আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

চেয়ারম্যানের উদ্যোগে বাল্যবিয়ে; প্রশাসন নির্বিকার

মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫, রাত ০৮:৩০

তৈয়বুর রহমান, কুড়িগ্রাম: পুলিশের সহযোগীতায় ও ইউপি চেয়ারম্যানের মদদে নবম শ্রেনির এক ছাত্রি বাল্যবিয়ের শিকার হলেন। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার রাতে জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের মধ্য নওদাবস গ্রামের কেকারু চন্দ্র রায় এর বাড়ীতে। বল প্রয়োগের মাধ্যমে ছেলেকে বাল্যবিয়েতে বাধ্য করায় স্থানীয় সাংবাদিকসহ সচেতন মহলে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ‘রক্ষকরাই যখন ভক্ষক’ তখন এলাকার বাল্যবিয়ে রুখবে কে? মুঠোফোনে যুবককে ডেকে নিয়ে জোড়পূর্বক বিয়ে দেয়ার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ নির্বিকার ভূমিকা পালন করায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। জানা গেছে, নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার ব্রহ্মতর গ্রামের জীবন চন্দ্র সরকারের দ্বিতীয় ছেলে দয়াল চন্দ্র সরকার (১৭) পার্শ্ববর্তী ফুলবাড়ী উপজেলার আটিয়াবাড়ী গ্রামের বোনের বাড়ীতে গত শনিবার বেড়াতে যায়। এরপর তাকে অনেক খোঁজাখুজি করেও পাওয়া না গেলে রোববার সকালে জনৈক ব্যক্তি দয়ালের পরিবারের কাছে মুঠোফোনে খবর দেয়, বড়ভিটা ইউনিয়নের মধ্য নওদাবস গ্রামের কেকারু চন্দ্র রায় এর বাড়ীতে দয়ালকে আটকিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে তাকে বড়ভিটা গার্লস হাই স্কুলের নবম শ্রেনির ছাত্রী (১৫) দীপ্তি রানীর সাথে বিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর আগে ঐ গ্রামের তাপস নামের এক যুবক পূর্ব পরিচয়ের সুত্র ধরে পরিকল্পিতভাবে মুঠোফোনে বোনের বাড়ি থেকে ডেকে নেয়। দিপ্তী রানীর জন্ম তারিখ-০৪/০৮/২০০০। ঘটনার দিন আটক যুবকের কাকা মুকুল চন্দ্র সরকার স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে নিয়ে ফুলবাড়ী থানায় গিয়ে তার ভাতিজার সাথে নাবালিকা মেয়ের জোর পূর্বক বাল্যবিয়ে দেয়ার প্রতিকার চান। এ সময় কর্তব্যরত এসআই আমির আলী লিখিত অভিযোগ গ্রহন করলেও অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে নেয়ার জন্য সাংবাদিকদের সামনে তার কাকাকে উপদেশ দেন। জানা গেছে, স্থানীয় চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন প্রত্যক্ষভাবে জরিত থেকে এ বাল্যবিয়ে দেয়ায় পুলিশ নির্বিকার ছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এদিকে, ঐ চেয়ারম্যান রাতেই হিন্দু বিবাহ রেজিষ্ট্রার সুনিল বর্মনকে বাল্যবিয়ে রেজিষ্ট্রি করাতে বাধ্য করেছে। চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনা স্বীকার করে জানান, ছেলে ও মেয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক থাকায় এ বিয়ে দেয়া হয়েছে। এটি বাল্যবিয়ের আওতায় পড়ে কিনা সেটি আমার দেখার বিষয় না। ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তবে ছেলে ও মেয়ে বিয়ে করলে তাদের কিছু করার নেই।

মন্তব্য করুন


 

Link copied