আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ॥ চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী       নীলফামারীতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন       নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু       কিশোরীগঞ্জে পাঁচতলা ভবন থেকে পড়ে এক ব্যাক্তির রহস্যজনক মৃত্যু       উপজেলা নির্বাচনে জাপার প্রার্থী হতে চান না কেউ      

 width=
 

ঠাকুরগাঁওয়ে মেয়েকে লুকিয়ে রেখে অপহরণ মামলা, অতঃপর উদ্ধার

বুধবার, ২৬ আগস্ট ২০১৫, দুপুর ০২:৩২

গত বুধবার পুলিশ মুন্সিগঞ্জ খালিস্ট মোড় এলাকা থেকে ওই মেয়েকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও থানায় নিয়ে আসে।

পরে মেয়েটি ঠাকুরগাঁও চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৬৪ ধারায় জবাববন্দি দিয়ে সাজানো অপহরনের কথা স্বীকার করেন।

৬৪ ধারায় জবাববন্দিতে আমেনা জানান, তার বাবা অলিয়ার রহমান তাকে ঢাকায় নূর এ আলম নামে ব্যক্তির বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ দেন। কয়েক মাস কাজ করার পরে পরিবার আমাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য বোদা পাঠান পাড়ায় নিয়ে আসেন। বিয়ের কিছু দিন পরেই আমার সংসার ভেঙ্গে যায়। বাবা আবার আমাকে বুদ্ধি করে ঢাকায় নূর এ আলম এর বাড়িতে নিয়ে যায়।

যাওয়ার আগে বলেছিল কিছুদিন পর বাড়িতে কেউ না থাকলে বাসা থেকে বের হয়ে আসতে। ঠিক সেই মোতাবেক একদিন বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে বাবাকে মোবাইল ফোনে জানায়। বাবা আমাকে পরে মুন্সিগঞ্জ খালিস্ট মোড় এলাকায় এক বাড়িতে যেতে বলে। এর পরে আমার বাবা অলিয়ার রহমান আমার বাসার মালিক নূর এ আলম ও আমাদের গ্রামের বাসার প্রতিবেশি জাহাঙ্গীর আলমের নামে একটি মানব পাচার মামলা দায়ের করে। পরর্তীতে ওই দুজনের কাছে আমার বাবা ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। আসলে কেউ আমাকে অপহরণ বা পাচার করেনি। আমার বাবাই এই ঘটনাটি সাজিয়েছে।

মামলার আসামী জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে অলিয়ার রহমানের মেয়েকে গৃহকর্মীর কাজে নিয়োগ দেয়। পরবর্তীতে ওই মেয়ে তার বাবা বাড়িতে নিয়ে এসে বিয়ে দেয়। এর পরে আমি আর কিছু জানি না। পরবর্তীতে শুনি ওই মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার পর আবার ঢাকায় পাঠিয়েছে তার বাবা। যাওয়ার কয়েকদিন পরে ওই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসলে অলিয়ার রহমাান আমার নামে ও নূর এ আলমের নামে একটি মিথ্যা মানব পাচার মামলা করেন ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে। এর পরে ওই মামলায় আমি দুইবার হাজতে যাই। আমরা এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞ আদালতের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

আর এক আসামী নূর এ আলম জানান, মেয়েটি আমার বাসায় ভাল ভাবেই কাজ করছিল। তার উপর আমার পরিবার নির্ভরশীল হয়েছিল। আমরা বাসায় কেউ না থাকায় একদিন হঠাৎ সে বাড়ির গার্ডকে সাবান কেনার কথা বলে বেড়িয়ে পড়ে। তারপর সে আর বাড়িতে ফেরত আসেনি। এ ঘটনায় ওই রাতে ঢাকার পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। তার পরের দিন একটি জাতীয় দৈনিকে নিখোঁজ সংবাদ প্রকাশ করি। কিন্তু মেয়ের বাবা হঠাৎ করে একটি মিথ্যা মানব পাচায় মামলা দায়ের করে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে আদালতে। কয়েকদিন পরে মেয়ের বাবা আমার কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন। এর পর থেকেই মামলা ভয়ে আমি ঘর ছাড়া।

মামলার বাদী অলিয়ার রহমান ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন। এ বিয়ষে কোন কিছু বলতে আর রাজি হয়নি।

ঠাকুরগাঁও থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী হাসান জানান, মামলার আসামীদের তথ্যানুসারে পুলিশ মুন্সিগঞ্জ খালিস্ট মোড় এলাকা থেকে ওই মেয়েকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও থানায় নিয়ে আসে। এর পর মেয়েটি জবানবন্দি দিয়ে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied