আর্কাইভ  মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ● ৩ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে অষ্টমীর স্নান করতে এসে মারা গেলেন পুরোহিত       বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ১১ জন নিহত       উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: রংপুরে ৩০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল        ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ডোমার ও ডিমলায় মনোনয়ন জমা দিলেন ৩৫ জন       নীলফামারীতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে গণধর্ষন -গ্রেপ্তার ৬      

 width=
 

রাবির ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

সোমবার, ৬ জুলাই ২০১৫, দুপুর ১১:৫৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ ৬ জুলাই। ১৯৫৩ সালের এ দিনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল উত্তর বঙ্গের শ্রেষ্ঠ তথা বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ বিদ্যাপিঠ। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে অবদান রেখে আসছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। ৬৬'র ছয় দফা, ৬৯’এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন, ৭১’র মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ছাত্ররা ঝাঁপিয়ে পড়েছে অত্যাচার আর শোষণের বিরুদ্ধে। ষাটের দশকের শেষ দিকে এই ভূ-খন্ড যখন গণ-আন্দোলনে উত্তাল, তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও স্বাধিকারের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি স্বাধিকার সংগ্রামের ইতিহাসে যুক্ত হয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহার নাম। দেশের সকল আন্দোলন-সংগ্রাম আর চড়াই-উতরাইয়ের মধ্যে দিয়ে ৬২ বছর পূর্ণ করে ৬৩ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়। দিনটিকে ঘিরে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কর্মসূচির মধ্যে সকাল ১০টা ৫মিনিটে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন এবং পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন, ফেস্টুন, কবুতর অবমুক্তকরণ, ১০টা ১০মিনিটে উদ্বোধন, এরপর বৃক্ষরোপন, সাড়ে ১০টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা এবং ১১টার দিকে সিনেট ভবনে আলোচনা সভা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মুহম্মদ মিজানউদ্দিন। প্রতিষ্ঠার কথা: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় স্যাডলার কমিশনের ভূমিকা তুলনাবিহীন। ১৯৫৩ সালে ৬ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৫৪ সালে পদ্মার তীরের বড় কুঠি নামে পরিচিত ঐতিহাসিক রেশম কুঠির ওপর তলায়। ওখান থেকে ১৯৬১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম স্থানান্তরিত হয় মতিহারের সবুজ চত্বরে। অস্ট্রেলিয়ান স্থপতি ড. সোয়ানি টমাসের স্থাপত্য পরিকল্পনায় ক্যাম্পাসে গড়ে ওঠে বিভিন্ন ভবন। বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ: দীর্ঘ ৬২ বছরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সমৃদ্ধ হয়েছে বেশ কিছু প্রথিতযশা ব্যক্তিত্বের স্মৃতিতে। এখানে শিক্ষকতা করেছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ইতরাত হোসেন জুবেরী, প্রখ্যাত তাত্ত্বিক রাজনীতিবিদ বদরুদ্দীন উমর, প্রখ্যাত ভাষাবিজ্ঞানী ও সাহিত্যক ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, ড. মুহাম্মদ এনামুল হক, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক প্রধান উপদেষ্টা প্রয়াত বিচারপতি হাবিবুর রহমান, খ্যাতনামা ঐতিহাসিক ডেভিড কফ, বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। সাংস্কৃতিতে ক্ষেত্রে সংগীত শিল্পী এন্ড্রু কিশোর, এহসান রাহি এবং বিনোদনে ক্রিকেটার আল-আমিন ও ক্রিকেটার মুশফিক বাবু অন্যতম। এক নজরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চ্যান্সেলর: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মুহম্মদ মিজানউদ্দিন, প্রো-ভিসি প্রফেসর চৌধুরী সারওয়ার জাহান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর সায়েন উদ্দিন আহমেদ, রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর মুহাম্মদ এন্তাজুল হক। আয়তন: ৩০৪ হেক্টর, অনুষদ ৯টি, বিভাগ: ৫২টি, উচ্চতর গবেষণা ইন্সটিটিউট ৫টি, আবাসিক  হল ও ডরমিটরি; ১৮টি; (১১টি ছাত্র, ৫টি ছাত্রী ও ১টি গবেষকদের), শিক্ষক: ১১৩১, অফিসার: ৫৭৫, সহায়ক কর্মচারী: ৬৪৩, সাধারণ কর্মচারী: ১২৮৩, শিক্ষার্থী: প্রায় ৩৩ হাজার। এখানে রয়েছে ‘শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা’ নামে দেশের সর্বপ্রথম মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর। ভাস্কর্যের মধ্যে রয়েছে, সাবাশ বাংলাদেশ, গোল্ডেন জুবিলি টাওয়ার, স্ফুলিঙ্গ ইত্যাদি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied