আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

ভারতীয় সিরিয়াল দেখে সহপাঠীকে হত্যা

মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫, দুপুর ০৪:৩৫

আটক তিন কিশোর হুসাইদ হোসেন (১৫) বাইজিদ হাসান (১৪) ও নাঈম হোসেন পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তানভীরকে হত্যা করে লাশ গুম করার কথা স্বীকার করেছে। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে জেলা শহরের আলাইপুর আশরাফুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার পাশে এক বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংক থেকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৫ তানভীরের লাশ উদ্ধার করে।

নাটোর সদর থানা ও র‌্যাব সূত্রে জানা যায়, শহরের উত্তর বড়গাছা হাফরাসত্মা এলাকার সাইফুল ইসলামের পুত্র তানভীর হোসেন (১১) গত চার বছর ধরে আলাইপুর আশরাফুল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়ালেখা করছিল। এর মধ্যে সে ৯ পারার হাফেজ হয়েছে। গত মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে তার মা ফিরোজা বেগম ও বাবা সাইফুল ইসলাম ওরফে তুষার মাদ্রাসায় গিয়ে তাদের একমাত্র সন্তানকে নিজে হাতে দুপুরের খাবার খাইয়ে দিয়ে আসেন। রাতে খাবার নিয়ে যাওয়ার পর মাদ্রাসায় তাকে আর পাওয়া যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে না পেয়ে ওই রাতেই সাইফুল ইসলাম সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

তিন দিন পর ২৮ আগস্ট মুঠোফোনে তানভীরকে অপহরণ করা হয়েছে বলে বাবাকে জানিয়ে মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দেয়ার আগে ছেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে অপহরণকারীদের একজন ছদ্মবেশে কথা বললে সাইফুল বুঝতে পারেন যে ওই কন্ঠ তাঁর ছেলের নয়। তখন তিনি ঘটনাটি র‌্যাব এর সদর দপ্তরে জানান। র‌্যাব সদস্যরা মুঠোফোনে আড়ি পেতে সোমবার সন্ধ্যায় অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তানভীরের সহপাঠী সিংড়া উপজেলার জোড়মল্লিক গ্রামের মোক্তার হোসেনের পুত্র হুসাইদ হোসেন ও বাগাতিপাড়া উপজেলার নওপাড়া গ্রামের বাবুল হাসানের পুত্র বাইজিদ হাসানকে আটক করেন। পরে স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাদের সহযোগী শহরের কালুরমোড়ের আব্দুর রহিমের পুত্র নাঈম হোসেনকেও আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনজনই তানভীরকে হত্যা করে মাদ্রাসার পাশে জনৈক আবুল কাশেমের টয়লেটের কাঁচা সেফটি ট্যাংকে লাশ গুম করার কথা জানায়। তাদের সঙ্গে নিয়ে মঙ্গলবার র‌্যাব সদস্যরা গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে ওই সেফটি ট্যাংকের ভেতর থেকে তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়। লাশ উদ্ধারের সময় র‌্যাব-৫ এর কমান্ডিং অফিসার কর্নেল মাহবুব হোসেন, জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্সি সাহা্বুদ্দিন, নিহত কিশোরের বাবা সাইফুল ইসলাম ও মা ফিরোজা বেগম উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied