ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সকালে।
অভিযোগে জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলা সদরে অবস্থিত-আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক হানিফ ক্লাস শেষে এক ধনির দুলালীকে প্রাইভেট পড়ানোর উদ্দেশ্যে নির্জন ঘরে নিয়ে বল পূর্বক শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। বাসায় গিয়ে ওই ছাত্রী সব ঘটনা বলে দেয়।
ফলে,ওই ছাত্রীর অভিভাবকরা বুধবার, শিক্ষক হানিফকে উপজেলা সদরের একটি বাসায় ডেকে নিয়ে, বেদম প্রহার করে। পরে সংবাদ পেয়ে, আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, রফিকুল ইসলাম, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির ২ সদস্যকে সাথে নিয়ে ওই বাসায় যান এবং হানিফকে উদ্ধার করে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসেন।
এদিকে,সহপাঠী-শিক্ষক কর্তৃক শ্লীলতাহানী শিকার হয়েছে-এ খবর জানাজানি হলে,বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা ওই শিক্ষকের বিচারের দাবিতে ক্লাস বর্জনের হুমকি প্রদান করা সহ বিক্ষোভ প্রদর্শনের প্রস্তুতি নিলে, পরিস্থিতি সামাল দিতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরুরী বৈঠকে বসেন। পরে অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির প্রতিশ্র“তি প্রদান করলে বিক্ষুদ্ধ ছাত্রীরা শান্ত হয়।
এ ব্যাপারে কথা হলে, পীরগঞ্জ আদর্শ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, আ, স, ম, রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বিধি মোতাবেক ওই শিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, ইতি পূর্বের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নেয়ার পরও, তাকে মানবিক কারণে শেষ বারের মতো মানা করা হয়েছিল। কিন্তু এবারের ঘটনায় তাকে মানা করার কোন সুযোগ নেই।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির প্রভাবশালী সদস্য, উপজেলা জাসদের সভাপতি, মীর মুহাম্মদ আলী মানিক সাংবাদিকদের বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ ধরনের একাধিক অভিযোগ থাকায়, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া আর কোন রাস্তাই খোলা নেই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রীর অভিভাবক বলেন, তার মেয়ের সংগে ওই শিক্ষক খারাপ আচরণ করেছে। তিনি লিখিত ভাবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাবেন বলে জানান।
অভিযুক্ত শিক হানিফ বলেন, আমি তার শরীরে হাত দেইনি। আমি নির্দোষ। তবে তিনি, ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের ব্যাপারে কোন কথা বলেন নি।
বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,ওই শিক্ষক বারবার এ রকম ঘটনা ঘটাচ্ছেন, তার বিচার না হলে ক্লাস বর্জন করবো । এ ব্যাপারে অভিভাবক গন উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সু- দৃষ্টি কামনা করছেন।