আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

জাসদ বিতর্ক ও আদর্শচ্যুত রাজনীতি

রবিবার, ৩০ আগস্ট ২০১৫, দুপুর ০৩:২২

গেল জাতীয় শোক দিবসে “জীবিত থাকলে অনেক কষ্ট পেতেন বঙ্গবন্ধু” এই শিরোনামে একটি নিবন্ধ লিখেছিলাম। এরও কয়েকদিন আগে আরেকটি নিবন্ধ লিখেছিলাম “সিরাজ সিকদার-কর্নেল তাহেররা জীবিত থাকলে অনেক কষ্ট পেতেন” এই শিরোনামে। নিবন্ধ দুটি বাংলামেইলসহ বেশ কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ওই নিবন্ধ দুটিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পূর্ববর্তী সময়ে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে তৎকালীন বাম সংগঠনের বিশেষ করে জাসদ নেতাদের সম্পর্ক, তখনকার রাজনীতির বাস্তবতা এবং আজকের আওয়ামী সরকারের মন্ত্রীসভায় অধিষ্ঠিত কয়েকজন মন্ত্রীর তখনকার ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছিলাম। মূলত, বর্তমানে আওয়ামী লীগ, জাসদসহ বাম নেতাদের রাজনৈতিক দৈন্যতা ও নীতিহীন রাজনীতি দেখে হৃদয়ে যে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল তা পাঠকদের সাথে শেয়ার করে কিছুটা প্রশমিত করার চেষ্টা করছিলাম। তখনও ভাবতে পারিনি বিষয়টি এত আলোচনায় আসবে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে এতটা হৈ চৈ হবে। আমরা কী লক্ষ্য করলাম, জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে গেল কয়েকদিনে বিভিন্ন স্থানে আয়োজিত আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি ও মুজিব সরকার উৎখাতে গণবাহিনীর সশস্ত্র বিপ্লবের সেকেন্ড ইন কমান্ড ইনু ও তার দল জাসদকে সরাসরি অভিযুক্ত করে আওয়ামী লীগ নেতা শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মাহবুব উল আলম হানিফ ও ক্যাপ্টেন অব. এবিএম তাজুল ইসলামসহ আরো কয়েকজনমন্ত্রী বক্তব্য দেন। তারা কোনো ধরনের সংকোচবোধ না করে তখনকার রাজনীতির বিষয়টি তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট কারা তৈরি করেছিলেন তা সুষ্পষ্টভাবে উল্লেখ করেন। বিষয়টি নিয়ে রাজনীতির মাঠে বেশ হৈ চৈ চলছে। ফলে আওয়ামী লীগের যেসব নেতা চরম সত্যকে স্বীকার করে ইতিহাসকে বিকৃত না করার সাহসিকতা দেখিয়েছেন এজন্য প্রথমেই আমি তাদেরকে সাধুবাদ ও  অভিনন্দন জানাই। এখন আসি গেল কয়েক দিনে এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে কে কী বলেছেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল জাসদ। ‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে কেএম সফিউল্লাহ, জিয়া,কর্নেল তাহের জড়িত ছিল।’ কেএম সফিউল্লাহ বেঁচেও মরে আছেন। তিনি এখন একের পর এক মিথ্যা কথা বলছেন।’ আওয়ামী লীগের এই নেতা আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করে জাসদ’। তিনি এই জাসদকে চেনার জন্য মহিউদ্দীন আহমেদের ‘জাসদের উত্থান পতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি’ বইটি পড়ারও পরামর্শ দেন নেতাকর্মীদের। একই প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ মঙ্গলবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘জাসদ-ন্যাপসহ যারা বাম রাজনীতি করতেন তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিলেন।’ একই দিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা ট্যাংকের ওপর দাঁড়িয়ে উল্লাস করেছিল কথিত সেই বিপ্লবীদের কথা আমরা ভুলিনি। পঁচাত্তরের আগে বিপ্লবের নামে রাজনীতিতে যে অস্থির পরিবেশ তৈরি করা হয়েছিল, তার খেসারত পুরো জাতিকে দিতে হয়েছিল।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবসের এক আলোচনায় একই ধরনের বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ক্যাপ্টেন (অব.) তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) কারণেই সামরিক বাহিনী ৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার সাহস পায়।’ তিনি বলেন, ‘ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, আজকে আমাদের জাসদের সাথে রাজনীতি করতে হচ্ছে। পঁচাত্তরের মুজিব হত্যার জন্য তারাও দায়ী ছিল।’ এরই প্রেক্ষিতে গেল সোমবার বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুব রহমান হত্যাকাণ্ডে জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু ও তাদের গণবাহিনীর ভূমিকা বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে জাতির সামনে পরিষ্কার করা উচিত। এছাড়া বিএনপি নেতা গয়েশ্বর বলেন, ‘১৯৭৪ সালে আমি জাসদে ছিলাম। আমি নিশ্চিত তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়িতে আনোয়ার হোসেন ও হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বেই গুলি করা হয়েছিল।’ তবে এ প্রসঙ্গে হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জাসদকে জড়ানোর যে অপচেষ্টা বা ষড়যন্ত্র - এটার কোনো ভিত্তি নেই।’ তিনি এর মধ্যে নতুন ষড়যন্ত্র খোঁজার চেষ্টা করছেন। জাসদের পক্ষ থেকে কড়াভাষায় বিবৃতি দিয়েও বঙ্গবন্ধু হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করা হয়। ফলে এ নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি থেকেই যাচ্ছে। তাই আজ নিজের দায়িত্ববোধ থেকেই দু’কলম লিখতে বসলাম। ৪০ বছর পর এ বিতর্ককে অনেকেই অযথা বিতর্ক বলতে পারেন, তবে আমি কিন্তু সেভাবে দেখছি না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যেমন নতুন প্রজন্মের জানার অধিকার আছে তেমনি মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের ইতিহাসও জানার অধিকার রয়েছে তাদের। অন্যথা নতুন প্রজন্মের প্রতি অনেকটাই অবিচার করা হবে। হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেনন ভাইয়েরা তখনকার তাদের ভুমিকার কথা স্বীকার করুক আর নাইবা করুক। ইতিহাস কখনো তা অস্বীকার করতে পারে না। ইতিহাস নিজস্ব গতিতেই অগ্রসর হয়। কেউ ইচ্ছা করলেই তাকে বিকৃত করতে পারে না। এরপরও ১৯৭৪-৭৫ এর প্রত্যক্ষদর্শীরা আজও জীবিত। ফলে ১৯৭৪ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর বাড়িতে আনোয়ার হোসেন ও হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে যে হামলা ও গুলি করা হয়েছিল তা কি করে তারা অস্বীকার করবেন। তাদের সে সময়কার সহযোদ্ধা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তো অকপটে স্বীকার করে বিষয়টি পরিষ্কার করে দিলেন। যদিও তিনি মোক্ষম সময়ে এই বক্তব্য দিয়ে রাজনীতির মাঠে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করেছেন, এরপরও এটিই চরম সত্য। এছাড়া আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজে ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর ছেলে আজকের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও এসব ঘটনার প্রত্যক্ষদশী ও চাক্ষুস স্বাক্ষী। ইতিহাস যা বলে তাতে, তখনকার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ইনু-মেনন ভাইদের অগ্রজপ্রতীম বাম নেতা- সিরাজ শিকদার আর কর্নেল তাহেররা বঙ্গবন্ধুকে ঘরে-বাইরে সর্বত্রই নানাভাবে নাজেহাল করার চেষ্টা করেন। সেই সময়কার কথা ওরা যেমন জীবিত মুজিবকে একদিনও শান্তিতে থাকতে দেয়নি তেমনি মৃত মুজিবকেও নয়। কেননা, আজকের মন্ত্রীসভার প্রভাবশালী সদস্য তখনকার বাম রাজনীনৈতিক নেত্রী মতিয়া চৌধুরী শেখ মুজিব সম্পর্কে কি মন্তব্য করেছিলেন, এছাড়া রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত, দিলীপ বড়ুয়া, শাহজাহান খানসহ আরো অনেক বাম নেতাদের কী ভূমিকা ছিল, ওই সময়  কাদের ষড়যন্ত্র আর কর্মকাণ্ডের ফসল ছিল ১৫ আগস্টের ইতিহাসের নির্মম এই ঘটনা, তা অবশ্য এদেশের সিনিয়র সিটিজেনদের জানা থাকার কথা। ফলে এ বিষয়টি নিরপেক্ষ তদন্ত হলে অনেক প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীও পাওয়া যেতে পারে। আগের নিবন্ধগুলোতে উল্লেখ করেছিলাম তখনকার পরিস্থিতি মুজিবের জন্য এতটাই অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল যে, একপর্যায়ে গণতন্ত্রের চেতনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় সব দল বিলুপ্ত করে দিয়ে তাকে বাকশালের মতো একটি এক দলীয় শাসনের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছিল। বাধ্য করেছিল একনায়কতন্ত্রের নেতা সাজতে। এরপরও ওদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পাননি তিনি। অন্যদিকে এ কথাও সত্য যে, ইনু-মেনন ভাইদের পূর্বসূরী সিরাজ সিকদার এবং কর্নেল তাহের, যারা বৈষম্যহীন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের প্রচেষ্টায় জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। যারা স্বপ্ন দেখতেন একটি বৈষম্যহীন সমাজের। যারা লোভ লালসা বিলাসী জীবনের মোহ উৎসর্গ করে বেছে নিয়েছিলেন সংগ্রামের পথ। জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন তারা একটি মুক্ত সমাজের জন্যই লড়াই করেছেন। আপোষ করেননি বরং হাসিমুখে মৃত্যুকে বরণ করে নিয়েছিলেন। শোষণের রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভীত কাপিয়ে দেন এই সাহসী পুরুষরা। তাদের দেখানো পথে হেঁটেই তৎকালীন মুজিব তথা বাকশাল সরকারের হাতে ৩০ হাজার বাম নেতাকর্মীর চরম নির্যাতনে জীবন দিতে হয়েছে। এমন কী সিরাজ সিকদার হত্যার পর আওয়ামী লীগের নেতারা সংসদে দাঁড়িয়ে দম্ভোক্তি করেছিলেন। তখনকার সময়ে বাকশাল সরকার বাম-নেতাকর্মীদের উপর যে ধরনের নির্মম নির্যাতন চালিয়েছিল তা মানব ইতিহাসে খুবই বিরল। আর মেনন, কিংবা হাসানুল হক ইনু ভাইরা তো তাদের সহযোগী ছিলেন। আজ তারা পূর্বসূরী সিরাজ সিকদার এবং কর্নেল তাহের ভাইদের নীতি আদর্শচ্যুত হয়ে ক্ষমতার স্বাদ আস্বাদন করছেন। ক্ষমতা তাদের সব কিছু ভুলিয়ে রেখেছে। এভাবে তারা যতই ভুলে থাকুক না কেন, এটা সত্য যে- ইতিহাস কখনো অসত্য বলে না। ফলে এদেশে বামপন্থী রাজনীতির পথপদর্শক সেই সিরাজ সিকদার এবং কর্নেল তাহের ভাইদের রক্তের সাথে যারা বিশ্বাসঘাতকতা করছে তাদের এই রাজনীতিকে অন্তত: আমি রাজনীতি বলতেই চাই না, এটা তাদের ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ ছাড়া আর কিছুই নয়। সেই সাথে একসময়ের বাংলার জমিনে জনপ্রিয় বাম রাজনীতির কবর রচনা ছাড়া আর কিছুই নয়। একইভাবে আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে বলতে চাই- গ্রাম বাংলায় বহুল প্রচলিত একটি প্রবাদ আছে- ‘পিতৃ হন্তাকে মানুষ ভুলতে পারে, কিন্তু সম্পদ আত্মসাৎকারীকে কোনো দিন ভুলতে পারে না। কিন্তু আজ রাজনীতির খুবই নির্মম ইতিহাস হলো- আওয়ামী লীগের ক্ষমতার ভাগাভাগির রাজনীতিতে যোগ দিয়েছে বঙ্গবন্ধুর চরম শত্রুরাও। যারা জীবিত মুজিবকে অবর্ণনীয় কষ্ট দিয়েছেন। তাই আজ আওয়ামী লীগ তথা বঙ্গবন্ধুর কন্যার রাজনীতি দেখে আমাদের কষ্ট পাওয়া ছাড়া আর কিছুই করার নেই। কেননা, যে ইনু ও মতিয়ার মত লোকেরা বঙ্গবন্ধুকে গালিগালাজ করে সকাল শুরু করতেন, সেই ইনু-মতিয়ারা আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডান হাত। তাই আজ যদি সত্যিই বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সহযোগীরা বেঁচে থাকতেন তবে- জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা তথা নিজেদের শত্রুদের সাথে নিজ কন্যা-সন্তানদের এমন মধুর আঁতাতের রাজনীতি দেখে সত্যিই চোখের জল ফেলে বুক ভাসানো ছাড়া তাদের আর কিছুই করার থাকতো না। সবশেষে বলবো, যাদের ষড়যন্ত্রে ৭৫ এ গণতন্ত্র নির্বাসনে গিয়েছিল, যাদের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এমন একটি নৃশংস ঘটনা ঘটাতে সক্ষম হয়েছিল, যারা বঙ্গবন্ধুর  চিরশত্রু ছিলেন, তাদের সাথে আঁতাতের রাজনীতি কখনো বঙ্গবন্ধুর চেতনা হতে পারে না। এটা আওয়ামী লীগের জন্য কোনো আদর্শভিত্তিক রাজনীতি হতে পারে না। এটা বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও তার সহচরদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কিছুই নয়। ফলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস,  রাজনীতির এই বিতর্ক থেকে এবিষয়ে আওয়ামী লীগের নেতানেত্রীদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। কেননাআদর্শচ্যুত রাজনীতি কখনো কারো জন্য সুফল বয়ে আনে না। এটা কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শচ্যুত হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের যেমনটি আজ কঠোর মাশুল দিতে হচ্ছে, তেমনি আদর্শচ্যুতির জন্য আওয়ামী লীগ ও বাম রাজনৈতিক সংগঠনগুলোকেও একদিন কঠোর মাশুল গুনতে হবে। লেখক: গবেষক ও কলামলেখক। ই-মেইল:sarderanis@gmail.com *** প্রকাশিত খোলা কলমে লেখকের একান্তই নিজস্ব। উত্তর বাংলা-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য উত্তর বাংলা কর্তৃপক্ষ খোলা কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।

মন্তব্য করুন


 

Link copied