বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ ২০১৫, বিকাল ০৫:০৮
গতকাল বুধবার দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি বানিয়াপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে নওগাঁ সদর মডেল থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার বিকেলে সরেজমিন নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি বানিয়াপাড়া গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসী ও শিশুটির পরিবারের দেওয়া বিবরণে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটির দিন মজুর বাবা ও মা বাড়ির বাইরে কাজ করতে যায়। শিশুটি বাড়িতে একা থাকার সুযোগে পাশের বাড়ির লুত্ফর রহমান (৫৫) ঘরে ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় শিশুটির বাবা বাড়িতে আসলে লুত্ফর রহমান সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে দুবলহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান আজম আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিয়ে গ্রামে শালিস ডাকেন। এ সময় ওই শালিসে ইউপি সদস্য কাজল রশিদ গ্রাম্য মাতবর কাজল সরদারসহ গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। গ্রাম্য শালিসে অভিযুক্ত লুত্ফর রহমানকে দোষী সাব্যস্থ করে তাকে ১০১টি বেত্রাঘাত, ১০ হাত নাক খত ও দু’লাখ ১০ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়। দুবলহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান আজম এই রায় ঘোষণা করেন। চেয়ারম্যানের নির্দেশে অভিযুক্ত লুত্ফর রহমানের বাবা হাজি ইসমাইল হোসেন ১০১টি বেত্রাঘাত করেন। ইউপি সদস্য কাজল রশিদ জানান, জরিমানার টাকা থেকে দ’ুলাখ টাকা শিশুটির পরিবারকে দেওয়া হবে এবং বাকি ১০ হাজার টাকা স্থানীয় যুবকদের দেওয়া হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান আজম বলেন, তিনি শালিসে উপস্থিত ছিলেন কিন্তু রায় ঘোষণার আগে শালিস থেকে চলে যান। তিনি দাবি করেন বাদি ও বিবাদির সম্মতিতে বিচার করা হয়েছে। অভিযুক্ত লুত্ফর রহমানের বাবা হাজি ইসমাইল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে নির্দোষ। তিনি বলেন, অন্যায় ভাবে শালিসে তাকে দিয়ে ছেলেকে বেত্রাঘাত করে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ছেলের কাছে নগদ টাকা না থাকায় তার বন্ধকি জমির এক লাখ ৬০ হাজার টাকার স্ট্যাম্প চেয়ারম্যান নিয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, জরিমানার টাকা দিয়ে সমস্ত গ্রামে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে, এমনকি তার বাড়িতেও মিষ্টির প্যাকেট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। লুত্ফর রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, জোর করে ইউপি চেয়ারম্যান মোকলেছুর রহমান আজম, ইউপি সদস্য কাজল রশিদ ও তার লোকজন বিচারের রায় চাপিয়ে দিয়েছে। এদিকে বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের যাওয়ার সংবাদ পেয়ে নওগাঁ সদর থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. সামসুল আলম পুলিশের একটি দল নিয়ে ওই গ্রামে যান এবং পুলিশ ভ্যানে করে রাতে শিশুটির বাবা, চাচাসহ শিশুটিকে থানায় নিয়ে যায়। সামসুল আলম জানান, রাতে শিশুটির বাবা বাদি হয়ে লুত্ফর রহমানকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার একমাত্র অভিযুক্ত লুত্ফর রহমানকে আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার দুপুরে নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি বানিয়াপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে নওগাঁ সদর মডেল থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার বিকেলে সরেজমিন নওগাঁ সদর উপজেলার দুবলহাটি বানিয়াপাড়া গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসী ও শিশুটির পরিবারের দেওয়া বিবরণে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে শিশুটির দিন মজুর বাবা ও মা বাড়ির বাইরে কাজ করতে যায়। শিশুটি বাড়িতে একা থাকার সুযোগে পাশের বাড়ির লুত্ফর রহমান (৫৫) ঘরে ঢুকে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় শিশুটির বাবা বাড়িতে আসলে লুত্ফর রহমান সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে দুবলহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান আজম আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিয়ে গ্রামে শালিস ডাকেন। এ সময় ওই শালিসে ইউপি সদস্য কাজল রশিদ গ্রাম্য মাতবর কাজল সরদারসহ গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। গ্রাম্য শালিসে অভিযুক্ত লুত্ফর রহমানকে দোষী সাব্যস্থ করে তাকে ১০১টি বেত্রাঘাত, ১০ হাত নাক খত ও দু’লাখ ১০ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়। দুবলহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান আজম এই রায় ঘোষণা করেন। চেয়ারম্যানের নির্দেশে অভিযুক্ত লুত্ফর রহমানের বাবা হাজি ইসমাইল হোসেন ১০১টি বেত্রাঘাত করেন। ইউপি সদস্য কাজল রশিদ জানান, জরিমানার টাকা থেকে দ’ুলাখ টাকা শিশুটির পরিবারকে দেওয়া হবে এবং বাকি ১০ হাজার টাকা স্থানীয় যুবকদের দেওয়া হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেসুর রহমান আজম বলেন, তিনি শালিসে উপস্থিত ছিলেন কিন্তু রায় ঘোষণার আগে শালিস থেকে চলে যান। তিনি দাবি করেন বাদি ও বিবাদির সম্মতিতে বিচার করা হয়েছে। অভিযুক্ত লুত্ফর রহমানের বাবা হাজি ইসমাইল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তার ছেলে নির্দোষ। তিনি বলেন, অন্যায় ভাবে শালিসে তাকে দিয়ে ছেলেকে বেত্রাঘাত করে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ছেলের কাছে নগদ টাকা না থাকায় তার বন্ধকি জমির এক লাখ ৬০ হাজার টাকার স্ট্যাম্প চেয়ারম্যান নিয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, জরিমানার টাকা দিয়ে সমস্ত গ্রামে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে, এমনকি তার বাড়িতেও মিষ্টির প্যাকেট পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। লুত্ফর রহমানের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, জোর করে ইউপি চেয়ারম্যান মোকলেছুর রহমান আজম, ইউপি সদস্য কাজল রশিদ ও তার লোকজন বিচারের রায় চাপিয়ে দিয়েছে। এদিকে বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের যাওয়ার সংবাদ পেয়ে নওগাঁ সদর থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. সামসুল আলম পুলিশের একটি দল নিয়ে ওই গ্রামে যান এবং পুলিশ ভ্যানে করে রাতে শিশুটির বাবা, চাচাসহ শিশুটিকে থানায় নিয়ে যায়।
সামসুল আলম জানান, রাতে শিশুটির বাবা বাদি হয়ে লুত্ফর রহমানকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার একমাত্র অভিযুক্ত লুত্ফর রহমানকে আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
ভারত থেকে ৩ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করল ভারত
মালিকপক্ষকে জলদস্যুদের ফোন, যে কথা হলো
কমলো সোনার দাম