গাইবান্ধা প্রতিনিধি: লালমনিরহাট-সান্তাহার রেল রুটে চলাচলকারী কয়েকটি আন্তঃ নগর ট্রেনে দায়িত্ব-রত পরিদর্শক, পরিচালক, নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ বিভাগের লোক এমনকি পরিচালক পর্যন্ত ট্রেনে চলাচলকারী যাত্রীদের টিকিট না কাটতে উৎসাহিত করছে। বোকারাই টিকিট কাটে বলেছেন দায়িত্ব-রত কর্মকর্তারা। কোন যাত্রী টিকিট কাটলে তার সাথে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রতিদিন সরকারের লাখ লাখ টাকার আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এসব দেখেও অজ্ঞাত কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে।
জানা গেছে, লালমনিরহাট-সান্তাহার এবং দিনাজপুর-সান্তাহার রেল রুটে চলাচলকারী করতোয়া এক্সপ্রেস, দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ও লালমনি এক্সপ্রেস নামক আন্তঃ নগর ট্রেন গুলিতে প্রতিদিন যাত্রীদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যাত্রীর সংখ্যা বাড়লেও এসব ট্রেন থেকে সরকারী আয় কমে গেছে অনেকাংশে। উল্লেখিত ট্রেন গুলিতে দায়িত্ব-রত পরিদর্শক, পরিচালক, বিদ্যুৎ বিভাগের লোক ও নিরাপত্তা যাত্রীদের টিকিট দেখার নাম করে টাকা আদায় করার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। ৫০ টাকার টিকিটের স্থলে যাত্রীদের কাছ থেকে মাত্র ২০ টাকা নিয়ে গন্তব্য-স্থলে পৌঁছে দিচ্ছে। ট্রেনের পরিচালকের ছোট্ট কামরাতেও যথেষ্ট ভিড় দেখা যায়। পরিচালক টাকার বিনিময়ে তার কামরাতে লোক তুলছে বলে জানিয়েছেন অনেকেই। যেসব যাত্রী টিকিট কেটেছে তাদের সাথে বিভিন্ন ভাবে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে।
ট্রেনে দায়িত্ব-রত সকলেই বলছে, যেসব যাত্রী আমাদের সামান্য টাকা না দিয়ে বেশি টাকা দিয়ে টিকিট কেটে ট্রেনে যাতায়াত করে তারা বোকা। বোকারাই টিকিট কাটে। চালাক লোকেরা কখনই টিকিট কাটেনা।
এ ব্যাপারে একজন পরিদর্শক এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, বিপদে পড়ে টিকিট কাটতে পারেনি বলেতো ট্রেন থেকে নেমে দেয়া সম্ভব না। অপর দিকে অনেক ট্রেন যাত্রী জানিয়েছেন, টিকিট দেখালেই তাদের সাথে খারাপ আচরণ করা হয়। বিনা টিকিটের যাত্রীদের আসনে বসার জায়গা করে দেওয়ায় টিকিট কেটে আসনে বসা যায়না। এব্যাপারে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একান্ত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তুক্তভোগীরা।