আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর      

 width=
 

গঙ্গাচড়া-কালীগঞ্জ রুটে নির্মাণাধীন দ্বিতীয় তিস্তা ব্রিজের কাজ গতিহীন

বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ ২০১৩, দুপুর ১০:৩৯

জানা যায়, রংপুর-লালমনিরহাটের ১৮ লাখ মানুষের প্রাণের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১০ সালে ২২ এপ্রিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটির সভায় বৃহত্তর রংপুর-দিনাজপুর গ্রামীণ যোগাযোগ ও অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নে প্রকল্প হিসেবে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে গঙ্গাচড়া-কালীগঞ্জ রুটে দ্বিতীয় তিস্তা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একশ ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮৫০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ফুটপাতসহ ৯.৫ মিটার প্রস্থে ২টি এবার্টমেন্টে ১৬টি পায়ার সম্বলিত মূল সেতু নির্মাণ কাজ গত বছর মে মাসে শুরু হয়। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নাভানা কন্সট্রাকশন এ কাজ করছে। আগামী বছর জুলাই মাসে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও ফাণ্ডের অভাবে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে কিনা এনিয়ে সংসয় দেখা দিয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লালমনিরহাট স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধায়নে সেতুর ২২৪টি পাইলের মধ্যে ৯৫টির কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমান লোড টেস্ট ও বেজ কাস্টিংয়ের প্রস্তুতি চলছে। অপরদিকে লালমনিরহাট-বুড়িমারী আঞ্চলিক মহাসড়কের সঙ্গে সেতুর সংযোগের জন্য ৫টি প্যাকেজের আওতায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ৫ কিলোমিটার সড়ক। এরমধ্যে ২টি রাস্তা ও ব্রিজ এবং ৩টি বক্স কালভার্টের কাজ সম্পন্ন। বাকি রয়েছে রোড কাপের্টিং ও ২টি বক্স স্লাবের কাজ। কিন্তু বিরামহীন ভাবে চলতে থাকা সেতুর কাজ হঠাৎ করে থমকে যাওয়ায় জনমনে হতাশা দেখা দেয়। ব্রিজ সংশ্লিষ্ট এলাকার মমিনুর রহমান বলেন, বিরামহীন ভাবে চলতে থাকা ব্রিজের কাজের গতি কমে গেছে। এর মধ্যেই ব্রিজ ও সংযোগ সড়কের কাজ ভালই হয়েছে। এই অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়ন ও ভাগ্য পরিবর্তনের দ্বার খুলতে শুরু করেছে। কিন্তু হঠাৎ করে কাজের গতি কমে যাওয়ায় নির্দিষ্ট মেয়াদে এ সেতুর কাজ শেষ হবে কিনা তা নিয়ে আমরা হতাশায় ভুগছি। এ ব্যাপারে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ডিপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার প্রবীর বিশ্বাস বলেন, এ পর্যন্ত ব্রিজের কাজ পঁচিশ ভাগ শেষ হয়েছে। কিন্তু ফাণ্ড সমস্যা ও দেশের পরিস্থিতির কারণে গত কয়েকদিন ধরে কাজ কিছুটা কম হচ্ছে। এর ফলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্রিজের কাজ শেষ নাও হতে পারে। একই কথা বলেন ওই প্রতিষ্ঠানের ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার মকবুল হোসেন মিয়া।

লালমনিরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী খলিলুর রহমান বলেন, ফাণ্ড সমস্যা রয়েছে। এছাড়াও দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মালামাল সঠিক সময়ে আনতে না পারায় কাজের কিছুটা গতি কমেছে। তবে ফাণ্ডের জন্য চাহিদা দেয়া হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই এ সব সমস্যার সমাধান হবে। তিনি আরও বলেন, দেশের পরিস্থিতি ভাল থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ব্রিজের কাজ সম্পন্ন হবে। উল্লেখ্য, গত বছর ২২ সেপ্টেম্বর সেতুর আনুষ্ঠানিক ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিস্তা সেতু নির্মাণ হলে এই অঞ্চলের ১৮ লাখ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। কমে আসবে ৬০ কিলোমিটার পথ। ফলে বিভাগীয় শহর রংপুরের সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের একমাত্র স্থলবন্দর বুড়িমাড়িসহ পাটগ্রাম, হাতিবান্দা, কালীগঞ্জ, আদিতমারি জনসাধারনের মাঝে সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে এবং যোগাযোগ, ব্যবসা বাণিজ্যের উন্নায়ন ঘটবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied