বুধবার, ২৭ মার্চ ২০১৩, দুপুর ০২:১৯
সজিব তৌহিদ, ব্লগার ও সাংবাদিক: অনার্সে পড়ার সময় রংপুরে লোকাল প্রত্রিকায় সৌখিন সাংবাদিকতা করেছি। তখনই খুব কাছ থেকে দেখেছি লোকাল পত্রিকার পেশাজীবী সাংবাদিকদের ছলচাতুরি ও ভণ্ডামি। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে দোষ ত্রুটি বের করে তার বিরুদ্ধে আজ জ্বলাময়ী রিপোর্ট, তো কাল একটা প্রতিবাদ লিপির জন্য তাদের কে পরোচিত করা কিংবা ভয়-ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া ছিল তাদের নিত্যদিনের কাজ। এরকম বিভিন্ন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলাম বটে সাংবাদিকতার কার্ড হারানোর ভয়ে প্রতিবাদী ছিলাম না। আজ রিপোর্ট তো কাল প্রতিবাদ লিপি দিতে আসা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে প্রাপ্ত অর্থ ভাগাভাগিই ছিল লোকাল প্রত্রিকার সাংবাদিক ও সম্পাদকদের আয়ের প্রধান উৎস। এজন্য লোকাল পত্রিকার প্রতি ঘৃণা আর নেতিবাচক ধারণা বহু আগে থেকেই। জাতীয় পত্রিকার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভক্তিটা বিভিন্ন কারণে আলদা ছিল। বিশেষ করে প্রথম আলোর প্রতি। প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান প্রতিবাদ জানালে সেই প্রতিবাদ ছাপানো হতো এবং পাশাপাশি প্রতিবেদকের বক্তব্য থাকতো সেই রিপোর্টের যৌক্তিকতায়। এতে করে প্রথম আলোর বস্তুনিষ্ঠতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা বহুগুণে বেড়ে যেত। আজকাল সে রকম আর দেখা যায় না। যা দেখা যায় তা হলো ২১ মার্চ ২০১৩ তারিখে “দৈনিক প্রথম আলো” পত্রিকায় শ্যামলী টেস্টি স্যালাইন বিষয়ক যে সাংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা সবৈব মিথ্যা, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে যদি উদ্দেশ্যই প্রণোদিত হয় তবে কেন রির্পোটার সে রিপোর্ট করতে গেলেন...? এ প্রশ্নের উত্তর মিলবে না তবে আমি খঁজে পেয়েছি। লোকাল পত্রিকার মত ভণ্ডমি আজকাল জাতীয় পত্রিকাও শুরু করেছে। বিশেষ করে প্রথম আলোর কাছ থেকে এমন প্রতিবেদকের মন্তব্যহীন একতরফা প্রকাশিত “প্রতিবাদ” আমাদের হতাশ করে, ব্যথিত করে, আশাহত করে। এবং মনে করিয়ে দেয় লোকাল পত্রিকার মত ভণ্ডমি আজকাল প্রথম আলোও শুরু করেছে................
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
ভারত থেকে ৩ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করল ভারত
মালিকপক্ষকে জলদস্যুদের ফোন, যে কথা হলো
কমলো সোনার দাম