আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: লালমনিরহাটে মোবাইল ফোনে কথা বলছিল, হঠাৎ পিছন থেকে ট্রেনের ধাক্কায় কাটা পড়লেন যুবক       ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের ২ দিন পরে ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার       ছুটি বাড়ল সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে       ডিমলা উপজেলা নির্বাচন॥ এমপির ভাই, ভাতিজা ও ভাতিজি বউ প্রার্থী-তৃণমূলে ক্ষোভ       কিশোরী গৃহকর্মীকে খুন্তির ছ্যাকা; রংপুর মেডিকেলে মৃত্যু যন্ত্রণায় পাঞ্জা লড়ছে নাজিরা      

 width=
 

বিলুপ্ত ছিটমহলের ৪৮৭ জনের ভারত গমনের প্রস্তুতি

বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৫, বিকাল ০৭:৩২

ইনজামাম-উল-হক  নির্ণয়,নীলফামারী ২৯ অক্টোবর॥ চিলাহাটি-হলদিবাড়ি চেকপোষ্টের মাধ্যমে বিলুপ্ত ছিটমহলের ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহনকারী ৪৮৭ জনের ভারতগমনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ওই সব সদস্যদের আগামী নবেম্বর মাসে চার দফায় ভারত গমনের দিন নির্ধারন করা হয়। আর এ জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে তাদের সুষ্ঠভাবে ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করার জন্য এক প্রস্তুতি সভা বৃহস্পতিবার সকালে নীলফামারীর চিলাহাটির ডাঙ্গাপাড়া সীমান্তে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নীলফামারীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হাসান, ডোমার উপজেলার ইউএনও সাবিহা সুলতানা, পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্চ উপজেলার ইউএনও শফিকুল ইসলাম ,নীলফামারী এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হক মাহমুদ, চিলাহাটি সীমান্ত চেকপোষ্টের কাষ্টমস বিভাগের সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা ময়নুল ইসলাম, ডোমার উপজেলা হাসপাতালের প্রধান ডাঃ হিরম্ব কুমার রায়, ডোমার থানার ওসি মোজাম্মেল হোসেন এবং বিজিবির ডাঙ্গাপাড়া ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। সভা শেষে কর্মকর্তাগন সীমান্তের তৈরী করা মাটির সড়কটি পরিদর্শন। প্রস্তুতি সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানা গেছে জনগণনায় পঞ্চগড় জেলার সদ্য বিলুপ্ত ভারতীয় ৩৬টি ছিটমহলের মধ্যে ১১টির ৯৯ পরিবারের ৪৮৭জন সদস্য তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব বহাল রেখেছেন। তাদের আগামী নবেম্বর মাসে চার দফায় ভারতে প্রেরন করা হবে। এর মধ্যে প্রথম দফায় ৯ নবেম্বর সকাল ১১টায় ভারত যাবে ১৬টি পরিবার। ১৮ নবেম্বর দ্বিতীয় দফায় যাবে ৩১ পরিবার। ২৩ নবেম্বর তৃতীয় দফায় ভারত যাবে ২৯ পরিবার। চতুর্থ বা শেষ দফায় ভারত যাবে ২৩ পরিবার। প্রসঙ্গতঃ চলতি বছরের ৩১ জুলাই মধ্য রাতে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে থাকা ভারতীয় ১১১টি ও ভারতের অভ্যান্তরে থাকা বাংলাদেশের ৫১ সহ ১৬২টি ছিটমহল বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়েছিল। এর আগে উভয় দেশের এসব ছিটমহলে বসবাসরত বাসিন্দাদের জনগণনা সম্পন্ন করা হয়। সে সময় দেশ বেছে নেয়ার নির্ধারিত ফরমে বাংলাদেশের অভ্যান্তরে ভারতীয় ওই সব ছিটমহলের পঞ্চগড়ের ৯৯ পরিবারের ৪৮৭ জন সদস্য তাদের ভারতীয় নাগরিকত্ব বহাল রেখে ভারগমনের মত দেয়। সেই সুত্র ধরে তাদের বাংলাদেশ থেকে ভারত গমনের ব্যবস্থা গ্রহনে ওই সব প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied