আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

পানিতে ভরে উঠেছে তিস্তা; সেচ পাচ্ছে কৃষক

রবিবার, ৫ এপ্রিল ২০১৫, দুপুর ০৩:৫৪

পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানায়, গত বছরে এ সময় তিস্তায় ৩৫০ কিউসেক পানি পাওয়া গিয়েছিল। তিস্তা পাড়ের ঝাড়-শিঙ্গেরশ্বর চরের নৌকার মাঝি হারুন শেখ (৪০) জানায়, তিস্তা নদীতে যেন জোয়ার শুরু হয়েছে। এ জোয়ারে তিস্তা ফুলে ফেপে উঠছে। প্রধান খাল, শাখা খালে পানিতে ভরে গেছে। রবিবার দুপুরে দেখা যায় উজান থেকে তিস্তা নদী বাংলাদেশের প্রবেশ পথ নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ জিরো পয়েন্টে দিয়ে স্রোতধারায় হু-হু করে পানি আসছে। যা দ্রুত প্রবাহে চলে যাচ্ছে ভাটির দিকে। গত তিন দিন আগে তিস্তা নদীর বুকে যে ধু-ধু বালুচর দেখা গিয়েছিল, তা যেন নিমিষেই নদীর পানিতে চাপা পড়ে যাচ্ছে। নদীর কুল কিনারা ভরে উঠছে ধীরে ধীরে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে তিস্তার পানি কমতে কমতে দাঁড়িয়েছিল ১০০ কিউসেকে। অথচ এ নদীতে স্বাভাবিকভাবে গড়ে ৫০০০ হাজার থেকে ৬০০০ হাজার কিউসেক পানি থাকা প্রয়োজন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারী থেকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করে। এ অবস্থা চলে ২ এপ্রিল পর্যন্ত। এদিকে হঠাৎ করে তিস্তার পানি হু-হু করে বৃদ্ধির বিষয়টি অবাক করে দিয়েছে তিস্তাপাড়ের মানুষজনকে।

তিস্তার পাড়ের আবুল কাশেম জানায়, তিস্তা নদীকে যখন দেখি শুকায়ে যায় তখন হারিয়ে যাওয়া জমিজিরাত বালুর চরে চোখে পড়ে বুকটা খাঁ-খাঁ করে উঠে। পুর্ব ছাতনাই গ্রামের হারুন-অর রশিদ জানায়, তিন দিন আগে ভোর থেকে হঠাৎ শুনতে পাই তিস্তা নদী থেকে স্রোতের শব্দ ভেসে আসছে। অবাক হয়ে ছুটে যাই নদীর পাড়ে। দেখতে পাই উজান থেকে তিস্তার পানি শো-শো শব্দে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। এখন তিস্তা নদী দেখে খুব ভাল লাগছে তিস্তায় পানি ভরে উঠছে।

তিস্তাপাড়ের ভাষানীর চরের নৌকা মাঝি মফিজার রহমান (৪২) বললেন, ভারত হয়তো তাদের গজলডোবা ব্যারাজের গেট খুলে দেয়ায় পানির জোয়ার বেড়ে গেছে। তিস্তা সেচ ক্যানেলের ধারে নাউতরা গ্রামের কৃষক বেলাল হোসেন ( ৪৩) জানায়, হঠাৎ আজ তিস্তা সেচখাল পানিতে ভরে গেছে। এখন দেখছি পানি রাখার জায়গা নাই। এই পানি খুব উপকারে আসছে। এখন বোরো ধানের শীষ ধরেছে। এই পানি পেয়ে ধানের ক্ষেতগুলো তরতাজা হয়ে ফুটে উঠেছে। তিস্তার পলির পানি আরে ভু-গর্ভের সেচের পানির মধ্যে ফারাক আছে। তিস্তার সেচে ফলন ভাল হয়।

তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুরুজ্জামান বলেন, তিস্তা নদীর পানি এখন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রবিবার দুপুর ১২টার সময় তিস্তায় পানি প্রবাহ ছিল ২ হাজার কিউসেক কিন্তু ৩টার সময় ৩ হাজার ৫০০ কিউসেক পানি বৃদ্ধি পায়। বর্তমানে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রংপুরের গঙ্গা চাওয়া, দিনাজপুরের চিনির বন্দর পর্যন্ত সেচ খালে পানি সরবরাহ করা হচ্ছে। নীলফামারী, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার ১২টি উপজেলা প্রায় ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে সেচের পানি সরবরাহ করা হচ্ছে।

তিনি আরো জানান, এবার খরিপ ১ মৌসুমে ২৮ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সেচ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। কিন্তু সেচ দেয়া যায় ৪০ হাজার ৫০০ হেক্টর পর্যন্ত। # ছবি ক্যাপসন,নীলফামারীঃ উজানের ধলে পানি বৃদ্ধি পাওয়া (উপরে) তিস্তা ব্যারেজ ও (নিচে) পানি ভরা ক্যানের।

মন্তব্য করুন


 

Link copied