আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

এয়াভিন শ্রোডিঙার

বুধবার, ১২ আগস্ট ২০১৫, সকাল ০৯:০৮

ডেস্ক : কোয়ান্টাম বলবিদ্যার জনকদের অন্যতম অস্ট্রীয় পদার্থবিজ্ঞানী ও তাত্ত্বিক জীববিজ্ঞানী এয়াভিন শ্রোডিঙার। তিনি ১৮৮৭ সালের এ দিনে (১২ আগস্ট) অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৩ সালে শ্রোডিঙার সমীকরণের জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেছিলেন। তিনি পদার্থবিজ্ঞানের পাশাপাশি জীববিজ্ঞান ও বিজ্ঞানের দর্শনেও খুব উৎসাহী ছিলেন। জৈব পদার্থবিজ্ঞানের ওপর প্রথম গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ তারই লেখা। বিখ্যাত ধাঁধাঁ ‘শ্রোডিঙার বিড়াল’ এর জন্য তিনি বিজ্ঞানের বাইরে অনেকের কাছে পরিচিত। শ্রোডিঙার পড়াশোনা করেন বিখ্যাত ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনার ফিজিক্যাল ইনস্টিটিউটে। এ প্রতিষ্ঠান বিনির্মাণে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন অস্ট্রিয়ার সর্বকালের সেরা বিজ্ঞানী লুডভিগ বোলৎসমান। শ্রোডিঙার ভর্তি হওয়ার আগেই বোলৎসমান আত্মহত্যা করেন। বোলৎসমানই প্রথম নিয়মতান্ত্রিক প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের জগতে পরিসংখ্যান ও সম্ভাব্যতার গোড়াপত্তন করেছিলেন। ১৯২১ সালে শ্রোডিঙার ইউনিভার্সিটি অব জুরিখে গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক নিযুক্ত হন। এখানে থাকাকালেই তরঙ্গ বলবিদ্যার ধারণা প্রকাশ করেন। শ্রোডিঙার সমীকরণের গবেষণাপত্রটি এ সময়ই প্রকাশিত হয়। মাক্স প্লাংক বলেছিলেন, ‘এই সমীকরণই আধুনিক কোয়ান্টাম বলবিদ্যার ভিত্তি স্থাপন করেছে, ধ্রুপদী বলবিদ্যা প্রতিষ্ঠায় আইজাক নিউটন, জোসেফ লুই লাগ্রাঞ্জ এবং উইলিয়াম রোয়ান হ্যামিল্টনদের যে ভূমিকা কোয়ান্টাম বলবিদ্যা প্রতিষ্ঠায় শ্রোডিঙারেরও সেই ভূমিকা।’ ১৯২৬ সালে মাক্স প্লাংক ইউনিভার্সিটি অব বার্লিনে তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রধানের পদ থেকে অবসর গ্রহণ করলে শ্রোডিঙারকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। এরপর প্রুশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেসের সদস্যপদ গ্রহণ করেন। তিনি ওয়েব ফাংশানের নতুন ধরনের ব্যাখ্যা দেন। এরপর ক্রমাগত কোয়ান্টাম বলবিদ্যা নিয়ে প্রচলিত কোপেনহেগেন ব্যাখ্যার সমালোচনা করতে থাকেন। এ সমালোচনাকালে ১৯৩৫ সালে তিনি বিখ্যাত বিড়ালের উদাহরণটি ব্যবহার করেন। এ ধাঁধাঁটি হলো একটি থট এক্সপেরিমেন্ট। যেখানে দেখা যায়, বিষাক্ত তেজষ্ক্রিয়তা ভর্তি একটি কক্ষে একটি বিড়ালের বেঁচে থাকা বা না থাকা একটি দৈবচয়িত বিষয়। একে প্রচলিত কোয়ান্টাম বলবিদ্যা অনুসারে নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। কোয়ান্টাম বলবিদ্যা ছাড়াও শ্রোডিঙার পদার্থবিজ্ঞানের অন্যান্য শাখায়ও কাজ করেছেন। যেমন- পরিসংখ্যানিক বলবিদ্যা, তাপ বলবিদ্যা, বর্ণতত্ত্ব, বিদ্যুৎ বলবিদ্যা, সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদ, বিশ্বতত্ত্ব প্রভৃতি। ইউনিফিল্ড ফিল্ড থিওরির বিকাশে তিনি উল্লেখযোগ্য কাজ করেছেন। জেনেটিকস নিয়েও কাজ করেছেন। তিনি বিজ্ঞানের দর্শন, নীতিবিদ্যা ও ধর্ম নিয়ে আগ্রহী ছিলেন। দর্শন ও প্রায়োগিক জীববিদ্যা নিয়েও তার কাজ রয়েছে। তার লেখা বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সায়েন্স থিওরি অ্যান্ড ম্যান (১৯৫৭) এবং হোয়াট ইজ লাইফ? (১৯৪৬)। তিনি অনেক পুরস্কার ও সন্মাননা লাভ করেছেন। উল্লেখযোগ্য হল- পদার্থবিজ্ঞানের নোবেল (১৯৩৩), মাক্স প্লাংক মেডাল (১৯৩৭), অস্ট্রিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেস পুরস্কার (১৯৫৬) ও অস্ট্রিয়ান ডেকোরেশন ফর সায়েন্স অ্যান্ড আর্ট (১৯৫৭)। শ্রোডিঙার ১৯৬১ সালের ৪ জানুয়ারি ভিয়েনায় মারা যান। সূত্র : অনলাইন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied