আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

পাকিস্তান বা আফগানিস্তান থেকে বাংলাদেশ কি আলাদা?

সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৫, রাত ০৮:৫৩

মাসুদা ভাট্টি ।।

বাংলাদেশ  আবারও আক্রান্ত। প্রায় এক দশক ধরে অনেকেই এই কথাটি বলে বলে এখন ক্লান্ত। তারা এখন ভাবছেন যে, সত্যিকারের বাঘ এসে হানা যখন দিয়েছে তখন আসলে আর কিছুই আর করার নেই কারও। বিষয়টি আধা সত্য এবং আধা মিথ্যে।সেটা কীভাবে এবং কেন, তাই-ই বিস্তারিত আলোচনা করতে চাই আজ।

একেকটি ঘটনা ঘটে দেশে আর আমরা সকলে সেই নির্দিষ্ট বিষয়টি নিয়েই আলোচনায় মেতে উঠি। কিছুদিন পর নতুন ঘটনা ঘটলে পুরনোটি প্রাসঙ্গিকতা হারায়। এভাবেই চলে আসছে বাংলাদেশ গত কয়েক দশক ধরে। অথচ, বাংলাদেশের জাতীয় চরিত্র ও গতিপথ পরিবর্তনের জন্য অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সেই ১৯৭৫ সাল থেকেই ঘটে আসছে। সেগুলোকে নির্দিষ্টভাবে ব্যাখ্যা করে তা থেকে শিক্ষা গ্রহণের কোনও বাস্তব পথতো আমরা তৈরিই করিনি এবং আমরা এক অস্বীকারের সংস্কৃতির ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। এই অস্বীকারের সংস্কৃতি যেমন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার সময় ঘটেছে (কয়েকজন বিপথগামী সেনা কর্মকর্তা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে জাতিকে মুক্ত করা হয়েছে ইত্যাদি কুযুক্তি), যুদ্ধাপরাধ নিয়ে হচ্ছে (যেমন দেশে কোনও যুদ্ধাপরাধী নেই, সাকা চৌধুরী ৭১-এ পাকিস্তানে ছিল, কাদের মোল্লা কিংবা সাঈদী ৭১-এ শিশু ছিল ইত্যাদি ভয়ঙ্কর সত্যকে এড়ানোর অপচেষ্টা) এবং জঙ্গিবাদকে এড়িয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি (বাংলাদেশে কোনও জঙ্গি নেই, সব মিডিয়ার সৃষ্টি কিংবা বাংলাদেশ জঙ্গিবাদে বিশ্বাস করে না ইত্যাদি গালভরা বক্তব্য)।

