আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

 width=
 
শিরোনাম: রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর       কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি      

 width=
 

সাদুল্যাপুরে শহিদুল বাহিনীর অস্ত্রের আঘাতে নিহত-১; বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট

মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০১৩, বিকাল ০৭:০৯

এছাড়াও সন্ত্রাসী বাহিনী রামদা, চাইনিজ কুড়াল, বেকী, ছোড়া ও বলরামসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঘণ্টা-ব্যাপী আল-আমিনের বসতবাড়িতে তা-ব চালায়। এতে ওই বাড়ির দরজা, জানালা, আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের খোদাবকস গ্রামে সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সুমি বেগম (২৭) নামের এক মহিলাকে আটক করেন। আটক সুমি বেগম ওই গ্রামের মোস্তাফিজার রহমান মোস্তার স্ত্রী। এ রিপোর্ট (দুপুর ২ টায়) লেখা পর্যন্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ জানায়, ওই গ্রামের মৃত্যু সৈয়দ আলীর ছেলে একাধিক মামলার আসামী কুখ্যাত সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তোলে। সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী ইতোপূর্বে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমুলক কর্মকান্ড- পরিচালনা ও রাজত্ব কায়েম করে আসছিল। এক কারণে শহিদুল ইসলামের কর্মকান্ড এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠে। ফলে ওই গ্রামের মৃত্যু মছির উদ্দিনের ছেলে আল-আমিনের নেতৃত্বে এলাকাবাসী শহিদুলের কর্মকান্ড প্রতিবাদ জানিয়ে আসেন। এ নিয়ে শহিদুল ইসলাম ও আল-আমিনের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে শত্রুতা ও বিরোধ এবং মামলা চলে আসছিল।

ঘটনার দিন সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে সন্ত্রাসী শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে মোস্তা, আরিফুল, আশরাফুল, নজরুল, জিয়ন, মাইন, টেম্পু, শফিউল, জোসনা, নার্গিসসহ অজ্ঞাত দুই শতাধিক ভাড়াতে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনী রামদা, চাইনিজ কুড়াল, বেকী, ছোড়া, বলরামসহ বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আকষ্কিকভাবে আল-আমিনের বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালায়। সন্ত্রাসী বাহিনী ঘরের দরজা ও জানালা ভেঙ্গে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করেন। এ সময় ঘরে থাকা আল-আমিন ও একই গ্রামের এছাহাক আলী ছেলে তাহাদুল ইসলামকে ঘরের মধ্যে পেয়ে প্রথমে বেধরক মারপিট করতে থাকেন। পরে দুজনকে ঘর থেকে টেনে বের করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাত করেন। কিন্তু সন্ত্রাসী বাহিনী এতেও ক্ষান্ত হয়নি পরে তারা ধারালো অস্ত্র ও চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আল-আমিন ও তাহাদুলের পা কর্তন করেন। এতে আল-আমিনের দুই পায়ের হাটুর নিচের রগসহ ও তাহাদুলের ডান পায়ের কনুই পর্যন্ত সম্পুর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এছাড়াও সন্ত্রাসী বাহিনী ওই বাড়ির ঘরের দরজা, জানালা, আসবাবপত্র ও একটি টিভিএস মোটরসাইকেল ভাংচুর করে নগদ টাকাসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটপাট করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত ২.৩০ মিনিটে আলা-আমিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। বর্তমানে আহাদুলের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত ডাক্তার।

সাদুল্যাপুর থানার ওসি মজনুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অপরাধীদের গ্রেফতার করতে তাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এক মহিলাকে আটক করা হয়। তবে অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো জানান, এ নিয়ে থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied