পুলিশ বলছে, গ্রেপ্তার মুন্নি খাতুন তার স্বামী শহরের ছাতিয়ানী এলাকার মিঠু হোসেন হত্যার ঘটনায় পাবনা সদর থানায় বাদী হয়ে একটি মামলাও করেছিলেন।
পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত)মুন্সি আবু কুদ্দুস জানান, সোমবার বিকালে শহরের ছাতিয়ানী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২১ জুলাই চাটমোহর উপজেলার কাঠগাড়া ব্রিজের নিচ থেকে শহরের ছাতিয়ানী এলাকার হাজী আবুল কাশেমের ছেলে মিঠুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর মুন্নি স্বামী হত্যার ঘটনায় ওই মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক কুদ্দুস বলেন, “মামলা তদন্তের এক পর্যায়ে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মামলার বাদী মুন্নি নিজেই জড়িত বলে পুলিশের সন্দেহ হয়। এর ভিত্তিতে বিকালে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে স্বামী মিঠুকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন মুন্নি।”
পরিদর্শক কুদ্দুস আরও বলেন, “মুন্নি জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে বলেছেন, মিঠু অন্য নারীর সঙ্গে পরকীয়া ও নিয়মিত মাদক সেবন করতেন। মাদক সেবনের ফলে বিভিন্ন সময়ে বাড়িতে ভাংচুর করে চরম অশান্তি সৃষ্টি করতেন।
মিঠুর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে তাকে হত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন মুন্নি। এ ঘটনার পর মিঠুর মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে আরও একটি হত্যা মামলা করেছেন।
মামলায় মিঠুর স্ত্রী মুন্নি (২৫) ও তার সহযোগী শহরের মাঠপাড়ার তোফাজ্জল হোসেন সরদারের ছেলে সুজন (৩০), আতাইকুলা থানার মাধপুর হাটবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে হোসেন আলী কসাইসহ (২৭) অজ্ঞাত পরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা কুদ্দুস বলেন, ওই মামলায় মুন্নিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।