আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: লালমনিরহাটে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল, হঠাৎ পিছন থেকে ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়লেন যুবক       ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ২ দিন পরে ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার       ছুটি বাড়ল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে       ডিমলা উপজেলা নির্বাচন॥ এমপির ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজি বউ প্রার্থী-তৃণমূলে ক্ষোভ       কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা      

 width=
 

ভারতের বিপক্ষে জয় পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা

রবিবার, ১৮ অক্টোবর ২০১৫, রাত ১১:১৯

দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ১৭১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ছয় উইকেট হারিয়ে ২৫২ রান করতে সক্ষম হয় ধোনিরা।

টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১০.৪ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় ভারত। দলীয় ৪১ রানে মরকেলের বলে ডি ভিলিয়ার্সের কাছে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শিখর ধাওয়ান (১৩)। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২৭তম হাফ সেঞ্চুরি করে ডুমিনির বলে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন রোহিত শর্মা (৬৫)।

দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে হারানোর পর খেলার হাল ধরেন কোহলি-ধোনি জুটি। তাদের জুটি বেশ দুঃশ্চিন্তায় ফেলে দেয় ভিলিয়ার্সদের। হাফ সেঞ্চুরির মাত্র তিন রান দূরে থেকে মরকেলের বলে ধোনি আউট হলে ভাঙে ৮০ রানের জুটি। ধোনির পর ক্রিজে নেমে স্কোর বোর্ডে কোনও রান না তুলেই বিদায় নেন সুরেশ রায়না। দলের এই চাপের মুহূর্তে একদিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন কোহলি। তবে ৭৭ রানে মরকেলের বলে কোহলি আউট হলে জয়ের সম্ভাবনা হারিয়ে ফেলে ভারত। অজিঙ্কা রাহানে পরের দিকে ব্যাটিংয়ে নামলেও সুবিধা করতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৪ রানে মরকেলের চতুর্থ শিকার হন তিনি।  এরপর অক্ষর প্যাটেল ও হরভজন ঝড়ো ইনিংস খেলার চেষ্টা করেও শেষরক্ষা করতে পারেননি।

দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ১০ ওভারে ২৯ রানের বিনিময়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট লাভ করেন মরনে মরকেল।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ২৭০ রান সংগ্রহ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

ম্যাচে শুরুতেই প্রোটিয়াদের চমক। ডি ককের সঙ্গে হাশিম আমলার পরিবর্তে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে নামেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলার। শুরুটা ভালোই করেন এই জুটি। প্রোটিয়ারা প্রথম উইকেট হারায় ১৩.৩ ওভারে। স্পিনার হরভজন সিংয়ের বলে রাহানের কাছে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন মিলার (৩৩)। মিলার ভালো করলেও তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আমলা। ১৫ বলে ৫ রান করে মিশ্রর বলে স্টাম্পিং হন তিনি।

এরপর দলকে এগিয়ে নিয়ে যায় ডি কক ও ডু প্লেসিসের জুটি। ভারতীয় বোলারদের বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে থাকেন এই জুটি। ৫২ বলে ৪টি চারের সুবাদে ক্যারিয়ারের ১৯তম হাফ সেঞ্চুরি করেন ডু প্লেসিস।

সময় বেশি ভালো যাচ্ছিলো না উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ডি ককের। তবে ‍আজকের ম্যাচে হাসলো তার ব্যাট। ১১৪ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি আসে ডি ককের। আর ভারতের বিপক্ষে এটি চতুর্থ সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে নিজেদের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে ভারতীয় বোলিংকে তুলোধুনো করে টানা তিনটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন এই ব্যাটসম্যান।

দলীয় ২০৫ রানে মোহিত শর্মার বলে ডু প্লেসিস (৬০) ফিরে গেলে ভাঙে ১১৮ রানের জুটি। সেঞ্চুরির বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি ডি ককও। ১০৩ রান করে রান আউট হন তিনি। এরপর ভারতীয় বোলাররা চেপে ধরে প্রোটিয়া ব্যাটসম্যানদের। ডি ককের আউট হওয়ার পরের ওভারেই ফিরে যান অধিনায়ক ডি ভিলিয়ার্স (৪)। এরপর বেহারদিয়েন-ডুমিনি জুটি করতে চাইলেও তা থিতু হতে দেয়নি মোহিত শর্মা। ডুমিনিকে তিনি ফেরান ১৪ রানে। শেষের দিকে বেহারদিয়েন ৩৬ বলে ৩৩ রানে অপরাজিত থাকলে দলীয় আড়াইশ পার করে প্রোটিয়ারা।

ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন মোহিত শর্মা।

মন্তব্য করুন


 

Link copied