শুক্রবার, ৭ আগস্ট ২০১৫, দুপুর ০১:৩৩
ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী এবং নিয়াজ আহম্মেদ সিপন, লালমনিরহাট: উজানের ঢলে তিস্তা নদীতে বন্যা দেখা দিয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্ত নদীর পানি বিপদসীমার (৫২দশমিক ৪০) ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সব (৪৪টি) জলকপাট খুলে রেখেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এলাকাবাসী জানায় উজানের ঢলে তিস্তায় যে পানি আসছে তা প্রচন্ড ঘোলা ও নোংড়া । এই পানি থেকে চরম র্দূগন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে।এলাকায় বৃষ্টিপাত না থাকলেও উজানের ভারী বৃষ্টিপাতে এবং ঢলে তিস্তা নদীতে এই বন্যার সৃষ্টি করেছে। এতে ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি ও জলঢাকা উপজেলার, গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকার ২৫টি চর ও গ্রামের ১০ হাজার পরিবার বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছে।পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ খান বলেন, তিস্তাবেষ্টিত গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত করেছে। ঘরবাড়িতে হাঁটু পানি উঠেছে।খালিশা চাঁপানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছুল হুদা জানান, পূর্ববাইশপুকুর গ্রামটি তিস্তা ব্যারাজের ভাটিতে হওয়ায় সেখানকার ঘরবাড়িগুলোর ভেতর দিয়ে পানির স্রোত বয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ছোটখাতা, বানপাড়া দুইটি গ্রাম বানের পানিতে তলিতে রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তফিজুর রহমান ও ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রমত তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানান, উজানের ঢলে তিস্তায় পুনরায় পানি বাড়তে থাকে । ইতোমধ্যে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে পানি বন্দি পরিবার গুলোর খোঁজ খবর নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন উদ্ধার
সোনার দামে সব রেকর্ড ভাঙল
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত- প্রধানমন্ত্রী
২১ বছর নানান ধরনের খেলা চলেছে : প্রধানমন্ত্রী
