বৃহস্পতিবার ভোরে মাঝারি আকারের শিলাবৃষ্টিতে জেলার সোনাতলা, গাবতলী, সারিয়াকান্দি, ধুনট, শিবগঞ্জ, কাহালু, দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজউদ্দীন আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার ভোর আনুমানিক ৬টায় গাবতলীর আব্দুল হামিদ মরিচের জমিতে বেধে থাকা পানি কেটে দিতে গেলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ছাড়া সোনারায় গ্রামে পলাশ ও মনির নামে দুজন আহত হয়েছেন।
সোনাতলা উপজেলার কৃষক ওয়াছিম উদ্দিন বলেন, ‘আমার শত বছরের জীবনে এ রকম শিলাবৃষ্টি দেখিনি। আধঘণ্টা শিলাবৃষ্টিতে তছনছ হয়ে গেছে টিনের চালওয়ালা বাড়ি, আমের মুকুল, গম, পিঁয়াজ, রসুন, করলা, বেগুন, মরিচ, লাউ, কুমড়াসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত।’
সারিয়াকান্দি উপজেলার কৃষক আলীম মণ্ডল জানান, বৃষ্টিতে আলুর জমিতে পানি জমে গেছে। আলুতে পচন ধরার আশঙ্কা রয়েছে। মরিচের গাছগুলো মাটির সাথে মিশে কাদায় ঢেকে গেছে।
সোনাতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সালাউদ্দিন সরদার বলেন, ‘বৃষ্টিপাতের ফলে তলিয়ে গেছে সোনাতলার নিম্নাঞ্চল। আমরা মাঠপর্যায়ে কাজ শুরু করেছি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দু-এক দিন পরে বলা যাবে।’