হরতালের শুরুতে ভোরে নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বাড়ি সিংগিমারী রেলওয়ে ব্রিজে পিকেটাররা আগুন ধরিয়ে দিয়ে অবরোধ করে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এতে ট্রেন যোগাযোগ রংপুর-পার্বতীপুর রুটে রেলওয়ে যোগাযোগ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকে।
সোমবার সকাল আটটার দিকে নগরীর মাহিগঞ্জ-পীরগাছা সড়কের সরেয়ার তলে বিএনপি নেতা কর্মীরা দুইটি অটোরিকশায় আগুন ধরিয়ে দেয় এবং অন্তত চারটি অটোরিকশা ভাঙচুর করে।
অন্যদিকে, সকাল সাড়ে সাতটার নগরীর পুড়াতন রেডিওয় সেন্টারের সামনে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে শিবির নেতাকর্মীরা। হরতালে পুলিশ ভোর থেকে নগরীর কলেজপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৩ জনকে গ্রেফতার করে। হরতালের কারণে নগরী এবং আশপাশের হাটবাজারগুলোতেও কোনো দোকানপাট খোলে নি। আন্তঃ ও দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়েও যায় নি। নগরীতে সামান্য কিছু রিকশা ও অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে। নগরীর শাপলা চত্বর জামায়াত অফিস, গ্রান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপি অফিস, জাহাজ কোম্পানি মোড়, পায়রা চত্বর, সাতমাথা, মডার্ন, লালবাগ, পার্কের মোড়, টার্মিনালসহ বিভিন্ন এলাকায় বিপুলসংখ্যক র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিজিবির টহল।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু জানান, নগরবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করছে।
রংপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাবুদ্দিন খলিফা জানান, হরতালে নাশকতা করতে পারে এমন আশঙ্কায় নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রংপুর রেলওয়ে স্টেশন সুপারেনটেডেন্ট মোজাম্মেল হক জানান, দুর্বৃত্তরা রাতে বড়বাড়ি সিংগিমাড়ি রেলওয়ে ব্রিজে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে কিছু কাঠের পাটাতনের ক্ষতি হয়েছে। সেটি মেরামত করে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।