ধরুন, শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব তাজিয়া মিছিলে বোমা বিস্ফোরণ এবং তাকে ঘিরে যে সকল আলোচনা গত দু’দিন ধরে লক্ষ্য করছি তাতে অনেকেই একথা বলার চেষ্টা করছেন যে, বাংলাদেশে এর আগে কখনও শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়নি, তাই এই ঘটনা কেবল অভিনবই নয়, বরং বাংলাদেশকে এক টানে পাকিস্তান, আফগানিস্তান বানিয়ে ফেলার চেষ্টা হিসেবে একে দেখা উচিত। মজার ব্যাপার হলো, কেউ কেউ এই ঘটনার জন্য ‘অগণতান্ত্রিক’ সরকারকে সরাসরি দায়ী করছেন। যেন গণতান্ত্রিক সরকারগুলোর দেশে দেশে (এমনকি পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশসমূহ) এমন ধর্মীয় সহিংসতা ঘটতে দেখা যায় না। জঙ্গিবাদের উত্থানের পেছনে যারা কেবল ‘গণতন্ত্রকে’ দেখেন তারা ভুলে যান যে, গণতন্ত্রের পীঠস্থান ব্রিটেনেও জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছে, আমেরিকায় কেবল জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেনি বরং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একক ভাবে দেশে দেশে জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে টিকিয়ে রেখেছে। মধ্যপ্রাচ্যের গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্রগুলোর কথা তারা ধর্তব্যেই আনেন না, অথচ সংযুক্ত আরব আমিরাত, জর্ডান কিংবা বাহরাইনের মতো রাষ্ট্রগুলোর গণতন্ত্রহীনতার ব্যাপারটি তারা চেপে যান কেন, সেও এক বিস্ময়। বাংলাদেশের প্রসঙ্গ আলোচনায় এদেরকে আলোচনায় স্থান দেওয়াটা যে জরুরি, সেকথাও তারা ভুলে যান। যাহোক, পাণ্ডিত্যের অবমাননা ঘটানো আমাদের জাতীয় ত্রুটিই হয়ে থাকবে হয়তো, নইলে একচক্ষু দানবের মতো সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে মূল সত্য থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়াটাকে আর কীভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব আমি জানি না। মূল সত্যটা তাহলে কি? সে ব্যাপারে একটু পরে কথা বলছি, কিন্তু তার আগে বলে নেওয়া ভালো যে, আমি যা বলবো সেটাই যে মূল সত্য সে দাবি করছি না, কিন্তু ঘটনার মৌলিকত্ব বিচারে এইসব প্রপঞ্চকেও স্থান দিতে হবে, নাহলে নানা ধরনের বিভ্রান্তির সুযোগ থেকেই যায়।

স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ নানা ধরনের ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে, এটা অস্বাভাবিক নয়, বিশেষ করে ৭০-এর দশক বা তারপর যে সকল দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে তাদের বেশিরভাগই এখনও পর্যন্ত নিজস্ব কোনও জাতীয় চরিত্র দাঁড় করাতে পারেনি। তাছাড়া বাংলাদেশের মতো দীর্ঘকাল ধরে ঔপনিবেশ (অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়) শাসনে থাকা দেশের ক্ষেত্রে রাতারাতি কোনও জাতীয় চরিত্র দাঁড় করিয়ে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামোকে গ্রহণ করবে, এমন আলাদিনের চেরাগ বোধ করি পৃথিবীর কোথাও দেখা যায়নি। আরও বড় বিষয় হলো, দারিদ্র্য ও জনসংখ্যার ভার এবং সেই তুলনায় সম্পদের অপ্রতুলতা, বাংলাদেশের পক্ষে কোমর সোজা করে দাঁড়ানোটা খুব সহজ কোনও সমীকরণ নয়। আমার একাধিক লেখায় আমি বার বার পাকিস্তানের তুলনা দিয়ে থাকি। কেউ স্বীকার করুন বা না করুন, পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের যতোই অমিল খোঁজার চেষ্টা করুন কেন, একথাতো সত্যি যে, ৪৭-এ দেশভাগের আগে ‘লড়কে লেঙ্গে পাকিস্তান’ আন্দোলনের অগ্রভাগে যাদের উপস্থিতি ছিল তারা কিন্তু বাঙালিই। পরবর্তীতে পাকিস্তানের সঙ্গে স্বার্থের টানাপড়েন না ঘটলে বাংলাদেশ আদৌ স্বাধীনতার পথে হাঁটতো কি না, কিংবা ভাষা-সংক্রান্ত জটিলতা বা বাংলাদেশকে নতুন ঔপনিবেশ বানানোর চেষ্টা না করলে পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার প্রয়োজনও ঘটতো কিনা তা নিয়ে ভবিষ্যতে হয়তো নতুন আলোচনা হতে পারে কিন্তু এই মুহূর্তে বলার কথা এটাই যে, পাকিস্তানের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক-কাঠামোগত বিন্যাসের সঙ্গে বাংলাদেশের এই সব ক্ষেত্রগুলোর পার্থক্য খুব সামান্যই। যতোই বাঙালি মুসলমানকে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক দাবি করার চেষ্টা করা হোক না কেন, পাকিস্তান যেমন ধর্মের কাছে এসে সবকিছু বিলিয়ে দিতে রাজি হয়ে যায় তেমনই বাংলাদেশেও এই পাকিস্তানপন্থীদের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। সুতরাং, আজকে পাকিস্তান যে পথে হাঁটছে বাংলাদেশ সেই পথ থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখবে, এমনটি যারা ভাবেন তারা হয়তো একটু বেশিই আশাবাদী, ব্যক্তিগত ভাবে আমি ততোটা আশাবাদী যে কেন হতে পারি না, হয়তো সেটা আমারই ব্যর্থতা।

