যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে জাসদের দুই নেতার মন্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবগত রয়েছেন। ১৪ দলের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ বছর যা বৃষ্টিপাত হয়েছে তা বিগত ২০-৩০ বছরেও হয়নি। আমি সড়ক পরিদর্শনে বের হয়েছি কারণ নিম্নমানের কাজ হলেই সেই সড়ক নষ্ট হয়ে যাবে। সরেজমিন না আসলে তা চোখে দেখা যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা থেকে আইন করা যায় কিন্তু তা বাস্তবায়ন করা যায় না। এখান থেকে ওখানে বসে প্রকৃত তথ্যও কেউ দিতে চায় না। এ জন্যই আমার এই সফর।’
রাজশাহীসহ সারা দেশে মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে দলে (আওয়ামী লীগে) যোগদান প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘এ সব হাইব্রিড নেতাদের দলে কোনো প্রয়োজন নেই। এ সব নেতারা সব সময় দলের ক্ষতি করে। যে যেখানেই যোগদান করুক না কেন, কেন্দ্রের অনুমোদন না পেলে তা চূড়ান্ত হবে না। দলের নীতিনির্ধারকসহ স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিষয়টি মনিটরিং করছেন।’
জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বাড়লে পরিবহন সেক্টরে কোনো প্রভাব পড়বে কি না— বিষয়টি নাকচ করে দিয় মন্ত্রী বলেন, ‘পরিবহন নেতারা এখন অনেক বেশি সচেতন। তারা জানে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই তেলের দাম উঠা-নামা করাতে হয়।’
এর আগে মন্ত্রী রাজশাহী বিভাগের সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীদের নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি আসন্ন ঈদুল আজহায় ঘরমুখো যাত্রীদের সড়কপথে যেন কোনো বিড়ম্বনা পোহাতে না হয়, সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা এবং ঈদের এক সপ্তাহ আগে সব সড়ক মেরামতের নির্দেশ দেন।
বৈঠকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহাসড়ক ২০ থেকে ৩০ ফিটে উন্নতি করারও নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।