বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০১৫, দুপুর ০১:৫৯
বগুড়া: মধ্যরাতের কালবৈশাখী ঝড়ে বগুড়া সদর ও সোনাতলা উপজেলায় দুই জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ১২টার পর বগুড়া জেলার উপর দিয়ে প্রচণ্ড বেগে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। নিহতরা হলেন- জেলার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্যা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাদল কাজী (৫৫) এবং সদরের আশোকোলা উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত সুলতান প্রামানিকের ছেলে বেলাল হোসেন (৫০)। আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, রাত ১২টা ২০ মিনিট থেকে ১২টা ২৩ মিনিট পর্যন্ত ৩ মিনিট স্থায়ী ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫৬ কিলোমিটার। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোনাতলার পাকুল্যা ইউনিয়ন নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা বাদল কাজী স্থানীয় বিলে নৌকায় চড়ে পাহারাদারের কাজ করছিলেন। ঝড়ে নৌকা উল্টে গেলে বাদল কাজী পানিতে ডুবে যায়। আজ বুধবার সকালে জাল টেনে লাশ উদ্ধার করা হয়। সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম হোসেন নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, সদর উপজেলার বাঘোপাড়ায় লাভা ইটভাটার শ্রমিকদের শোবার ঘরের দেয়াল ধসে নৈশপ্রহরী বেলাল হোসেন মারাত্মক আহত হন। ভোরে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এছাড়া মধ্যরাতের ঝড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাড়িঘরের টিনের চালা উড়ে গেছে। অনেক বাড়ির মাটির দেয়াল ধসে গেছে। অসংখ্য গাছ-পালা উপড়ে গেছে। ঝড়ের পর প্রায় ৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল গোটা শহর। উল্লেখ্য, এর আগে চলতি মাসের ৪ তারিখ রাতে স্মরণকালের ভয়াবহ কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় বগুড়া। ২০ জন নিহত ও অসংখ্য মানুষ আহত হয়। বিধ্বস্ত হয় হাজার হাজার ঘরবাড়ি। উপড়ে যায় লক্ষাধিক গাছ-পালা। দেখা দেয় ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়। এখনো জেলার কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
ভারত থেকে ৩ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করল ভারত
মালিকপক্ষকে জলদস্যুদের ফোন, যে কথা হলো
কমলো সোনার দাম