আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল       সার্ভার ডাউন: রসিকে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি চরমে       রংপুরে ফটোসাংবাদিক ফিরোজ চৌধুরীর একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী       ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ॥ চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী       নীলফামারীতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন      

 width=
 

রংপুরে ভিন্ন কৌশলে শিবিরের নাশকতার ছক

সোমবার, ৪ মার্চ ২০১৩, দুপুর ০২:১২

নিজস্ব প্রতিবেদক :  রংপুরে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা শহর থেকে দূরে আশ্রয় নিয়ে তাদের মিশন পরিচালিত করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সেই সাথে সেখানে স্থানীয়দের নিয়ে জনশক্তি গঠন করছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্র জানিয়েছে। নগরীতে শিবির থাকলেও তারা একেবারে নিষ্প্রভ অবস্থায় কাজ করছে। রংপুরের শিবিরের কার্যক্রম পরিচালিত হত কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে। দুই বছর থেকে আবাসিক হল বন্ধ থাকায় তাদের শক্তিতে ভাঁটা পড়ে। কিছুদিন আগে জামায়াত-শিবিরের মহানগরী অফিস ভাংচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় স্থানীয় জনতা ও আওয়ামীলীগ কর্মীরা। এরপর থেকে শিবিরের অবস্থা আরো নাজুক হয়ে পড়ে। মাত্র কিছুদিন আগেও নগরীতে দাপুটে সংগঠন হিসেবে নিজেদের অবস্থান প্রকাশ করেছে। আত্মগোপনে যাওয়া শিবির নেতাকর্মীরা সাম্প্রতিক সময়ে নগরী থেকে দূরে হাজিরহাট, দমদমা, পীরগাছা, হারাগাছ, দর্শনা গ্রাম এলাকায় দলবদ্ধভাবে আক্রমন শুরু করেছে বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছে। এছাড়াও উপজেলাগুলোতেও তারা জমায়েত হয়ে নাশকতা পরিচালনা করছে। শাহবাগ আন্দোলন সম্পর্কে নেতিবাচক তথ্য সরবরাহ করে ওইসব এলাকায় নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি করে গ্রামবাসীকে উস্কে দিয়ে বিভিন্ন হামলায় অংশগ্রহণ নিশিত করছে। পীরগাছার ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ জানান, জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা ক্যম্পেইন করে নিরীহ মানুষ কে উস্কে দিচ্ছে। একই কথা বললেন হারাগাছের তামাক ব্যবসায়ী জামাল। তিনি বলেন সাধারণ গ্রামবাসীর অজ্ঞতাকে পুঁজি করে ধর্ম কে কাজে লাগিয়ে জামায়াত শিবির দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে। হাজিরহাট এলাকার নগরীতে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থী মোস্তাফিজার জানান, এইসব এলাকায় কোন জামায়াত শিবির ছিল না অথচ এখন তারা  কোথা থেকে এসে জড় হয়ে রাস্তা ব্যরিকেড ও ভাংচুর করে। কয়েকদিন আগে পুলিশের সাথে সংঘর্ষের ঘটনায় এখান থেকে বেশকিছু শিবিরকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। সাইদির রায় ঘোষণার দিন মিঠাপুকুরে পুলিশ শিবির সংঘর্ষে ৬ জন মারা যায়। দমদমা, মডার্ণ মোড়ে শিবির ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করছে বলে স্থানীয় ছাত্র জনতা জানিয়েছে। শিবিরের ঘাটী হিসেবে পরিচিত কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সংলগ্ন বালাপাড়া, কলেজপাড়া, দর্শনা মোড় এলাকা এখন শিবির শুন্য। মেস থেকে জামায়াত শিবিররা পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে বলে বিভিন্ন মেস সুত্রে জানা গেছে। এছাড়াও একটি ঘনিষ্ঠ মহল জানিয়েছে শিবিরের মহানগর শাখার নেতাকর্মীদের গ্রামের বাড়ি এলাকায় ক্যাম্পেইন করে মানুষকে উস্কে দিয়ে নাশকতা কর্মকান্ডে নামতে বাধ্য করা হচ্ছে। মিঠাপুকুরের ঘটনায় মহানগর শিবিরের মদদ রয়েছে বলে সুত্র জানায়। এছাড়াও নগরীতে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য জামায়াত শিবির অতর্কিত মিছিল বের করে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী  খন্ড খন্ড ভাবে নির্দিষ্ট স্থানে জমায়েত হয়ে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied