আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা      

 width=
 

রাতভর রশি দিয়ে বেঁধে গৃহবধূকে নির্যাতন

রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫, রাত ০৮:৪৪

শনিবার রাতে সদর উপজেলার ছোনগাছা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল ডিগ্রিপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে এলাকাবাসী একজনকে আটক করেছে।

জানা গেছে, বিএডিসি’র সাবেক কর্মচারী ডিগ্রিপাড়ার বাসিন্দা শামসুল বারি খান (৬০) শনিবার রাত ৯টার দিকে একই গ্রামের হতদরিদ্র এক প্রতিবন্ধীর স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করে। বিষয়টি টের পেয়ে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ এনে স্থানীয় লোকজন দু’জনকে আটক করে।

এরপর স্থানীয় একটি স্কুলে নিয়ে ওই নারীর হাত পিঠমোড়া করে বেঁধে রেখে রাতভর নির্যাতন করা হয়। এর একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

খবর পেয়ে রাত ৩টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন ও মাতব্বররা বিষয়টি গ্রাম্য সালিশে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে পুলিশ ফেরত যায়।

এদিকে ওই নির্যাতিতা নারী জানান, শামসুল বারি জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে আমাকে ধর্ষণ করেছে। এর আগেও সে আমাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিল। অথচ তাকে শাস্তি না দিয়ে আমাকে বেঁধে রেখে শামসুল বারির ছোট ভাই অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক শুকুর মাহমুদ খান (বিএসসি) ও ইউপি সদস্য হেলালের নির্দেশে একতরফা ভাবে আমাকে নির্যাতন করা হচ্ছে।

অভিযুক্ত শামসুল বারি খান ঘটনার পর উপস্থিত সাংবাদিক ও গ্রামবাসীর সামনে অনৈতিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, অপ্রীতিকর অবস্থায় তাদের আটক করার পর সেখানে শত শত লোকজন জমায়েত হওয়ায় উত্তেজনা দেখা দেয়। নিরাপত্তার স্বার্থে চৌকিদার দিয়ে তাদের স্কুলে নিয়ে আটকে রাখা হয়। ওই নারীকে রশি দিয়ে বাঁধা হয়েছিল কি-না তা জানা নেই।

তিনি আরও জানান, গভীর রাতে পুলিশ আসলেও সামাজিক বিচারের আশ্বাসে আটকদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়নি।

রবিবার সকালে সালিশি বৈঠক করে উভয়কে সতর্ক করার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে গৃহবধূকে হাত বাঁধা অবস্থায় পাইনি। ইউপি সদস্য ও স্থানীয় মাতবররা বিষয়টি গ্রাম্য সালিশে মীমাংশার আশ্বাস দেয়ায় আমরা ফিরে আসি।

ওসি হাবিবুল ইসলাম জানান, বিষয়টি গ্রাম্য সালিশে মীমাংশা হওয়ায় থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied