আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

প্রধান শিক্ষকের কারনে !

শুক্রবার, ২০ নভেম্বর ২০১৫, বিকাল ০৫:৫২

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ স্কুলের জমির মালিকের ছেলেকে বোকা বানাতে গিয়ে এবার ফাঁদে পড়েছেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার কাজীগছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিতে বিদ্যোৎসাহী পদে স্কুলের জমির মালিকের ছেলে নজরুল ইসলামের নাম না রেখে  কুট বৃদ্ধি চালিয়ে অপর একজনকে সেখানে অর্ন্তভুক্ত করেছে ওই প্রধান শিক্ষক। ফলে সেই ক্ষোভে স্কুলের মাঠে বাঁশের কঞ্চির বেড়া দিয়ে ঘিরে দিয়েছেন ওই জমির মালিকের ছেলে। ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহে প্রধান শিক্ষক উঠে পড়ে লেগেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের কারনে এমনটি হয়েছে। নজরুল ইসলাম জানান, স্কুলমাঠের জায়গায় তাদের পারিবারিক ৭৫ শতক জমি রয়েছে। এর থেকে তার বাবা ফজর আলী স্কুলের জন্য ৫০ শতক জমি দিয়েছেন। বাকিটা পৈত্রিক সূত্রে তিনি পাবেন। তাই বেড়া দিয়ে তার জায়গা ঘিরে দিয়েছেন।তিনি অভিযোগ করেন, কমিটির নির্বাচনে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। সে সময় প্রধান শিক্ষক তাকে বলেন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিতে। কারন নির্বাচন ছাড়াই তাকে ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য করার আশ্বাস দেন প্রধান শিক্ষক। তাই তিনি প্রধান শিক্ষকের কথা বিশ্বাস করে তার মনোনয়নপ্রত্র প্রত্যাহার করেন। তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলে অন্যরা বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হয়ে যায়। যখন বিনা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করা হয় তখন তিনি বুঝতে পারেন প্রধান শিক্ষক তাকে বোকা বানিয়েছেন। তাই তিনি প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করে তার পিতার জমির অংশ গত ১২ নভেম্বর থেকে বাঁশের কঞ্চি দিয়ে ঘেরাও করে নিয়েছেন। তিনি বলেন তাকে কমিটিতে রাখলে ওই বাঁশের কঞ্চির বেড়া সরিয়ে নেবেন। অপর দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক রফিকুল ইসলাম জানান, ১৯৯০ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি রেজিস্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে থাকার পর ২০১৩ সালে সারাদেশে ২৬ হাজার বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি ঘোষণার সঙ্গে এ স্কুলটিও সরকারিকরণ হয়।স্কুল প্রতিষ্ঠার সময় স্থানীয় বাসিন্দা ফজর আলী ৫০ শতক জমি দান করেন। বিনিময়ে তার বড় ছেলে জয়নাল আবেদিনকে সহকারী শিক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।প্রধান শিক জানান, গত ১৯ আগস্ট স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। তফসিল অনুযায়ী ৩১ আগস্ট জমিদাতা ফজর আলীর ছোট ছেলে নজরুল ইসলামসহ ৫ জন অভিভাবক মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরে ৩ সেপ্টেম্বর নজরুল ইসলাম তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলে অন্যরা সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হন। বর্তমানে ১১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ ম্যানেজিং কমিটি গঠন শেষে সভাপতি ও সহ সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলছে।কিন্তু হঠাৎ করে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা নজরুল ইসলাম তাকে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে অর্ন্তভুক্ত করার দাবি জানান। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ কমিটি নির্দিষ্ট হয়ে যাওয়ায় তাকে নেওয়া সম্ভব হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে নজরুল ইসলাম স্কুলমাঠে বেড়া দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেন।তিনি আরো জানান, বিষয়টি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, তেঁতুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে (ডিইপিও) জানানো হয়েছে। এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রধান শিক্ষক ভাল নন। তার কারনে আজ এমন হচ্ছে। সে নজরুল কে বোকা বানাতে গিয়ে নিজেই এখন ধরা পড়ে গেছে। যা কিছু প্রধান শিক্ষকের চালাকি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দীক মোহাম্মদ ইউসুফ রেজা জানান, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied