বীর মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) বা মুজিব বাহিনীর রংপুর জেলার অধিনায়ক, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, লেখক, সাংবাদিক প্রয়াত মুকুল মোস্তাফিজ তৃণমূল পর্যায়ে তথ্যানুসন্ধান চালিয়ে প্রায় ৪শ’ প্রাণদানকারী মানুষের বিবরণ সংগ্রহ করেছেন। কিন্তু সরকারীভাবে আজও এই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত হয়নি। জানা যায়নি ঠিক কতজন মুক্তিকামী মানুষ এখানে শহীদ হয়েছেন। তবে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মনে সেদিনের গণ হত্যায় আত্মাহুতি দিয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ।
আজকের এই দিনের স্মৃতিচারণ করেন মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এটিএম আজহারুলের মামলার এক সাক্ষী বলেন, ‘পাকিস্তানি সেনারা বাড়ি ঘরে আগুন দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকলে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে এটিএম আজহারকে দেখা যায়। আজহার সেইদিন সাদা প্যান্ট-শার্ট পরে এসেছিল।’
তিনি বলেন, ‘১৭ এপ্রিল ঝাড়ুয়ারবিল পদ্মপুকুর পাড়ে ১২শ লোককে হত্যা করা হয়। এটিএম আজহার ইসলামসহ পাকিস্তানি বাহিনী বদরগঞ্জ শহরের নিয়ন্ত্রণ নেন। সে সময় তারা স্থানীয় জগদীশ নামে এক হিন্দুর বাড়ি দখল করে সেখানে শান্তি কমিটির অফিস খুলে এবং রাজাকারদের নিরাপত্তা ক্যাম্প স্থাপন করে।’
উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, ‘বদরগঞ্জে ঝাড়ুয়ারবিল পদ্মপুকুর পাড়ের নির্মমতার সেদিনের শহীদদের স্মরণে ২৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে সেখানে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করা হয়েছে।
তথ্য সূত্র :
১) মুক্তিযুদ্ধে রংপুর : মুকুল মুস্তাফিজ
২) রাজনীতি আমার জীবন : কাজী মোহাম্মাদ এহিয়া
৩) রংপুর জেলার ইতিহাস : জেলা প্রশাসন।