মঙ্গলবার, ৬ অক্টোবর ২০১৫, বিকাল ০৫:৩৫
ডেস্ক : স্মার্টফোনকে নজরদারি সংস্থার হাত থেকে বাঁচাতে ‘খুব বেশি’ করার থাকে না ব্যবহারকারীদের। মার্কিন হুইসলব্লোয়ার এডওয়ার্ড স্নোডেন সোমবার বিবিসির প্যানোরামা অনুষ্ঠানে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানান। যুক্তরাজ্যের কোনো টেলিভিশনকে দেওয়া এটাই স্নোডেনের প্রথম সাক্ষাৎকার। যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দা সংস্থা ব্রিটিশ গভর্নমেন্ট কমিউনিকেশনস হেডকোয়ার্টার্স (জিসিএইচকিউ) ব্যবহারকারীদের অগোচরেই স্মার্টফোন হ্যাক করার ক্ষমতা রাখে বলে ওই সাক্ষাৎকারে স্নোডেন জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার (এনএসএ) সাবেক ঠিকাদার স্নোডেন জানান, জিসিএইচকিউ এনক্রিপ্ট করা টেক্সট বার্তা পাঠিয়ে হ্যান্ডসেটের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে। তবে যুক্তরাজ্য সরকার এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি। জিসিএইচকিউ কিংবা এনএসএ— উভয় সংস্থাই নাগরিকদের ব্যক্তিগত যোগাযোগের তথ্য নিয়ে মাথা ঘামায় না বলে মনে করেন স্নোডেন। তবে সংস্থা দু’টি স্মার্টফোন হ্যাক করার প্রযুক্তিতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে বলে জানান তিনি। স্নোডেন জানান, ব্যক্তি নয়, বরং ব্যক্তির ফোনের নিয়ন্ত্রণই সংস্থা দু’টির উদ্দেশ্য। সাক্ষাৎকারে জিসিএইচকিউ’র ‘স্মার্ফ সুইট’ নিয়েও কথা বলেন স্নোডেন। জিসিএইচকিউ গোপনে ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতির নাম দিয়েছে বেলজিয়ান কার্টুন নীল রংয়ের খুদে মানুষ স্মার্ফের নামানুসারে। স্নোডেন জানান, ড্রিমি স্মার্ফ ব্যবহারকারীদের জানিয়ে তাদের ফোন বন্ধ বা খোলা করার একটি টুল। অন্যদিকে নোসি স্মার্ফ হলো এমন একটি টুল যার মাধ্যমে জিসিএইচকিউ ব্যবহারকারীর অগোচরেই তার ফোনের স্পিকার চালিয়ে আশেপাশে কি হচ্ছে তা শুনতে পারে। এমনকি ফোন বন্ধ থাকলেও অন্য টুল দিয়ে ফোন চালু করতে জিসিএইচকিউ। এছাড়া জিসিএইচকিউ’র ট্রাক্যার স্মার্ফ টুলের কথাও বলেছেন স্নোডেন। ওই টুলের সাহায্যে মোবাইল ফোন টাওয়ারের বাইরে গেলেও ব্যবহারকারীর অবস্থান বের করা সম্ভব। বর্তমানে সাময়িকভারে রাশিয়ার আশ্রয়ে রয়েছেন স্নোডেন। তবে তার বিরুদ্ধে গোপন তথ্য ফাঁসের অভিযোগে এখনো মার্কিন মুলুকে অভিযোগের খাঁড়া ঝুলছে। এনএসএ ছাড়াও একসময় মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) সঙ্গে ঠিকাদার হিসেবে কাজ করতেন স্নোডেন। কাজ করতে গিয়ে এনএসএর গোপন নজরদারি কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে পারেন তিনি। এসব তথ্য নিজের কাছে রেখে দেন স্নোডেন। পরে তার পরিচয় হয় ব্রিটের প্রভাবশালী দৈনিক গার্ডিয়ানের সাংবাদিক গ্লেন গ্রিনওয়ার্ল্ডের সঙ্গে। ২০১৩ সালে হংকং যান তিনি। সেখান থেকেই গ্রিনওয়ার্ল্ডের মাধ্যমে গার্ডিয়ানে একের পর এনএসএ’র গোপন নজরদারির তথ্য ফাঁস করতে থাকেন স্নোডেন। পরে ওই বছরই রাশিয়ায় আশ্রয় নেন তিনি।
মন্তব্য করুন
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
ফেসবুকের নতুন নাম ‘মেটা’
আজ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ হতে পারে
স্লো স্মার্টফোন ফাস্ট করতে করণীয়
যেভাবে জানবেন আপনার নামে কয়টি সিম