জানা যায, পার্বতীপুর শহরের ৩৬ বছর বয়সের ২ সন্তানের জননী এক স্কুল শিক্ষিকার (ছদ্দ নাম আরেফা বেগম) স্বামী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এর পর থেকে ওই শিক্ষিকা হারুন নামের এক যুবকের সাথে পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন। হারুন ওই বাড়ীতে যাওয়া আসা করতো একজন চিকিৎসক হিসেবে। আর এ কারনে রোগীকে চিকিৎসার নামে ওই শিক্ষিকার বাড়ীতে হারুন প্রায়ই যেত।
এদিকে, দীর্ঘদিন থেকে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় কানা-ঘুষা চলছিল। অবশেষে এলাকাবাসী অতিষ্টি হয়ে রাতে ওই শিক্ষিার বাড়ীতে তাদের দু’জনকে হাতে নাতে আটক করে। মুহুর্তে মধ্যে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী সেখানে একত্রিত হয়। তাদের দু’জনের বিয়ে দেওয়ার জন্য যখন সোচ্ছার হয়ে ওঠে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী। ঠিক তখনেই এক স্থানীয় কাউন্সিলর ও রাজনৈতিক ইশারায় সর্তক বাণী শুনিয়ে শেষ বারের মত শিক্ষিকার বাড়ী থেকে হারুনকে বের করে দেয়া হয়। এর আগেও এলাকাবাসী ওই শিক্ষিার বাড়ীতে আটক করলেও কৌশলে বেরিয়ে যায় হারুন। বিষয়টি এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের মাঝে আলোচনার মুখের খোরাক হয়ে দাড়িয়েছে।
তবে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসীর মধ্যে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন বলেছেন, ওই শিক্ষিকা সবার সামনে হারুনের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই বলে জানান। তিনি শারীরিক অসুস্থ্য থাকায় ওই ঘটনার দিন হারুন তাকে সেলাই পুশ করতে ডেকেছিলেন। এসময় হারুন উপস্থিত এলাকাবাসীর কাছে বলেছেন তাকে সেলাইন দেওয়ার জন্য বাসায় ডেকেছিলেন ওই শিক্ষিকা।
এদিকে, একটি সূত্র জানায়, হারুনকে ওই শিক্ষিকা গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের কথাটি প্রকাশ পেলে তার ওই শিক্ষিকার মৃত স্বামীর পেনশনের টাকা আর পাবেন না বলে বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে আজ বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেহেতু বিষয়টি স্কুলের নয় সেইহেতু তাদের করনীয় কিছুই নেই এবং মোবাইল ফোনে কিছু বলতে অপরাগতা জানান।
অপরদিকে, আজ বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় ওই প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির সভাপতির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি স্কুলের নয়। তাছাড়া কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দেখা যেত বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগণ স্কুলের ভাবমূর্তির ক্ষুন্ন হয়েছে বলে তারা মনে করছেন।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই স্কুলের এক শিক্ষক বলেছেন ছি-ছি এ লজ্জা রাখি কোথায় ।