আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

জাপার গঠনতন্ত্র মানছেন না এরশাদ

বৃহস্পতিবার, ১২ মার্চ ২০১৫, সকাল ০৯:৩৬

গঠনতন্ত্রে নেই তারপরও ‘সমন্বয়কারী’ নামে একটি নতুন পদ সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ওই পদে একজনকে দায়িত্ব দিয়ে সাংগঠনিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এই দলীয় প্রধান।

দলের গঠনতন্ত্রে না থাকলেও সাংগঠনিক কাজের সুবিধার্থে সমন্বয়কারীর পদটি রাখা হয়েছে- দাবি করা হলেও মূলত ওই পদে দায়িত্ব পালনকারী নেতাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট এলাকায় কমিটি গঠনে অযাচিত হস্তক্ষেপসহ সংগঠনবিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগ উঠেছে।

দলীয় সূত্র জানায়, অতি সম্প্রতি উপজেলা পর্যায়ে সমন্বয়কারীর দায়িত্বে থাকা বেশকিছু নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে পার্টির চেয়ারম্যান ক্ষুব্ধ হন। এর জের ধরে বুধবার তিনি উপজেলা পর্যায়ে এ পদ বিলুপ্ত করার নির্দেশ দেন। এখন থেকে উপজেলা পর্যায়ে আর কোনো সমন্বয়কারী থাকবে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি।

বিষয়টি বুধবার এরশাদের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভরায়ের স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমেও জানিয়ে দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়, ‘জাতীয় পার্টিতে উপজেলা পর্যায়ে  কোনো সমন্বয়কারী থাকবে না। উপজেলা কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে এ ধরনের কোনো পদ না রাখার জন্যও পার্টি চেয়ারম্যান নির্দেশ দিয়েছেন।

এতে আরো বলা হয়, ‘জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রে সমন্বয়কারীর কোনো পদ নেই। তবে বিভাগীয় পর্যায়ে যারা এ দায়িত্বে রয়েছেন তারা বহাল থাকবেন।’

সমন্বয়কারী নামে জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রে কোনো পদ নেই বলে বুধবার পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্বীকার করে উপজেলা পর্যায়ে পদটি বিলুপ্ত করা হলেও দলটির চেয়ারম্যান এখনো বিভাগীয় পর্যায়ে গঠনতন্ত্রে না থাকা ওই পদটি বিলুপ্ত করেননি। বরং তা বহাল রাখার কথা জানিয়েছেন। ফলে, পার্টির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধেই গঠনতন্ত্র অমান্যের অভিযোগ উঠেছে। এভাবেই তিনি দীর্ঘদিন ধরে গঠনতন্ত্রে নেই এমন একটি পদ সৃষ্টি করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

 জানা গেছে, গঠনতন্ত্র অমান্য করেই পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজ রহমানকে সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী পদে নিয়োগ দেন। এরশাদের প্রেস সেক্রেটারি সুনীল শুভরায় জানান, সমন্বয়কারী বলতে জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রে কোনো পদ নেই। তারপরও তৃণমূল পর্যায়ে সাংগঠনিক কর্মকান্ডের সুবিধার্থে পদটি সৃষ্টি করা হয়েছে। বুধবার থেকে পার্টির চেয়ারম্যানের নির্দেশে উপজেলা পর্যায়ে এ পদটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।’

বিভাগীয় পর্যায়ে সমন্বয়কারীর পদ এখনো বহাল থাকায় দলীয় গঠনতন্ত্র অমান্য করা হচ্ছে কিনা- জানতে চাইলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে তিনি বলেন, ‘পার্টির চেয়ারম্যানের নির্দেশে স্থানীয় কাউন্সিল, কর্মসূচি বাস্তবায়নসহ সাংগঠনিক কর্মকান্ডের সুবিধার্থে এই পদে নেতাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’

এ ব্যাপারে দলের দপ্তর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘বিষয়টি যেহেতু পার্টির চেয়ারম্যানের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, তাই এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’

 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য জানান, ‘জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রে সমন্বয়কারী নামে কোনো পদ নেই। প্রকৃতপক্ষে এ ধরণের কোনো পদের দরকারও নেই। কিন্তু শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কিছু নেতার স্বার্থে ও পছন্দ-অপছন্দের কারণে এ পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এ পদে ইতিপূর্বে যারাই দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের সবার বিরুদ্ধে কম-বেশি অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য প্রায় সময় পার্টির চেয়ারম্যান তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই পদে একাধিক নেতা বদল করেছেন।

দীর্ঘদিন ধরে বৃহত্তর রংপুরে সমন্বয়কারী ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, চট্টগ্রামে ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আলহাজ্ব সোলায়মান আলম শেঠ, সিলেটে ছিলেন আলহাজ্ব আতিকুর রহমান আতিক। দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের পছন্দ-অপছন্দের কারণে তারা সবাই ওই পদ থেকে বাদ পড়েছেন বলে জাতীয় পার্টির নীতিনির্ধারণী সূত্র জানিয়েছে।

সূত্র মতে, তৃণমূল পর্যায়ে জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক কর্মকান্ড বৃদ্ধি, কোন্দল নিরসন, শক্তিশালী কমিটি গঠনসহ সাংগঠনিক কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য পার্টির চেয়ারম্যান উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে পছন্দের নেতাদের মধ্য থেকে সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেন। এসব সমন্বয়কারীর বিরুদ্ধে পকেট কমিটি গঠনসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে তিনি বুধবার উপজেলা পর্যায়ে সমন্বয়কারীর পদ বিলুপ্ত করে দেন। তবে বিভাগীয় পর্যায়ে এখনো এ পদ বহাল রাখায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

মাঠ পর্যায়ের এক নেতা বলেন, স্যার (এরশাদ) সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। বিভাগীয় পর্যায়েও গঠনতন্ত্রবিরোধী এ পদটি বিলুপ্ত করা দরকার। তিনি বলেন, ‘সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালনকারী নেতাদের অযাচিত হস্তক্ষেপে দলের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাদের পছন্দ-অপছন্দের কারণে তৃণমূল পর্যায়ে দলীয় কোন্দলও আরো বেড়েছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied