ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ রিপোর্টার: ১৮ দলের ডাকা হরতালের দ্বিতীয় দিনে বুধবার সকালে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল শুরু হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথেই রংপুর মহানগরীতে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে।
বেলা সাড়ে ১১ টায় নগরীর লালবাগ ২ নং রেল-গেট সংলগ্ন এলাকায় আগুন দিয়ে বিক্ষোভ করে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন স্বেচ্ছাসেবক দল আহবায়ক আব্দুস সালাম। এসময় সেখানে চরম আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে তাদের ছত্রভঙ্গকরে দেয়।
এদিকে বেলা সোয়া ১১ টায় কৃষক দল সভাপতি হাজী আবু তাহের ও যুবদল সহ-সভাপতি নাজমুল ইসলাম নাজুর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল গ্র্যান্ড হোটেল মোড় থেকে বের হয়ে জাহাজ কোম্পানি মোড়ের দিকে যেতে চাইলে সালেক পাম্পের সামনে পুলিশ বাঁধা দেয়। এসময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সিনিয়র নেতাদের নামে মামলা হওয়া গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপি অফিসের সামনে মধ্যম সারির নেতারা অবস্থান নেন।
হরতালের কারণে নগরী এবং আশেপাশের হাটবাজারগুলোতেও কোন দোকানপাট খোলে নি। আন্ত: ও দূরপাল্লার কোন বাস ছেড়েও যায় নি। নগরীতে রিকশা ও অটো রিকশা চলতে দেখা গেছে। নগরীর শাপলা চত্বর জামায়াত অফিস, গ্র্যান্ড হোটেল মোড়ে বিএনপি অফিস, জাহাজ কোম্পানি মোড়, পায়রা চত্বর, সাত-মাথা, মডার্ন, লালবাগ, পার্কের মোড়, টার্মিনালসহ বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
জেলা কৃষক দলের সভাপতি হাজী আবু তাহের দাবী করেছেন, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে হরতাল পালন করার কারণে কোন পিকেটিংয়ের দরকার হয় নি। তিনি বলেন, সরকার পদত্যাগ না করলে দেশের জনগণ তাদেরকে হেনস্তা করেই নামিয়ে দিবে। সেই আন্দোলন শুরু করে দিয়েছে দেশের জনগণ।
কোতয়ালী থানার ওসি শাহাবুদ্দিন খলিফা জানান, নগরীতে পিকেটারদের কোনধরনের তৎপরতা লক্ষ করা যায় নি। তবে রেললাইনে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটলেও এতে কোন সমস্যা হয় নি। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক আচে। তিনি বলেন, কেউ জন নিরাপত্তা বিঘ্নিতত করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।