আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা      

 width=
 

বিজ্ঞানের নিয়ম নিয়ে যত ভ্রান্ত ধারণা!

সোমবার, ১২ অক্টোবর ২০১৫, সকাল ০৯:০১

ধারণা ১: বিবর্তনীয় উৎকৃষ্টতা

বিজ্ঞানের অন্যতম একটি উপাদান হচ্ছে এই বিবর্তনীয় উৎকৃষ্টতা। ডারউইনের দেওয়া এই তত্ত্বানুসারে প্রকৃতি বিবর্তন পছন্দ করে আর তাই নিজের সৃষ্টি থেকে দূর্বলতা ও ক্রটিকে ধীরে ধীরে মুছে দিতে আশ্রয় নেয় বিবর্তনের। এক্ষেত্রে মানুষের উদাহরন দিয়ে বলা হয় মানুষ বানর প্রজাতির প্রাণী থেকে বর্তমান বুদ্ধিমান এক প্রাণীতে পরিণত হয়েছে, এটার পেছনেও রয়েছে বিবর্তনের ইতিহাস। আর এই বিবর্তনের ক্ষেত্রে সেই টিকে তাকে যে সবচাইতে শক্তিশালী। সেটুকুই টিকে তাকে যেটা সত্যিই উন্নত। কিন্তু ব্যাপারটা কী আসলেও তাই? না! বিবর্তনের উদাহরন হাজারটা পাওয়া গেলেও বিবর্তন হয়নি এমন উদাহরনও কম নয়। প্রকৃতিতে রয়েছে মস, হাঙর, ক্রেফিশের মতন অনেক অনেক প্রজাতি যাদের এখন অব্দি কোনো পরিবর্তন হয়নি। যদিও তাদের ভেতরে রয়েছে আরো অন্যদের মতনই অসংখ্য ক্রটি। তবুও নিজেদের ক্রটি নিয়েই এখনো প্রকৃতিতে টিকে আছে তারা।

ধারণা ২:  মহাকাশে মানব দেহ বিস্ফোরিত হয়

বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনির কিছু চলচ্চিত্রে উত্তেজনা আর কিছু আকর্ষণ বাড়াবার জন্যে দেখানো হয় যে মহাকাশে অক্সিজেন ছাড়া ১৫- ৩০ সেকেন্ড থাকলে যেকোনো মানব দেহ ভেতরের আর বাইরের চাপের মিশেলে ফেটে যায়। কিন্তু বাস্তবে আসলে সেটা হয়না। বাস্তবে ১৫ সেকেন্ডের বেশি কোনো মানবদেহ মহাকাশে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছাড়া থাকলে প্রথমে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং পরবর্তীতে মারা যায়। তাৎক্ষণিক কোনো বিস্ফোরণ ছাড়াই!

ধারণা ৩: পাঁচ সেকেন্ড অব্দি খাবার ভালো থাকে

মেঝেতে কোনো খাবার পড়লে যদি পাঁচ সেকেন্ডের ভেতরে সেটা তুলে নেওয়া যায় তাহলে তাতে ময়লা লাগেনা বা জীবানু থাকেনা। এমনটাই ধারণা অনেকের। কিন্তু ব্যাপারটা আসলে তা নয়। আপনার হাত থেকে ময়লার ওপরে কোনো খাবার পড়লে সেটা এক সেকেন্ড হোক কিংবা এক মিনিট, তাতে ময়লা লেগে যাবেই!

ধারণা ৪: মাহাকাশে কোনো ভর নেই!

বিজ্ঞান নিয়ে মানুষের ভেতরে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ধারণা হল মহাকাশে কোনো কিছুরই ভর নেই! কিন্তু বাস্তবে বিশ্বের সব স্থানেই ভর আছে। মাধ্যাকর্ষণ আছে। কিন্তু মহাকাশে সেটা দেখা যায়না কারণ নভোচারীরা যেখানে যান, যেখানটায় তাদেরকে ওজনশূন্যাবস্থায় দেখা যায় সেখানে আসলে কোনো কিছুই স্থির নয়। অর্থ্যাৎ, সব কিছুই ঘুরছে। আর অবিরাম এই ঘূর্ণনের ফলেই সেখানটায় কোনো ভরের অস্তিত্ব পাওয়া যায়না। কিন্তু তাই বলে যে সেটা নেই তাও নয়!

