আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল       সার্ভার ডাউন: রসিকে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি চরমে       রংপুরে ফটোসাংবাদিক ফিরোজ চৌধুরীর একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী      

 width=
 

ঝুলে আছে হেফাজতের নাশকতার ৮৩ মামলা

বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫, দুপুর ১০:৪২

ডেস্ক:  ২০১৩ সালের ৫ মে। ১৩ দফা দাবিতে দিনভর রাজধানীর প্রবেশমুখ অবরোধ শেষে দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র মতিঝিলে অবস্থান। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর, আগুন। দিন গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার পর গুজবের নগরী ঢাকা। এখানে সেখানে সহিংসতা, গুলিশের গুলি, প্রাণহানি। রাজধানীর ঘটনাপ্রবাহের প্রভাব গিয়ে পড়ে বিভিন্ন জেলায়। আক্রান্ত হয় যুদ্ধাপরাধের দায়ে আন্দোলনকারী সংগঠন বা বিপক্ষের রাজনৈতিক কর্মী, সংখ্যালঘুদের স্থাপনায় হামলা। দেশ জুড়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা। ধর্মীয় উগ্রবাদীদের খপ্পরে পড়লো কি না বাংলাদেশ, সে নিয়ে দেশের বাইরেও ছড়ায় নানা গুজব। সংঘর্ষ-প্রাণহানি ঘটে পর দিনও। তবে গভীর রাতে মতিঝিলে পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবির যৌথ অভিযানের পর হটে যেতে বাধ্য হয় হেফাজত কর্মীরা। কর্মীদের ফেলে নেতারা অবশ্য আগেই পগারপার। মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশ ঘিরে সহিংসতাসহ সারা দেশে করা ৮৩ মামলায় হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ পর্যায়ের দুই শতাধিক নেতার পাশাপাশি আসামি করা হয় অজ্ঞাত ৪০ হাজার জনকে। কিন্তু দুই বছরেও অগ্রগতি হয়নি বেশিরভাগ মামলার। তিনটি মামলার তদন্ত শেষ হলেও বিচার শুরু হয়নি। বাকি মামলাগুলোর তদন্ত কবে শেষ হবে বলতে পারছে না পুলিশ। সংগঠনের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার পরে থমকে গেছে মামলার তদন্ত। ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন থানায় করা ৫৩ টি মামলার মধ্যে তিনটিতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোর মধ্যে ১৫টি তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ এবং ৩৫ টির তদন্ত করছে বিভিন্ন থানার পুলিশ। পুলিশ বলছে, ডিবির তদন্তাধীন ১৫ মামলার তদন্তে অগ্রগতি আছে। এতে হেফাজতের কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা, জামায়াতসহ সাতটি ইসলামী দলের নেতা এবং বিএনপির কয়েকজন নেতাও ফেঁসে যাচ্ছেন। হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতা জুনায়েদ বাবুনগরী, মুফতি ওয়াক্কাস ও মামুনুল হককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে সহিংসতা চালানোর অনেক তথ্য পাওয়া গেছে বলেও দাবি করছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের তদন্তে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। হেফাজতের সংশ্লিষ্ট মামলায় অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। কয়েকজন জামিনে আছেন। আমরা নাশকতাকারী এবং এর পেছনে ইন্ধনদাতাদের খুঁজে বের করছি।’ সূত্র জানায়, হেফাজত নেতাদের মধ্যে বেশির ভাগ মামলায় আসামি সংগঠনের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী, মুফতি ওয়াক্কাস, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মইনুদ্দিন রুহী, যুগ্ম মহাসচিব ফরিদ উল্লাহ, শামসুল আলম, মহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, তাজুল ইসলাম, জুলফিকার জহুর, জাফরুল্লাহ খান, ফখরুল ইসলাম, মাওলানা মহিউদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, কর্মকর্তরা জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে ১৫টি মামলার তদন্তের দায়িত্ব ডিবির কাছে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। এছাড়া মতিঝিল থানা পুলিশ তিনটি মামলা, পল্টন থানা পুলিশ ২০টি মামলা এবং রমনা থানা পুলিশ তিনটি মামলা তদন্ত করছে। ২০১৩ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ২০ দলের শরিক জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মুফতি ওয়াক্কাসকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে মুফতি ওয়াক্কাস স্বীকার করেন, মতিঝিলে হেফাজতের সমাবেশ থেকে সেখানে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তদন্তে জামায়াতে ইসলামী এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ছাড়া আরও পাঁচটি রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা পেয়েছে। এ দলগুলো হলো- নেজামে ইসলাম, খেলাফতে মজলিস, খেলাফতে আন্দোলন, ইসলামী ঐক্যজোট ও মুসলিম লীগ। এর সবগুলোই বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে আছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied