বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি অনুদান ও বিনিয়োগ চুক্তি সই হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা (জাইকা) সরকারকে ১৮৬ কোটি টাকার অনুদান সহায়তা দেবে।
চুক্তিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সর্ম্পক বিভগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন এবং জাপান সরকারের পক্ষে জাপানের এন্টিরিম চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স তাকিশি মাৎসুনাগা এবং জাইকার প্রধান প্রতিনিধি মিকিও হাতায়েদা স্বাক্ষর করেন।
ঢাকার গাজীপুর ও রংপুরে এ রাডার দুটি স্থাপন করা হবে বলে চুক্তি স্বাক্ষরের পর জানান ইআরডি সচিব।
তিনি বলেন, “দেশে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এ ডপলার রাডার স্থাপনের ফলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জনগণের কাছে নিখুঁতভাবে ঘূর্ণিঝড়, কালবৈশাখী, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি ও বন্যার পূর্বাভাস দিতে সক্ষম হবে।”
এর আগে ১৯৯৯ ও ২০০০ সালে জাপানি সহায়তায় রংপুর ও ঢাকায় রাডার সিস্টেম স্থাপন করা হয়। এবার ওই রাডার সিস্টেম ডপলারে আধুনিকায়ন করা হচ্ছে।
এ আধুনিক ডপলার রাডার ঢাকাস্থ ঝড়-সতর্কীকরণ কেন্দ্র ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের কম্পোজিট পিকচার পাওয়া যাবে বলেও জানান সচিব।
রাডার কেন্দ্র থেকে ২০০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত নির্ণয় করা যাবে। এছাড়াও রাডার কেন্দ্র থেকে ৪৫০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে প্রতি ঘণ্টায় কি পরিমাণ বৃষ্টিপাত হবে তার পূর্বাভাসও দিতে পারবে।
এর আগে জাপানের সহযোগিতায় দেশের আরো তিনটি ডপলার রাডার স্থাপন করা হয়েছে। কক্সবাজার, ঝালকাঠীর খেপুপাড়া ও সিলেটের মৌলভীবাজারে ওই রাডার তিনটি স্থাপন করা হয়।