ধারণা ৫: বজ্রপাত একস্থানে দুইবার হয়না

অনেকে ধারণা করে থাকেন বাজ এক স্থানে দুইবার হয়না। আর তাই কোথাও একবার বাজ পড়লে সেদিকেই দৌড়ান যাতে করে পরবর্তী বজ্রপাতের শিকার না হতে হয়। কিন্তু বাস্তবে বাজ এক স্থানেই বারবার পড়েছে এমন ঘটনা খুব একটা কম নয়। বরং এক স্থানে বজ্রপাত হবার আশংকাই বেশি থাকে। কারণ, বাজ সেখানেই পড়ে যেখানে উঁচু দালান, গাছ কিংবা যেকোনো জিনিস থাকে। আর সেটা ধ্বংস না হওয়া অব্দি বা আশেপাশে আর কোনো উঁচু স্থান না পাওয়া অব্দি সেখানটাতেই বারবার আঘাত করে। এই যেমন, অ্যাম্পায়ার বিল্ডিংয়ে এ বছরে ২৫ বার পর্যন্ত বজ্রপাত হয়।

ধারণা ৬: ভেঙে যাওয়ার সময় উল্কা জ্বলে ওঠে

পৃথিবী অব্দি আসতে আসতে বেশ কয়েকভাবে ভাগ হয়ে যায় উল্কা। আর সেসময়ই সেটি জ্বলে ওঠে আর উত্তপ্ত হয়। এ ছাড়াও, পৃথিবীকে আঘাত করার জন্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উল্কা- এমন অনেক ধারণাই রাখা হয় উল্কাপাতকে ঘিরে। কিন্তু বাস্তবে এর কোনো কারণই উল্কার জ্বলে ওঠার জন্যে দায়ী নয়। বরং পৃথিবীর ভেতরে আসবার সময় এর বায়ুমন্ডলের সঙ্গে হওয়া ঘর্ষনের মাধ্যমেই জ্বলে ওঠে উল্কা আর গরম হয়ে পতিত হয় পৃথিবীতে।

ধারণা ৭: গতি ছোট কিছুকেও ভয়ংকর করে তোলে

ধারণাটা খুব সহজ আর সহজেই ঢুকে গিয়েছে মানুষের জানার জগতে। আর সেটি হচ্ছে, প্রচন্ড গতি যেকোনো ছোট জিনিসকেও প্রাণনাশক করে তোলে। এই যেমন, একটা পয়সা। সেটা এমনিতে আপনার জন্যে ক্ষতিকর নয়। কিন্তু মনে করা হয় সেটা যদি ১০০ তলা কোনো দালানের ওপর দিয়ে ফেলা হয় তবে সেটাও ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে। এই ধারণার ওপর তৈরি করা হয়েছে অনেক ছবি আর ছবির দৃশ্যে! কিন্তু বাস্তবে এই গতি কোনো একটা ছোট্ট পয়সাকে প্রাণনাশক করে তুলতে পারেনা। একটি ১০০ তলা দালানের ওপর দিয়ে পয়সা পড়লে সেটা নীচের পথচারীকে ব্যাথা দেবে অবশ্যই। কিন্তু মেরে ফেলার জন্যে যথেষ্ট হবেনা।

ধারণা ৮.: মস্তিষ্কের কোষ পুণরায় তৈরি হয়না

১৯৯৮ সালের আগ অব্দি বৈজ্ঞানিক মহলে প্রচন্ড রকম বিশ্বাস ছিল যে মস্তিষ্কের কোনো একটা কোষ যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় বা ধ্বংস হয় তাহলে সেটাকে আবার নতুন করে তৈরি করা যায়না বা সেটা তৈরি হয়না। কিন্তু ১৯৯৮ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার লা জোললার সক ইনস্টিটিউট এবং সুইডেনের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেন যে একটি পূর্ণবয়স্ক মানুষের মস্তিষ্কের কোষ পুনরায় নির্মিত হতে পারে। আগে মনে করা হত নতুন কোষ তৈরি হলে সেটা মস্তিষ্কের পুরোন কোষের জন্যে সমস্যার হয়ে দাড়ায়। কিন্তু আলঝাইমারস রোগীদের জন্যে আশার আলো দেখিয়ে এখন কোষকে পূনর্জন্ম লাভের ক্ষমতার অধিকারী বলে মনে করা হচ্ছে।

ধারণা ৯: চাঁদের কালো দিক আছে

সূর্যের আলো নিয়ে আলোকিত হওয়ার ধারণা রয়েছে চাঁদের ক্ষেত্রে। আর সেটা সত্যিও অনেকটা। কিন্তু তারমানে এই নয় যে চাঁদের অন্যপাশটা কালো। মূলত, চাঁদ আমাদেরকে কখনো তার দুইপাশ একসাথে দেখাতে পারেনা বিধায় এমনটা হয়ে থাকে। সত্যি বলতে গেলে, এটা হয় পৃথিবীর প্রতি চাঁদের প্রবল আকর্ষের কারণে। এই কারণেই চাঁদ সবসময় তার একটা পাঁশই দেখাতে পারে পৃথিবীকে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied