পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত ৩১ জুলাই বড়াইগ্রাম উপজেলার দক্ষিণ মালিপাড়া গ্রামের বুলবুল হোসেনের মুদির দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার দু’দিন পর রোববার সন্দেহমূলকভাবে গ্রামেরই দিনমজুর আবু সামা ও শাকিল ওরফে শাকিব নামে অপর এক কিশোরকে ধরে চুরি হওয়া দোকানের সামনে সুপারি গাছের সাথে বেঁধে নির্দয়ভাবে পেটানো হয়। এ সময় নির্যাতিত আবু সামা নিজেকে নির্দোষ দাবি করলেও রেহাই পায়নি নির্যাতন থেকে। তবে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র কিশোর শাকিল নিজে চুরি না করলেও চুরির সময় পাহাড়া দিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। নির্যাতনের শিকার শাকিল বাড়িতে চিকিৎসা নিলেও বাড়িতে পাওয়া যায়নি অপর অভিযুক্ত আবু সামাকে।
আবু সামার স্ত্রী মাবিয়া বেগম ও শাকিলের মা হাসিনা বেগম জানায়, চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার হয়েছে অন্য একটি বাড়ি থেকে। তারপরও নির্দয়ভাবে দু’জনকে পেটানো হয়েছে। স্বজনরা এর বিচার দাবি করেছেন।
তবে চুরি হওয়া দোকান মালিক বুলবুল হোসেন বলেন অভিযুক্ত শাকিল ও আবু সামা চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা ঘটনার পর স্বীকার করেছে। চুরির অপরাধে তাদের দু’জনকে পেটানো হয়েছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন।
স্থানীয়রা বলেছেন, প্রচলিত আইন উপেক্ষা করে সামজিক বিচারের নামে আইন হাতে তুলে নেয়ার প্রবণতা ঠেকাতে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। স্থানীয় ইউপি মেম্বার কামরুল ইসলাম জানান ঘটনার পর বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এক কর্মকর্তা এসে সামাজিকভাবে মীমাংসার কথা শুনে ফিরে যান।
সাবেক মেম্বার আবদুস সোবহান জানান, চুরির সাথে জড়িত থাকায় সামাজিকভাবে শালিসী বৈঠকের মাধ্যমে তাদের বিচার করা হয়েছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার শ্যামল কুমার মুখার্জী জানান, একটি চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে পেটানোর খবর শুনে তিনি নিজে সেখানে গিয়েছিলেন। তবে এ ব্যাপারে এখনো কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তারপরও তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।