শনিবার, ১৫ আগস্ট ২০১৫, রাত ০৮:২৭
বগুড়া : জেলার শেরপুর উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামে ১৯৭১ সালে হতদরিদ্র কৃষক আবদুল হান্নান এর জন্ম। মুক্তিযুদ্ধ না দেখলেও ছোটবেলা থেকেই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তার কানে ব্যাপক নাড়া দেয়। কেবল ইতিহাসের প্রতি আগ্রহ নয়, ভাস্কর্যের প্রতিও তার মনোযোগ ধারণাতীত। কিশোর বয়স থেকেই তার মানে নিজেকে ভাস্কর্যশিল্পী হিসেবে গড়ে তোলার আগ্রহ ছিল ব্যাপক। অভাবের সংসার তবুও ভাস্কর্য তৈরির প্রয়োজনীয় উপকরণ যোগাড়ের স্বপ্ন মন থেকে সরাতে পারেননি। মাঠে কৃষকের কাজ করে স্ত্রী-ছেলে পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেলেও মনের মধ্যে শৈল্পিক ভাবনাকে বাস্তবে রূপদান দিতে সামান্য লেখাপড়ায় চাকরি নেন কোম্পানির পণ্য বাজারজাতকরণে। বেতনের সামান্য পুঁজি নিয়ে নিজের মাথা গোঁজার ঘরের মধ্যে ভাস্কর্য শিল্পের শুভ সূচনা করেন। কোনো ওস্তাদগত সান্নিধ্য না নিয়েই অন্তরের চোখ দিয়ে কল্পনা বাস্তবে রূপদান করেছেন হান্নান। তাই তো তিনি নতুন ভাস্কর্য তৈরি শুরু করেন। বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি তৈরি করেছেন নিপুণ হাতে। ভাস্কর্য তৈরির উপকরণ হিসেবে বেছে নেন সিমেন্ট, বালি, কাঠের তৈরি ফ্রেম, স্টাইলস বা মোজাইক। ব্যবহার করেন রং তুলিও। ৫০ ইঞ্চি দৈর্ঘ, ৪০ ইঞ্চি প্রশস্ত ভাস্কর্যটির ওজন প্রায় আড়াই মণ। ভাস্কর্য শিল্পী কৃষক আব্দুল হান্নান এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘কিশোর বয়স থেকেই স্বপ্ন নিজেকে ভাস্কর্যশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। তাই তো আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে নিজের শৈল্পিক ভাবনায় জাতির জনকের আদল তৈরি করেছি।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ভাস্কর্যটি পৌঁছে দিতে চাই। যদি শেখ হাসিনা এটি গ্রহণ করতেন তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করতাম।’
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন উদ্ধার
সোনার দামে সব রেকর্ড ভাঙল
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত- প্রধানমন্ত্রী
২১ বছর নানান ধরনের খেলা চলেছে : প্রধানমন্ত্রী