আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার       পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ       

 width=
 

বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই

শনিবার, ১৫ আগস্ট ২০১৫, দুপুর ১২:০৭

প্রভাষ আমিন

আগস্ট এলেই আমার মন খারাপ হয়ে যায়। চারদিকে হাহাকার শুনি। এক ১৫ আগস্টই গোটা জাতিকে শোকাতুর করে রাখার জন্য যথেষ্ট। সেখানে আরো অনেকগুলো দিন আগস্ট মাসে কালো মাসে পরিণত করেছে। জঙ্গিরা প্রথম নিজেদের জানান দিয়েছিল ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট, দেশজুড়ে একযোগে বোমা হামলা চালিয়ে। গ্রেনেড হামলা চালিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালানো হয়েছিল ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট। সড়ক দুর্ঘটনায় মিশুক মুনীর-তারেক মাসুদ প্রাণ হারিয়েছিলেন ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট। আবার আগস্টের সাথে আমার একটা অদ্ভুত ব্যক্তিগত বৈপরীত্য আছে। আমাদের পরিবারের তিনজন মানে, আমার স্ত্রী মুক্তি, আমাদের একমাত্র সন্তান প্রসূন এবং আমার জন্মদিন এই আগস্টেই। তবে আগস্ট মাসে ব্যক্তিগত শোক-সুখ বিবেচনার সুযোগ নেই। জাতীয়-আন্তর্জাতিক সব শোক ছাড়িয়ে যায় ১৫ আগস্ট। একটি দেশের রাষ্ট্রপতিকে সপরিবারে হত্যার এমন দৃষ্টান্ত গোটা বিশ্বে আর একটিও নেই। আচরণ দলীয় কর্মীর মতো হলেও অনেক সাংবাদিক নিজেদের নিরপেক্ষ দাবি করেন। কিন্তু আমি কখনোই নিজেকে নিরপেক্ষ দাবি করি না। নিরপেক্ষতার ব্যাপারে আমার অবস্থান পরিষ্কার। আমি দল-নিরপেক্ষ, তবে আদর্শ-নিরপেক্ষ নই। আমি সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে। মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে, ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশের প্রশ্নে আমি নিরপেক্ষ নই। আমি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় একটি সুখী-সমৃদ্ধ, উন্নত, ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চাই। আর এমন বাংলাদেশের স্বপ্ন যিনি দেখিয়েছিলেন, সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব প্রশ্নেও আমার কট্টর পক্ষপাত। জিয়াউর রহমান বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, একাত্তরে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, বাংলাদেশে এখনও তার কোটি কোটি অনুসারী আছেন। কিন্তু নিরপেক্ষতার নামে আমি কখনোই বঙ্গবন্ধু আর জিয়াউর রহমানকে এক পাল্লায় মাপি না। আমি বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধুর মতো একজন অতি সাধারণ মানুষ টুঙ্গিপাড়া থেকে বাংলার কাদামাটি গায়ে মেখে উঠে এসেছিলেন জাতীয় রাজনীতিতে, হয়ে উঠেছিলেন অসাধারণ। একটি জাতির আকাক্সক্ষাকে ধারণ করে এনে দিয়েছিলেন স্বাধীনতা। তাই আমি নিরপেক্ষতার ভান না ধরে সব সময় বঙ্গবন্ধুর কথা বলি। আমার সুযোগ থাকলে আমি বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক কর্মীকে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পাঠ বাধ্যতামূলক করতাম। আমি আবার রিপিট করছি, সব রাজনৈতিক কর্মীকে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পাঠ বাধ্যতামূলক করতাম। এটা শুধু আওয়ামী লীগ বা এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের জন্য নয়। যে যেই দলই করুক, রাজনীতি করতে চাইলে, এই বইয়ের চেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় আর নেই। অজপাড়াগাঁ থেকে উঠে একটি মানুষ কিভাবে একটি জাতির আশা-আকাক্সক্ষাকে ধারণ করতে পারে, এ বইটি পাঠ করলে সবাই তা জানতে পারবে। বিশেষ করে আজকের ছাত্রলীগ, যারা এখন মূল দল আওয়ামী লীগের সম্পদ হওয়ার বদলে বোঝা হয়ে গেছে; সেই ছাত্রলীগের সবাইকে অবশ্যই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পাঠ করতে হবে। আর ছাত্রলীগের নেতা হতে হলে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পাঠ মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। মানে আমি বলতে চাইছি, শুধু পাঠ করলেই হবে না, আত্মস্থ করতে হবে। এখন নেতা হলেই ক্ষমতা, অর্থ, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্ব নিয়ে খুনোখুনি- এই হলো ছাত্রলীগের নামের সমার্থক। অথচ বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পাঠ করলেই তারা বুঝতে পারত, রাজনীতি মানেই ত্যাগ। রাজনীতি মানেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যাওয়া। এই যে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বলেন, তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাস করেন। আমার খুব জানতে ইচ্ছা করে, তাদের দৃষ্টিতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ কী? বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা আছে বইটির পাতায় পাতায়। এটা ঠিক স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারের শাসনামল নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা তর্ক আছে। কিন্তু একাত্তর সালকে বিবেচনায় নিলে বিশ্বের কোনো জাতিই এমন অবিসংবাদিত নেতা পায়নি। কিন্তু স্বাধীনতার মাত্র ৪৪ বছরেই বঙ্গবন্ধু প্রশ্নেও আজ জাতিকে বিভক্ত দেখলে কষ্ট পাই, গ্লানি ভর করে মনে। রাজনীতি আমাদের চোখ এমনভাবে অন্ধ করে রেখেছে যে, যার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেলাম তার জন্মদিনেও ঘটা করে কেক কাটতে আমাদের বিবেকে বাধে না। ১৫ আগস্ট কেউ জন্ম নিতে পারবে না, এমন দাবি আমি করছি না। কিন্তু ১৫ আগস্ট জন্মদিন হলেই তা ঘটা করে পালন করতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। এটা ¯্রফে রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব। তবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সত্যি সত্যি ১৫ আগস্টে জন্মেছিলেন কি না, তা নিয়ে বিতর্ক আছে। ১৯৯২ সাল থেকে খালেদা জিয়া ১৫ আগস্ট জন্মদিন পালন করছেন। যদি ১৯৭৫-এর আগে থেকেই তিনি তার জন্মদিন ১৫ আগস্ট পালন করতেন, তাহলেও একটা যুক্তি থাকত। কিন্তু হুট করে ১৫ আগস্ট ঘটা করে কেক কেটে জন্মদিন পালন করা খুব দৃষ্টিকটূ। খালেদা জিয়ার জন্মদিন যদি সত্যি সত্যি ১৫ আগস্ট হয়ও, তাহলে এভাবে পালন করাটা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থি। তিনি একদিন আগে-পরে পালন করতে পারেন। সবচেয়ে ভালো হয়, বেগম জিয়া ১৫ আগস্ট মিলাদ-মাহফিলে জন্মদিন পালন করলে। কারণ তিনি বাংলাদেশে যে আদর্শেও রাজনীতি করেন, তার সঙ্গে কেক কেটে জন্মদিন উদ্্যাপনের সংস্কৃতি সমান্তরাল নয়। এটা বিস্ময়কর, স্বাধীন বাংলাদেশে ৪৪ বছর পরও স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ বলে দুটি পক্ষ আছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক। আমি চাই বাংলাদেশে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি বলে কিছু থাকবে না, থাকলেও স্বাধীন বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার অধিকার থাকবে না। সরকারি দল, বিরোধী দল সবাই হবে, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। আমি চাই, জাতির পিতা প্রশ্নেও সব রাজনৈতিক দলের অভিন্ন অবস্থান থাকবে। এবার বঙ্গবন্ধুর হত্যার ৪০ বছর হচ্ছে। তাই আওয়ামী লীগ ৪০ দিন ধরে দিনটি পালন করছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সর্বজনীনভাবে দিনটি পালনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। খুব ভালো আহ্বান, আমিও তাই চাই। আমি জানি, একদিন না একদিন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী সর্বজনীনভাবে পালিত হবেই। তবে এখন সর্বজনীনভাবে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী পালনের সবচেয়ে বড় বাধা আওয়ামী লীগই। দলটি বঙ্গবন্ধুকে এমনভাবে কুক্ষিগত করে রেখেছে, যে আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করতে গিয়ে অনেকেই বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা করে ফেলেন। আওয়ামী লীগার হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকে বঙ্গবন্ধুর ন্যায্য প্রশংসাটাও করেন না। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ‘জয়বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের রণ স্লোগান। এ দুটি শব্দবন্ধ একসঙ্গে, এক নিশ্বাসে উচ্চারিত হতো। কিন্তু আজ বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অনেকেও ‘জয়বাংলা’ বলেন, কিন্তু আওয়ামী লীগের সিল লেগে যাওয়ার ভয়ে ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ উচ্চারণ করেন না। এমনকি গণজাগরণ মঞ্চে ‘জয়বাংলা’ স্লোগান থাকলেও নিষিদ্ধ ছিল ‘জয় বঙ্গবন্ধু’। এ আসলে আমাদের হীনম্মন্যতা, আওয়ামী লীগের দলীয়করণ, তাতে বঙ্গবন্ধুর মহত্ত্ব একটুও কমে না। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের একার সম্পদ নয়, তিনি জাতির পিতা। ৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ছিলেন দীর্ঘদিন। চেষ্টা হয়েছিল আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার। কিন্তু সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা অগণিত নেতা-কর্মী ধরে রেখেছিল সংগঠন। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। ২১ বছর পর রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে উচ্চারিত হয় বঙ্গবন্ধুর নাম। অন্য রকম এক আবেগের ঢেউ খেলে যায় বাংলাদেশে। কিন্তু আওয়ামী লীগ অতি ব্যবহারে সে আবেগটাও নষ্ট করে ফেলেছে। গত কয়েক বছরে শোকের নামে আওয়ামী লীগ বাড়াবাড়ি করে। আগের দিন থেকে দেশজুড়ে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আর দেশাত্মবোধক গান বাজে। একটা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। গত বছর ১৪ আগস্ট রাতে অফিস থেকে ইকবাল রোডের বাসায় ফিরেই শুনি উল্টো দিকে উচ্চস্বরে মাইক বাজছে। শুনে মনটাই ভালো হয়ে গেল। কারণ মাইকে বাজছে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ আর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের দেশের গান। আমি বঙ্গবন্ধুর ভাষণের সঙ্গে গলা মেলাই ‘এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’। টেবিলে তাল ঠুকে ঠুকে কোরাস গাই ‘শোন একটি মুজিবরের থেকে...।’ প্রসূন ঝামটা দিল, বাবা থামো তো। এমনিতেই কান ঝালাপালা, আবার তুমি শুরু করেছ। আমি প্রসূনকে বোঝাই, বাবা বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতির পিতা। তিনি না থাকলে আমরা বাংলাদেশ পেতাম না। প্রসূন চুপ করে থাকে, কিন্তু তার চেহারা থেকে বিরক্তিটা যায় না। কিন্তু বাসায় ফেরার ১৩ ঘণ্টা পর আমিও বুঝলাম, প্রসূন কেন বিরক্ত হয়েছিল। জানলাম, ১৪ আগস্ট দুপুর থেকেই শুরু হয়েছে এই অত্যাচার। প্রসূনও ৯-১০ ঘণ্টা পরই বিরক্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণটি আমার কাছে কবিতার মতো মনে হয়। হাজারবার শুনেছি, লক্ষবার শুনতেও আপত্তি নেই। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গানও যতবারই শুনি উজ্জীবিত হই, অন্য রকম আবেগে আপ্লুত হই। তেমন প্রিয় দুটি বিষয়ই আজ আমাকে বিরক্ত করছে, আমার সন্তানকে বিরক্ত করছে। না জানি সারা বাংলাদেশে এমন কত লাখ মানুষকে বিরক্ত করেছে আওয়ামী লীগাররা। আমি খালি ভাবি আমার মতো লোক, বঙ্গবন্ধুর প্রতি যার প্রবল পক্ষপাত, সেও বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে বিরক্ত হয়ে যাই; বঙ্গবন্ধুর ব্যাপারে যাদের আবেগ আমার মতো তীব্র নয়, তাদের বিরক্তির মাত্রাটা কত। আমি জানি এবারও ১৫ আগস্টকে ঘিরে সারা দেশে ২-৩ দিন ধরে টানা বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজবে এবং সেটা অতি বাজে সাউন্ড সিস্টেমে। আপনি পালিয়েও রক্ষা পাবেন না। কারণ পালানোর কোনো জায়গা পাবেন না। সারা দেশেই বাজবে। লেবু বেশি চিপলে তিতা হয়ে যায়। যতই প্রিয় হোক, তিন বেলা পোলাও কেউ খেতে পারে না। এই বিষয়টা যদি কেউ তাদের বোঝাতেন, তাহলে আমাদের কত না উপকার হতো। কিন্তু আওয়ামী লীগারদের বোঝাতে যাবেন, অত বড় বুকের পাটা কার আছে। আমরা না হয় শোকাহত। কিন্তু তারা তো শোককে শক্তিতে পরিণত করে ফেলেছে। আর আমাদের শোককে পরিণত করেছে বিরক্তিতে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আদিখ্যেতা বেশি, চামড়া বাঁচাতে বিএনপি-জামায়াত থেকে আসা নব্য আওয়ামী লীগার, হাইব্রিড আওয়ামী লীগার আর সারা জীবন বঙ্গবন্ধুর বিরোধিতা করে আসা রাজনীতিবিদদের মধ্যে। কিন্তু আমি নিশ্চিত তারা যত জোরে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজিয়ে মানুষকে বিরক্ত করেন, হৃদয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্য ততটা মমতা পোষণ করেন না। পোস্টারজুড়ে নিজের ছবি দিয়ে কোনায় বঙ্গবন্ধুকে স্ট্যাম্প সাইজ করা আওয়ামী লীগাররা বঙ্গবন্ধুকে ব্যবহার করেন নিজেদের প্রচারের জন্য। বঙ্গবন্ধুর নামে মসজিদ বানায় জায়গা দখল করার জন্য। কিন্তু আমরা শঙ্কিত হই। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে এই হাইব্রিড মৌসুমি বঙ্গবন্ধুপ্রেমিক, যারা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের শোককে বিরক্তিকে পরিণত করছেন, তাদের টিকিটিও খুঁজে পাওয়া যাবে না। এই সুবিধাবাদীদের খপ্পর থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করে তাঁকে ফিরিয়ে দিতে হবে বাংলার আপামর জনগণের কাছে। যারা তাঁকে বঙ্গবন্ধু বলেন না, বলেন মজিবর বা শেখ সাব। এই দায়িত্ব বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেই নিতে হবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied