আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: দিনাজপুরে ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার        জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে      

 width=
 

অবৈধ সিম বিক্রেতাদের ধরতে গোয়েন্দারা মাঠে

সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫, সকাল ০৭:৪১

আমানুর রহমান রনি।।

ভুয়া তথ্য ব্যবহার করে সিম বিক্রেতাদের ধরতে রাজধানীসহ সারাদেশে র‌্যাব ও পুলিশের নিজস্ব গোয়েন্দারা মাঠে নেমেছে। বিটিআরসি’র কর্মকর্তাদের নিয়ে এখন থেকে নিয়মিত অভিযান চালাবে র‌্যাব ও পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুটির ধারণা, এদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই মোবাইল ফোনকেন্দ্রীক অপরাধ কমে আসবে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও র‌্যাবের বিভিন্ন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

র‌্যাব-সূত্র জানিয়েছে, খুন, অপহরণ, গুম, ছিনতাই, নাশকতাসহ প্রতিটি অপরাধের পেছনে মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। ভুয়া তথ্যে নিবন্ধিত ওই ফোনের খোঁজ পাওয়া দুষ্কর। তাই অবৈধ সিম বিক্রি বন্ধ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছিল।

বিষয়টি জানার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের সভায় টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে এ নির্দেশ দেন তিনি। এর পরপরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এ বিষয়ে র‌্যাব-পুলিশকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়।

তারই ধারাবাহিকতায় গত ২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর উত্তরার নর্থ টাওয়ারে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক, গ্রামীণফোন, রবি এবং এয়ারটেল-এর মোট ১৬৭টি অবৈধ সিম এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১৪টি হ্যান্ডসেট জব্দ করা হয়েছে।

র‌্যাব ১-এর লে. কমান্ডার কাজী মো. শোয়াইব অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, র‌্যাব গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উত্তরা নর্থ টাওয়ারে আর ভিশন টেলিকম নামে একটি মোবাইল সিমের দোকানে অভিযান চালায়। দোকানটিতে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে অবৈধ নিবন্ধন করা সিমকার্ড ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছিল। দোকানি ইউনুছ (৩২) দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ সিম বিক্রি করে আসছে বলে স্বীকার করেছে। এসব সিম ব্যবহার করে অপরাধীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ করতো বলেও জানান তিনি।

র‌্যাব সূত্র জানায়, কিছু বিক্রেতাই মূলত ভুয়া তথ্য দিয়ে সিম নিবন্ধন করে অপরাধীদের সহায়তা করছে।

ডিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, অপহরণের পর মুক্তিপণ, চাঁদাবাজী, হত্যার হুমকির ঘটনায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) নম্বরগুলো সব ভুয়া তথ্যে নিবন্ধিত।

গত মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিটিআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে দেশের সকল সিম/রিম আঙুলের ছাপসহ নিবন্ধন করা হবে। সকল গ্রাহককে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিটিআরসির নির্ধারিত ফরম পূরণ করে সশরীরে নিকটতম কাস্টমার কেয়ার/সার্ভিস সেন্টারে উপস্থিত হয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে। এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন আপনার ক্রয়কৃত সিম/রিম-এর ভেরিফিকেশনও এনআইডি কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরিত হবে। এ ছাড়া, নির্ধারিত সময় শেষে বাজারে প্রি-অ্যাকটিভেটেড বা অনিবন্ধিত সিম/রিম পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বিটিআরসি। বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গ্রাহকদের অনিবন্ধিত সিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাবধান করে দিয়েছে সরকার।’

সিমের নিবন্ধন যাচাই করতে গিয়ে হরেক জালিয়াতির তথ্য পেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি হলো- এক ভুয়া পরিচয়পত্র দিয়েই নিবন্ধন করা হয়েছে ১৪ হাজার ১১৭টি সিম। এক কোটি সিমের মধ্যে সঠিকভাবে নিবন্ধন করা সিমের সংখ্যা মাত্র ২৫ ভাগ। বাকি ৭৫ ভাগ সিমের নিবন্ধন ভুয়া। টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম সম্প্রতি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গ্রাহকের হাতে থাকা প্রায় ১৩ কোটি সিমের মধ্যে এক কোটির তথ্য সরকার হাতে পেয়েছে। এর মধ্যে সঠিকভাবে নিবন্ধন হয়েছে মাত্র ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০টি।

এবিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানান, ভুয়া তথ্য দিয়ে সিম বা রিম বিক্রি করা অপরাধ। এর জন্য যা যা করা দরকার দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা-ই করবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied