শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫, দুপুর ০১:৫৮
জনসমর্থন জরিপের ফলাফলে বলা হচ্ছে, ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির পর গত দেড় বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের প্রতি জনসমর্থন যথাক্রমে ৬৭ ও ৬৬ শতাংশে পৌঁছেছে। উত্তরদাতাদের ৬০ শতাংশ বলেছেন, তারা আওয়ামী লীগকে পছন্দ করেন। ঠিক একই সংখ্যক উত্তরদাতা জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীকে অপছন্দ করার কথা বলেছেন। আর বিএনপিকে যত লোক পছন্দ (৪২ শতাংশ) করার কথা বলেছেন, তার চেয়ে অপছন্দ (৪৬ শতাংশ) করার কথা বলেছেন বেশি উত্তরদাতা। আওয়ামী লীগে আস্থা বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, তরুণদের অংশগ্রহণ, নারীদের প্রতি দায়িত্ববোধ, বিশ্বাসযোগ্যতা, ইতিবাচক নীতি, গণতান্ত্রিক সংস্কার, দারিদ্র্য বিমোচন এবং দুর্নীতি দমনে কোন দলের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ বেশি আস্থা রাখছে তাও জানতে চেয়েছিলেন জরিপকারীরা। উত্তরে দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি ভাগেই বিএনপির চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে আওয়ামী লীগ। যেখানে ৫৪ শতাংশ উত্তরদাতা আওয়ামী লীগে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আছে বলে মনে করছেন, সেখানে বিএনপির পক্ষে বলেছেন ২২ শতাংশ। শিক্ষা, অবকাঠামো, স্বাস্থ্য, জাতীয় নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা ও জাতিগত বিভাজন দূর করার ক্ষেত্রেও আওয়ামী লীগকে বিএনপির তুলনায় বেশি সক্ষম বলে মনে করেন অধিকাংশ উত্তরদাতা। আগামী নির্বাচন অধিকাংশ উত্তরদাতা বর্তমান সরকারের প্রতি আস্থার কথা বললেও আগামী নির্বাচন কখন হওয়া উচিৎ- সে প্রশ্নে গতবছরের তুলনায় সাধারণ মানুষের অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪৩ শতাংশ বলেছেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব’ বাংলাদেশে পরবর্তী নির্বাচন হওয়া উচিৎ। অন্যদিকে ৪০ শতাংশ উত্তর দাতা বর্তমান সংসদকে পূরো মেয়াদ দায়িত্ব পালন করতে দেওয়ার পক্ষে বলেছেন। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে আইআরআইয়ের জরিপে একই প্রশ্ন করা হয়েছিল। সে সময় ৪৫ শতাংশ উত্তরদাতা বর্তমান সংসদের মেয়াদ পূর্ণ করার পক্ষে বলেছিলেন; আর ৪০ শতাংশ বলেছিলেন, তারা যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন চান। তত্ত্বাবধায়ক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার পক্ষে জনসমর্থন কমলেও এখনও বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন দেখতে চায় বলে আইআরআইয়ের এই জরিপে উঠে এসেছে। চলতি বছর জুনে এই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬৭ শতাংশ বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা উচিৎ বলে তারা মনে করেন। অন্যদিকে ২২ শতাংশ উত্তরদাতা এর বিরোধিতা করেছেন। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে যখন নির্বাচন হয়, ওই মাসে আইআরআইয়ের জরিপে ৭৭ শতাংশ উত্তরদাতা তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে এবং ১৮ শতাংশ বিপক্ষে বলেছিলেন। দেশ ‘সঠিক’ পথে দেশ যেভাবে চলছে তাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন এ জরিপের অধিকাংশ উত্তরদাতা। ৬২ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, দেশ সঠিক পথেই এগোচ্ছে, যেখানে ৩৬ শতাংশ উল্টোটা মনে করেন। ২০১৩ সালের নভেম্বরে এই প্রশ্নে ৬২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছিলেন, বাংলাদেশ ভুল দিকে যাচ্ছে। অন্যদিকে ইতিবাচক মত দিয়েছিলেন ৩৩ শতাংশ উত্তরদাতা। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে ‘খুব ভাল’ বলেছেন ২৮ শতাংশ উত্তরদাতা; ৪৪ শতাংশ বলেছেন ‘ভাল’। ১২ শতাংশ অর্থনীতি নিয়ে একেবারেই সন্তুষ্ট নন। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬৮ শতাংশ নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ৬৪ শতাংশ মনে করেন, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। এই স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে বলে আশা করছেন ৪৮ শতাংশ উত্তরদাতা। বড় ‘সঙ্কট’ দুর্নীতি জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ২৪ শতাংশ দুর্নীতিকে বাংলাদেশের ‘প্রধান সমস্যা’ বলে মনে করেন। এ ছাড়া রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাবকে ১৬ শতাংশ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ১৫ শতাংশ উত্তরদাতা বড় সমস্যা বলে মনে করছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ১১ শতাংশ বলেছেন, সরকারি সেবা নিতে তাদের ঘুষ বা উপহার দিতে হয়েছে। তাদের ৫৩ শতাংশের ভাষ্য অনুযায়ী, ঘুষের অংক ছিল পাঁচ হাজার টাকার বেশি। রিপোর্ট কার্ড ৬৮ শতাংশ উত্তরদাতা উন্নয়নের চেয়ে গণতন্ত্রকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বললেও বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ যেভাবে চলছে তাতে সন্তুষ্ট নন ৬৭ শতাংশ উত্তরদাতা। ৪৮ শতাংশ উত্তরদাতা বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়ে তাদের অসন্তুষ্টির কথা বলেছেন। আর পুলিশের কাজে সন্তুষ্ট নন ৫৩ শতাংশ উত্তরদাতা। সেনাবাহিনী, র্যা ব, আদালত ও নির্বাচন কমিশন যেভাবে চলছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যথাক্রমে ৮৬, ৭৬, ৭৩ ও ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা। গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের কাজকে ৮৩ ও ৮০ শতাংশ উত্তরদাতা ‘ইতিবাচক’ বলে মনে করছেন।
জনসমর্থন
জরিপের ফলাফলে বলা হচ্ছে, ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির পর গত দেড় বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের প্রতি জনসমর্থন যথাক্রমে ৬৭ ও ৬৬ শতাংশে পৌঁছেছে। উত্তরদাতাদের ৬০ শতাংশ বলেছেন, তারা আওয়ামী লীগকে পছন্দ করেন। ঠিক একই সংখ্যক উত্তরদাতা জাতীয় পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীকে অপছন্দ করার কথা বলেছেন। আর বিএনপিকে যত লোক পছন্দ (৪২ শতাংশ) করার কথা বলেছেন, তার চেয়ে অপছন্দ (৪৬ শতাংশ) করার কথা বলেছেন বেশি উত্তরদাতা।
আওয়ামী লীগে আস্থা
বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, তরুণদের অংশগ্রহণ, নারীদের প্রতি দায়িত্ববোধ, বিশ্বাসযোগ্যতা, ইতিবাচক নীতি, গণতান্ত্রিক সংস্কার, দারিদ্র্য বিমোচন এবং দুর্নীতি দমনে কোন দলের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ বেশি আস্থা রাখছে তাও জানতে চেয়েছিলেন জরিপকারীরা। উত্তরে দেখা যাচ্ছে, প্রতিটি ভাগেই বিএনপির চেয়ে অনেক এগিয়ে আছে আওয়ামী লীগ। যেখানে ৫৪ শতাংশ উত্তরদাতা আওয়ামী লীগে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আছে বলে মনে করছেন, সেখানে বিএনপির পক্ষে বলেছেন ২২ শতাংশ। শিক্ষা, অবকাঠামো, স্বাস্থ্য, জাতীয় নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং রাজনৈতিক অস্থিরতা ও জাতিগত বিভাজন দূর করার ক্ষেত্রেও আওয়ামী লীগকে বিএনপির তুলনায় বেশি সক্ষম বলে মনে করেন অধিকাংশ উত্তরদাতা।
অধিকাংশ উত্তরদাতা বর্তমান সরকারের প্রতি আস্থার কথা বললেও আগামী নির্বাচন কখন হওয়া উচিৎ- সে প্রশ্নে গতবছরের তুলনায় সাধারণ মানুষের অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৪৩ শতাংশ বলেছেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব’ বাংলাদেশে পরবর্তী নির্বাচন হওয়া উচিৎ। অন্যদিকে ৪০ শতাংশ উত্তর দাতা বর্তমান সংসদকে পূরো মেয়াদ দায়িত্ব পালন করতে দেওয়ার পক্ষে বলেছেন। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে আইআরআইয়ের জরিপে একই প্রশ্ন করা হয়েছিল। সে সময় ৪৫ শতাংশ উত্তরদাতা বর্তমান সংসদের মেয়াদ পূর্ণ করার পক্ষে বলেছিলেন; আর ৪০ শতাংশ বলেছিলেন, তারা যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন চান।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার পক্ষে জনসমর্থন কমলেও এখনও বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন দেখতে চায় বলে আইআরআইয়ের এই জরিপে উঠে এসেছে। চলতি বছর জুনে এই জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬৭ শতাংশ বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনা উচিৎ বলে তারা মনে করেন। অন্যদিকে ২২ শতাংশ উত্তরদাতা এর বিরোধিতা করেছেন। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে যখন নির্বাচন হয়, ওই মাসে আইআরআইয়ের জরিপে ৭৭ শতাংশ উত্তরদাতা তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে এবং ১৮ শতাংশ বিপক্ষে বলেছিলেন।
দেশ যেভাবে চলছে তাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখেছেন এ জরিপের অধিকাংশ উত্তরদাতা। ৬২ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন, দেশ সঠিক পথেই এগোচ্ছে, যেখানে ৩৬ শতাংশ উল্টোটা মনে করেন। ২০১৩ সালের নভেম্বরে এই প্রশ্নে ৬২ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছিলেন, বাংলাদেশ ভুল দিকে যাচ্ছে। অন্যদিকে ইতিবাচক মত দিয়েছিলেন ৩৩ শতাংশ উত্তরদাতা। দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে ‘খুব ভাল’ বলেছেন ২৮ শতাংশ উত্তরদাতা; ৪৪ শতাংশ বলেছেন ‘ভাল’। ১২ শতাংশ অর্থনীতি নিয়ে একেবারেই সন্তুষ্ট নন। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬৮ শতাংশ নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ৬৪ শতাংশ মনে করেন, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রয়েছে। এই স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে বলে আশা করছেন ৪৮ শতাংশ উত্তরদাতা।
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ২৪ শতাংশ দুর্নীতিকে বাংলাদেশের ‘প্রধান সমস্যা’ বলে মনে করেন। এ ছাড়া রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার অভাবকে ১৬ শতাংশ এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে ১৫ শতাংশ উত্তরদাতা বড় সমস্যা বলে মনে করছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ১১ শতাংশ বলেছেন, সরকারি সেবা নিতে তাদের ঘুষ বা উপহার দিতে হয়েছে। তাদের ৫৩ শতাংশের ভাষ্য অনুযায়ী, ঘুষের অংক ছিল পাঁচ হাজার টাকার বেশি।
৬৮ শতাংশ উত্তরদাতা উন্নয়নের চেয়ে গণতন্ত্রকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বললেও বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ যেভাবে চলছে তাতে সন্তুষ্ট নন ৬৭ শতাংশ উত্তরদাতা। ৪৮ শতাংশ উত্তরদাতা বিরোধী দলের ভূমিকা নিয়ে তাদের অসন্তুষ্টির কথা বলেছেন। আর পুলিশের কাজে সন্তুষ্ট নন ৫৩ শতাংশ উত্তরদাতা। সেনাবাহিনী, র্যা ব, আদালত ও নির্বাচন কমিশন যেভাবে চলছে তাতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যথাক্রমে ৮৬, ৭৬, ৭৩ ও ৫৯ শতাংশ উত্তরদাতা। গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের কাজকে ৮৩ ও ৮০ শতাংশ উত্তরদাতা ‘ইতিবাচক’ বলে মনে করছেন।
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
ভারত থেকে ৩ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করল ভারত
মালিকপক্ষকে জলদস্যুদের ফোন, যে কথা হলো
কমলো সোনার দাম