আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল       সার্ভার ডাউন: রসিকে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি চরমে       রংপুরে ফটোসাংবাদিক ফিরোজ চৌধুরীর একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী       ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ॥ চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী       নীলফামারীতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন      

 width=
 

'শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে'

সোমবার, ২২ জুন ২০১৫, রাত ০৯:১৫

সাউথ-ইস্ট এশিয়া নিউজ এজেন্সি বেনারনিউজ বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। তাঁর রাজনৈতিক বিরোধীরা এখন ছিন্নভিন্ন। অতীতে তারা বার বার সহিংসতার মাধ্যমে তাঁকে (শেখ হাসিনা) চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এ রিপোর্টের শিরোনাম হচ্ছে ‘আনচ্যালেঞ্জ বাংলাদেশী নেতার সাফল্য লাভ’। রিপোর্টে বলা হয়, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাজিত করার পর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শক্তিশালী ও দৃঢ় আস্থাশীল হয়ে উঠেছেন। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে পুনরায় ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তিনি প্রতিনিয়ত সংকট মোকাবেলা করে আসছেন। বিশেষ করে এ বছরের গোড়ার দিকে বিরোধী দলগুলো লাগাতার অবরোধ ও হরতাল ডাকে। এরফলে প্রায় ২শ’ মানুষ নিহত হয়। দেশের অর্থনীতির শত শত কোটি ডলার ক্ষতি হয়।

সুজনের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বেনারনিউজকে বলেন, তিনি রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের পরাস্ত করেছেন এবং ভবিষ্যতে তাঁর কর্তৃত্বকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ করার এমন কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

তিনি বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং দেশের বৃহত্তম ইসলামপন্থী দল জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, লাগাতার হরতাল ও অবরোধের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে উৎখাতের স্বপ্ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর তারা এখন নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইয়ে ব্যস্ত।

ক্ষমতায় থাকাকালে দুর্নীতি থেকে শুরু করে ক্ষমতার অপব্যবহার পর্যন্ত বিপুলসংখ্যক মামলায় জড়িত হয়ে খালেদা জিয়া এখন জেলে যাওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অধিকাংশ সময় কাটাচ্ছেন আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনায়।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০০৭ সালে খালেদা জিয়া ও অপর ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এর এক বছর পর রাষ্ট্রীয় কোষাগারের ১৩৭ বিলিয়ন টাকা ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে। গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি নাইকোকে কন্ট্রাক্ট দেয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রের অর্থের এই ক্ষতি করা হয়। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে ২০০৬ সালে নাইকোকে এ কন্ট্রাক্ট দেয়া হয়।

পাশাপাশি বিএনপির অধিকাংশ সিনিয়র নেতা হয় কারাগারে নয় গ্রেফতার এড়ানোর জন্য দল ত্যাগ করেছেন। ফলে দলটি এখন ছিন্নভিন্ন অবস্থায় রয়েছে। অপরদিকে বিএনপির ঘনিষ্ট মিত্র জামায়াতে ইসলামীও কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন। ইতোমধ্যে দলটির দু’জন সিনিয়র নেতাকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। এছাড়া দলের আমির মতিউর রহমান নিজামীসহ অন্যান্য শীর্ষ নেতারা ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদ-ের অপেক্ষায় রয়েছেন।

শুধু তাই নয়, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গত এপ্রিলে সংসদে বলেছেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকার জন্য এ দলটিকে নিষিদ্ধ করার আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে স্থিতাঅবস্থায় রয়েছে। বিশিষ্ট রাষ্ট্র বিজ্ঞানী ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-অর-রশিদ বেনারনিউজকে বলেন, ভারত সবসময় শেখ হাসিনার পাশে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র গত বছরের নির্বাচনের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করা সত্ত্বেও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের কারণে শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর শেখ হাসিনার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করেছে। নরেন্দ্র মোদি প্রকাশ্যে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্সের প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের বাংলাদেশ থেকে বিতাড়নে তাঁর ভূমিকার প্রশংসা করেন নরেন্দ্র মোদি।

বেনারনিউজের রিপোর্টে আরও বলা হয়, বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে সাধারণ মানুষের কোন অভিযোগ নেই বলে মনে হচ্ছে। বরং তারা পেট্রোল বোমার হুমকি অথবা সহিংসতায় আক্রান্ত হওয়ার আশংকা নেই বলে স্বস্তিতেই আছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব ব্যাপারে তাদের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বেনারনিউজকে বলেন, এটা সত্য যে, গণতন্ত্রের নামে লাগাতার সহিংসতায় উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিদেশী বিনিয়োগ হ্রাস পেয়েছে। এসব কারণে জনগণ খুবই ক্ষুব্ধ।

তিনি মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের উদাহরণ উল্লেখ করে বলেন, পশ্চিমা ধাঁচের গণতন্ত্র ছাড়াই এ দু’টি দেশ উন্নতি করতে পেরেছে। তিনি বলেন, অর্থনীতির সকল সূচকে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ সার্বিক উন্নয়ন থেকে লাভবান হচ্ছে। তবে আমরা একটি সুস্থ সমাজ গঠনে পূর্ণ অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র চাই।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম গত মাসে দলের এক সভায় বলেছেন, আমরা গণতন্ত্র চাই, কিন্তু বেশি নয়। আমরা এখন সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার মডেলকে অনুসরণ করবো। যাতে আমাদের জনগণ দ্রুত সমৃদ্ধি অর্জন করতে পারে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও গোলযোগ সত্ত্বেও বাংলাদেশের জিডিপি প্রতি বছর ৬ শতাংশের ওপরে রয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের পরিমাণ সর্বকালের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ৫ হাজার মেগাওয়াট থেকে ১১ হাজার ৫শ’ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে দেশে তেমন বিদ্যুৎ সংকট নেই।

অন্যদিকে বিপুল জনসংখ্যাকে খাওয়ানোর জন্য একসময় যেখানে বাংলাদেশ চাল আমদানি করতো, এখন ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চাল রফতানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। - বাসস।

- See more at: http://www.kalerkantho.com/online/national/2015/06/22/236586#sthash.mvXRKEBf.dpuf

মন্তব্য করুন


 

Link copied