পাকিস্তানের কথা বাদ দিই, মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ, এমন কোনো রাষ্ট্র কি এই মুহূর্তে আছে যেখানে আজকে বাংলাদেশ যে ধরনের সমস্যার মুখোমুখি সে ধরনের সমস্যা নেই? আরেকটু বাড়িয়ে বলতে গেলে, পাকিস্তান বা আফগানিস্তান যে অবস্থায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, একমাত্র মধ্যপ্রাচ্যের তেলসর্বস্ব রাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামো ছাড়া আর সব মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র কি ওই পথে ধাবমান নয়? সবকিছুকে দূরে রেখে আলোচনার জন্য কেবলমাত্র পশ্চিমা গণতন্ত্রবাদীদের চক্ষুশূলকেই যদি স্থান দেই তাহলেও লিবিয়া, ইরাক, সিরিয়া, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে পশ্চিম যে সব ঘটনা ঘটিয়ে তাদেরকে আজকের অবস্থানে টেনে এনেছে বাংলাদেশকে কোন বিবেচনায় তারা শান্তিময়, বহুত্ববাদী, সেক্যুলার রাষ্ট্রকাঠামো হিসেবে টিকে থাকার সুযোগ করে দেবে, কেউ কি এই প্রশ্নটা একবারও করে দেখেছেন? বাংলাদেশের শুরু থেকেই যদি আমরা হিসেব কষি তাহলে, প্রাথমিক ভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন পশ্চিমা উদার গণতন্ত্রের প্রথম শত্রু, তিনি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোয় প্রবেশ করার চিন্তা থেকে বাকশাল প্রণয়ন করতে চেয়ে কেবল ব্যর্থই হননি, সপরিবারে নিহত হয়েছেন। প্রতিবেশী ভারতের শক্তিশালী হয়ে ওঠার বিরোধী যেসব রাষ্ট্র তারা বাংলাদেশে শেখ মুজিবের দল আওয়ামী লীগকে কখনওই ক্ষমতায় দেখতে চাইবে না, সেটা বলাই বাহুল্য। সে কারণে বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী, ইসলামপছন্দ এবং উগ্রবাদী রাজনৈতিক দলকে ক্রমশঃ শক্তিশালী করার জন্য বিএনপি নামক একটি মধ্য-কট্টরপন্থী দলের প্রয়োজন ছিল, যাতে তাদের ছত্রছায়ায় উগ্রপন্থী ইসলামিক শক্তি ধীরে ধীরে বাংলাদেশে শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। কিন্তু সে গুড়ে একটু হলেও বালি ফেলতে সক্ষম হয়েছেন শেখ হাসিনা। উন্নয়নের কথা বলে মানুষকে তিনি কিছুটা পাশেও টানতে পেরেছেন। ফলে বাংলাদেশবিরোধী কিংবা বলা ভালো মুসলমান-সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রকে যারা উদার ও সেক্যুলার রাষ্ট্রের বিপরীত শিবিরে নিয়ে গিলে ফেলতে চান তারা মনে করছেন যে, এই বুঝি বাংলাদেশ তাদের হাতছাড়া হয়ে গেলো। শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে যেটুকু সফলতা অর্জন করেছে তা স্বীকার করার কার্পণ্য সর্বত্র লক্ষ্য করা যায়। একমাত্র ভারত ছাড়া এই স্বীকৃতি আর কেউ দিতে রাজি নয়। কিন্তু যারা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদকে শক্তিশালী করতে চান তাদেরতো আর কোনও অপশন থাকছে না, বিশেষ করে জামায়াত-বিএনপি’র চিহ্নিত জঙ্গিপন্থী রাজনীতিবিদদের যদি ফাঁসি হয়ে যায় তাহলে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদকে শক্তিশালী করাটা খুব যে সহজ হবে না, সেটা বোঝার জন্য খুব বেশি পান্ডিত্যের প্রয়োজন নেই। খুব সরলীকরণ হলেও, সমস্যার এই মৌলিক জায়গাটি চিহ্নিত হওয়া এবং তা নিয়ে আলোচনা হওয়াটা খুবই জরুরি বলে আমার মনে হয়, এর সঙ্গে সবাইকে যে একমত হতেই হবে, তার কোনও কারণ নেই।

পাকিস্তানে শিয়া মতাবলম্বীদের ওপর হামলার ঘটনা নতুন নয়। অখণ্ড পাকিস্তানের পশ্চিমে এই হামলা বিচ্ছিন্ন ভাবে ঘটলেও বিচ্ছিন্ন পাকিস্তানের মূল অংশে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এই হামলা ঘটেছে। বাংলাদেশ সেদিক দিয়ে অবশ্যই ভাগ্যবান যে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হামলা ঘটলেও শিয়া বা আহমদিয়াদের ওপর সেরকম কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এবারও যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা রাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রশ্রয় পাবে তা ভাববার কোনোই কারণ নেই, এখানে মৌলিক প্রশ্ন হলো, দেশের ভেতর উগ্র সহিংসতা ঘটিয়ে বা প্রশ্রয় দিয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের কী লাভ? বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে এই উগ্রবাদকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়েছিল যে কারণে তা খানিকটা ওপরে ব্যাখ্যা করেছি কিন্তু সেই একই কারণে বর্তমান সরকারের আমলে জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেওয়ার কোনও যুক্তি নেই। এর পেছনে যারা রাজনৈতিক ফায়দা লাভের যুক্তি দেন তারা নিজেতো বিভ্রান্ত বটেই, অন্যকেও তারা এই বিভ্রান্তিতে টেনে আনার চেষ্টা করেন বলে মনে করি।

শেষ করি ওই পুরোনো প্রসঙ্গ দিয়েই, সেটা হলো, বাংলাদেশকে যদি পাকিস্তান বা আফগানিস্তান হিসেবে আমরা দেখতে না চাই তাহলে আমাদেরকে এসব দেশের সমাজব্যবস্থা, উগ্র ধর্মবিশ্বাস এবং রাজনীতির ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ধর্মীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা মানেই যে ক্ষুদ্রকে আক্রমণ করতে হবে সেটা মধ্যযুগের ধর্মবিস্তারকারীদের কাছে যৌক্তিক মনে হতে পারে কিন্তু এই অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে সে চিন্তা অচল। দুঃখজনক ভাবে সত্যি হলো, বাংলাদেশে এই মধ্যযুগীয় চিন্তাধারার বিস্তার অত্যন্ত স্পষ্ট, ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব দ্বারা আক্রান্ত এই মানসিকতার বদলটাই এই মুহূর্তে বেশি জরুর, সরকারকে গালি দেওয়ার আগে তাই নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত যে, বাংলাদেশকে আমরা কেমন ভাবে দেখতে চাই? পাকিস্তান হিসেবে? আফগানিস্তান হিসেবে? নাকি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে? এই প্রশ্নের উত্তরের মধ্যেই আমাদের বর্তমান সমস্যার সমাধান নিহিত।

masuda.bhatti@gmail.com

মন্তব্য করুন


 

Link copied