে ১৯৯১-৯৬ সময়টি বহু বিচারেই ভাল ছিল।

২০০১ সালের আগে থেকেই “বিএনপি-জামায়াত” জোট দেশের রাজনৈতিক "ডিসকোর্সে” স্থান করে নেয়। চার দলীয় জোট গঠন করার সময় সত্যিকার অর্থেই বিএনপির নেতৃত্বে জোট ছিল। জোটে ছিল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামিক ঐক্যজোট এবং জাতীয় পার্টি (মঞ্জুর)। ২০০১ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির প্রভাবেই জোটটি পরিচালিত হত। দলটির একটি শক্তিশালী স্থায়ী কমিটি ছিল। সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াটিতে স্থায়ী কমিটির নেতাদের ভূমিকা পালন করার বেশ সুযোগ ছিল। এমনকি দলের সাংগঠনিক কমিটিসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনে অনেক প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদের উপস্থিতি ছিল। দলটি নিজের স্বকীয়তা বজায় রেখে বেশ উদার গণতান্ত্রিক রাজনীতি চর্চা করতে সমর্থ হয়।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ২০০১ সালের নির্বাচনের পরে বিএনপির নেতৃত্বে গঠিত নতুন কোয়ালিশন কাঠামোটি দলটির ভেতরকার বিভিন্ন গোষ্ঠীর আদর্শিক মিলনস্থলের কেন্দ্রে আঘাত হানে। ফলশ্রুতিতে, দলটির উগ্র ডানপন্থী মৌলবাদী অপশক্তি জামায়াতে ইসলামীর দ্বারা ক্রমশ প্রভাবান্বিত হতে থাকে। দলটি ক্রমশই ডানপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়ে। এতে বিএনপির আদর্শিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের পরিবর্তন হয়। বিএনপির এই পরিবর্তনের ফলে চার দলীয় জোট সরকারের ওপর প্রভাব পড়ে। আর সরকারের প্রভাব পড়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন অণুষঙ্গে। দলটির ভেতর উদারপন্থীরা প্রান্তিক পর্যায়ে চলে যায় এবং উগ্রবাদীরা সামনের সারিতে চলে আসে। বিএনপি ক্রমশই পদচ্যুত হয়ে পড়ে। বিএনপি নিজস্ব রাজনৈতিক এজেন্ডা বাদ দিয়ে জোটসঙ্গী জামায়াতে ইসলামীর আদর্শকে বাস্তবায়নের দিকে মনোনিবেশ করে।

জামায়াতে ইসলামীর এক সভায় দেলোয়ার হোসেন সাইদি বিএনপির ভবিষ্যৎ কাণ্ডারী তারেক রহমানের উপস্থিতিতে বিএনপি–জামায়াতে ইসলামীকে একই মায়ের পেটের দুই ভাই হিসেবে ঘোষণা দেয়। ২০০১ সালের পর জামায়াতের কেন্দ্রীয় যে কোনও অনুষ্ঠানে তারেক রহমান সবসময় উপস্থিত থাকেন । জামাতের কাছে দৃশ্যত জোটের প্রধান ছিল খালেদা জিয়া। কিন্তু কার্যত তারেক রহমানই ছিল জামায়াতের একমাত্র টার্গেট। জামায়াতের কারণে সারা দেশব্যাপী জঙ্গি রাজনীতির উত্থান ঘটলেও তারেক রহমানের ভয়ে সরকার তেমন কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেনি। এতে বিএনপির অনেক বড় মাপের নেতারাও জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিতে উৎসাহিত হয়ে পড়ে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলসহ সকল স্তরের জনগণকে বিএনপির ভেতর জামায়াতে ইসলামীর প্রভাব নিয়ে সোচ্চার হতে দেখা যায়। দেশি-বিদেশি গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও বিএনপির ভেতর জামায়াতে ইসলামীর প্রভাবের কথা সুস্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা হয়।

এখানে একটি প্রশ্ন খুবই প্রাসঙ্গিক। বিএনপির আদর্শের সাথে জামায়াতে ইসলামীর আদর্শের কি সাদৃশ্য নেই? বিএনপি এবং জামায়াতের আদর্শে অনেক মিল রয়েছে। ফলে, অদূর ভবিষ্যতে বিএনপির মধ্যে যে অংশটি ধর্মীয় উগ্রবাদে বিশ্বাস করে, ক্রমশ তারা জামায়েত ইসলামে বিলীন হয়ে যাবে। এদের মধ্যে অনেকেই হয়ত বিএনপিতে থেকেই জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে কাজ করতে থাকবে। এর জন্য বিএনপির অযোগ্য নেতৃত্বও অনেকাংশে দায়ী।

আজকের রাজনৈতিক বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে জামায়াত ও বিএনপি একসাথে আন্দোলন করছে। বাংলাদেশের বর্তমান সামাজিক চরিত্রেও জামায়াতের গ্রহণযোগ্যতার ক্রমশ বৃদ্ধির প্রমাণ মিলে। বিগত স্থানীয় উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ভোট প্রাপ্তি বাড়ার চিত্রটি একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। এমনকি আগে জামায়াতে ইসলাম ও শিবিরের নেতাকর্মীরা সমাজে সাধারণ মানুষের কাছে নিজেদের পরিচয় দিতে লজ্জা পেত। এদের মধ্যে সামাজিক ভয় ছিল। আজ এরা পরিচয় দিতে গর্ববোধ করে!

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই জামায়াতের প্রতি বিএনপির অবস্থানটি আরেকবার দেশবাসীর কাছে উন্মোচন হয়। বিএনপির ভেতরে এবং বাইরে থাকা জামায়াতে ইসলামীর বান্ধব অংশটি এতই শক্তিশালী যে সম্ভাব্য রাজনৈতিক সুবিধা থাকার পরেও তারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে পরোক্ষভাবে অবস্থান নেয়। ফলে কেয়ারটেকার ইস্যুটি বিএনপির হাতছাড়া হয়ে যায়। বিএনপির তেমন নৈতিক, আদর্শিক এবং সাংগঠনিক শক্তি ছিল না যে জামায়েত ইসলামের স্বার্থের বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেবে।

একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে। ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির বাংলাদেশ সফরের সময় খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ করার কর্মসূচি থাকার পরেও জামায়েত ইসলামের হরতালের কারণে বিএনপি বেগম জিয়ার কর্মসূচি বাতিল করে। অথচ খালেদা জিয়াকে ভারত সফরের সময় যেভাবে সম্মান জানানো হয়েছিল, তা ভারতের ইতিহাসে কোনও দেশের বিরোধী দলের নেতার ক্ষেত্রে প্রথম। আজ বিএনপি এই ভুলের খেসারত হাড়ে হাড়ে টের পেলেও জামায়েত ইসলামের কারণে দলটি টুঁ শব্দ করার সাহস পাচ্ছে না।

৫ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে সারা দেশব্যাপী যে মধ্যযুগীয় তাণ্ডব হয়েছিল, তার নেতৃত্বে বিএনপির কোনও অঙ্গ সংগঠন ছিল না। ছিল ছাত্রশিবির। এই সহিংস কর্মকাণ্ডের ভেতর দিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে জামায়াত-শিবির তাদের জঙ্গিবাদী সক্ষমতা দেশবাসীকে ভাল করেই জানান দেয়।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি জোট সরকারবিরোধী আন্দোলনের যে রূপরেখা প্রণয়ন করেছে, তাতে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক স্বার্থের প্রতিফলন দেখা যায়। আন্দোলনের রূপরেখা প্রণয়নে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতৃত্বের কোনও ভূমিকা নেই। তাদের অজ্ঞাতসারেই আন্দোলন কর্মসূচি প্রণয়ন হচ্ছে।

তারেক রহমান বুঝতে পেরেছেন, যদি বর্তমান সরকারকে এই টার্ম পর্যন্ত রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে বিএনপির পরবর্তীতে রাজনীতি করাই কঠিন হয়ে পড়বে। ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন হওয়ার পরেও আর্থ সামাজিক উন্নয়নের কারণে দেশের মানুষ সরকারের বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে না। তাছাড়া বিএনপির শেষ টার্মের একটি কলঙ্কিত অতীত রয়েছে। যদি সাধারণ জনগণ সরকারের বিপক্ষে অবস্থান নিত, তাহলে তারা সরকারবিরোধী আন্দোলনের আহ্বানে রাস্তায় নেমে আসত। সরকার মামলা আর রাইফেল দিয়ে হামলা করে সাধারণ মানুষকে আটকে রাখতে পারত না। এখানে উল্লেখ করা দরকার, যে বিশেষ চারটি শক্তির কারণে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে সরকার পরিবর্তন হয়, সেই শক্তিগুলোও চাচ্ছে না যে বর্তমান নির্বাচিত সরকার পদত্যাগ করুক।

তারেক রহমানের শঙ্কিত হওয়ার পেছনে আরেকটি বড় কারণ আছে। বেগম জিয়াসহ তারেক রহমানের নিজের নামে অনেক শাস্তিযোগ্য মামলা রয়েছে। তাই সরকারকে যত দ্রুত সম্ভব ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে। আর কঠিন কাজটি যে বিএনপির পক্ষে করা সম্ভব নয় তা তারেক রহমান ভাল করেই বুঝতে পেরেছেন।

সরকারবিরোধী চলমান আন্দোলনের রূপকার তারেক রহমানের একমাত্র বিশ্বাসের জায়গাটি হচ্ছে জামায়াত ইসলাম ও ইসলামিক ছাত্রশিবির। সুবিধাবাদী বিএনপির অঙ্গ সংগঠনগুলির রাজপথের ক্ষমতা ভালভাবেই পরীক্ষিত। সরকারবিরোধী আন্দোলনে বিএনপির একমাত্র, ও কেবল একমাত্র শক্তি হল জামায়াত-শিবির। তাছাড়া জামায়েত ইসলামের ১২ জন শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডিত। সরকার পরিবর্তন ছাড়া এইসব অপরাধীদের রক্ষা করা যাবে না, এটি জামায়াত ইসলামের কাছে সুস্পষ্ট।

তারেক রহমানের নির্দেশনায় বিএনপি বাংলাদেশে যে রাজনীতি করছে, তা একশভাগই জামায়েত ইসলামের আদর্শিক ছায়ায় পরিচালিত হচ্ছে। আন্দোলনের নামে পেট্রোল বোমা মেরে সাধারণ মানুষ মারার ধারণাটি বিএনপির কোনও নেতাকর্মীর মাথায় আসার কথা নয়। এটি ফ্যাসিস্ট জামায়াতে ইসলামীর পরামর্শে তারেক রহমানের নির্দেশনায় গুলশান থেকেই পরিচালিত হচ্ছে।

তাই “বিএনপি-জামায়াত” শব্দ দুটি বর্তমান বিশ দলীয় জোটের রাজনৈতিক আদর্শকে প্রতিনিধিত্ব করে না। বরং “জামায়াত-বিএনপি” শব্দ দুটি বর্তমান বিশ দলীয় জোটের বর্তমান রাজনৈতিক আদর্শিক চেতনাকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে।

লেখক: গবেষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

ইমেইলঃ bipoly3001@yahoo.com

মন্তব্য করুন


 

Link copied