এছাড়া এ পর্যন্ত সহিংসতা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, মারপিট ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে সুন্দরগঞ্জ থানায় ২৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি মামলা দায়ের হয়েছে দ্রুত-বিচার আইনে। দায়েরকৃত মামলাগুলোর মধ্যে সুন্দরগঞ্জ থানা ও বামনডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা ও চার পুলিশ হত্যার দায়ে শুধু ২টি মামলা পুলিশ নিজে বাদী হয়ে দায়ের করেছে।
দ্রুত বিচার আইনের ১২টি মামলার বাদী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম (মামলা নং-৪), উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজা বেগম কাকলী (নং -১৭), উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার লায়েক আলী খান মিন্টু (নং-১০), রেজাউল করিম (নং-২), জিয়াউর রহমান (নং- ৩), ওসমান সরকার (নং-৫), হায়দার আলী (নং-৬), আব্দুস সালাম (নং-৯), ওসমান গনি (নং-১৩), আবু নাসের মোঃ মিরান (নং-১৬), আনিছুর রহমান (নং-১৯) ও আজগর আলী (নং-২০)।
অন্যান্য সাধারণ মামলাগুলো স্থানীয় জনগণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানায় দায়ের করা হয় বলে পুলিশ জানায়। বুধবার আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডঃ ফজলে রাব্বী মিয়ার নেতৃত্বে গাইবান্ধা জেলা ১৪ দলের একটি প্রতিনিধি দল সুন্দরগঞ্জের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে। তারা ক্ষতিগ্রস্ত ও নিহত পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
বিতরণ শেষে তারা ওইসব এলাকার মানুষদের ঐক্যবদ্ধভাবে সহিংসতা প্রতিরোধে উদ্বুদ্ধ করে একাধিক সমাবেশ করেন। ১৪ দলের প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন গাইবান্ধা জেলা আ’লীগের সভাপতি এড. সৈয়দ-শামস-উল আলম হিরু, জেলা ১৪ দলের সমন্বয়ক ও জেলা আ’লীগের সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, আ’লীগ নেতা ফরহাদ আব্দুল্যাহ হারুন বাবলু, রনজিৎ বকসী সূর্য, সদর উপজেলা সমন্বয়ক শাহ সারওয়ার কবীর, জাসদের শাহ শরিফুল ইসলাম, গোলাম মারুফ মনা, গণ-ঐক্যের শাহ নেওয়াজ টুকু, গণতন্ত্রী পার্টির কাদের নেওয়াজ, ন্যাপের লুৎফর রহমান রঞ্জু প্রমুখ।