শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে যমুনার ৫০ মিটার বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর থেকে তীব্র স্রোতে লোকালয়ে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
এদিকে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বাঁধের ৩০০ মিটার ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফলে সারিয়াকান্দি উপজেলার যমুনা নদীবর্তী এলাকার চালুয়াবাড়ী, কাজলা, কর্ণিবাড়ী, বোহাইল, চন্দনবাইশা ও হাটশেরপুরের আংশিক ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ধুনট উপজেলার নিম্নাঞ্চলেও পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে করে পাট, কাউন ও বিভিন্ন রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।
কামালপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য সামছুুল আলম জানান, বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরো বলেন, গোদাখালি, দড়িপাড়া, হাড়াখালি, বুরইল, পাইকরতলী গ্রামের প্রায় ১০ হাজার পরিবার তাদের বাড়ির মালামাল নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধসহ কালিতলা, দীঘলকান্দি হার্টপয়েন্ট হুমকির মুখে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন জানান, যমুনা নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে গোদাখালি বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধস নেমেছে। এই মুহূর্তে নদীর পানি উত্তাল স্রোত থাকায় ধস এলাকায় কোনো কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। ঢলের পানি আগামী দু-এক দিনের মধ্যে কমে গেলেই ভাঙা বাঁধ মেরামত করা হবে।