আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

মৃত্যুর কাছে শিশু আরাফাতের হার

সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫, রাত ০৯:৪১

পাবনা : ১৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানল জেলার বেড়ায় অপহরণের পর উদ্ধার হওয়া আহত শিশু আরাফাত (১১)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকেল ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। আরাফাতের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বাবা আব্দুল মাজেদ। এদিকে, গত দু’দিনে অভিযান চালিয়ে অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এর মধ্যে তিনজন ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ত করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকরোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার মো. মশিউর রহমান জানান, বেড়া পৌর এলাকার স্যানালপাড়া মহল্লার আব্দুল মাজেদের ছোট ছেলে আরাফাত হোসেন (১১) ২১ আগস্ট বিকেলে অপহৃত হয়। ২২ আগস্ট দুপুরে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পেছনের একটি জঙ্গল থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় শিশু আরাফাতকে উদ্ধার করে বেড়া থানা পুলিশ। প্রথমে তাকে বেড়া হাসপাতাল, পরে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর হাসপাতাল, এরপর বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই দিন রাতেই তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার বিকেলে শিশু আরাফাত মারা যায়। ওই ঘটনায় আরাফাতের বাবা আব্দুল মাজেদ বাদী হয়ে ২৬ আগস্ট বেড়া থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এরপর শনি ও রবিবার অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করে পুলিশ। আটকরা হলেন- স্যানালপাড়ার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ইমরান হোসেন (১৫), জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে মনোয়ার হোসেন (১৪), আলম মোল্লার ছেলে রমজান আলী (১৪) ও হাবিবুর রহমানের ছেলে বিশু ওরফে বিশা (১৫)। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান জানান, আটকদের মধ্যে ইমরান, মনোয়ার ও রমজানকে সোমবার বিকেলে পাবনা আমলি আদালত-৩ এ হাজির করা হয়। বিচারক একেএম রওশন জাহানের কাছে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। তিনি আরও জানান, মূলত টাকার লোভে শিশু আরাফাতকে অপহরণ করেছিল আসামিরা। অপহরণের পর গলায় গামছা পেঁচিয়ে আরাফাতের শ্বাসরোধ করে। পরে মৃত ভেবে বেড়া হাসপাতালে পেছনের জঙ্গলে ফেলে রাখে। এরপর আরাফাতের পরিবারের কাছে ১৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। পরে পুলিশ মোবাইলের কললিস্ট ধরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিশু আরাফাতের বাবা আব্দুল মাজেদ মুঠোফোনে দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘আমার ছেলেকে তো চিরদিনের জন্য হারালাম। কিন্তু যারা অপহরণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত আমি তাদের ফাঁসি চাই।’

মন্তব্য করুন


 

Link copied