দুই দেশের মধ্যে চলাচলকারী যাত্রী সংখ্যা আশানুরুপ হওয়ার সম্ভাবনাকে সামনে রেখে ২০০৮ সালের ৩ এপ্রিলের পরে ঈশ্বরদী স্টেশন থেকে যাত্রী উঠা নামার প্রাথমিক পর্যায়ের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।
পরে দুইদেশের রেলওয়ের একাধিক বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। এসব বৈঠকে ইমিগ্রেশনসহ নানা সুযোগ সুবিধার বিষয়ে আলোচনায় স্থান পায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ স্টেশন থেকে যাত্রী উঠা নামার ব্যবস্থা করনে চুড়ান্ত কোনো পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। এ কারনে রেলের রাজস্ব আয়ও কম হচ্ছে।
বর্তমান সরকারের উদ্যোগে ২০০৮ সালের ৩রা এপ্রিল দুইদেশের মধ্যে চালু করা হয় মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল। ট্রেনটি ৩২৬ টি আসন নিয়ে ঢাকা-ঈশ্বরদী-বেনাপোল ও কোলকাতার মধ্যে চলাচল শুরু করে।
এতে করে ঈশ্বরদী, পাবনা, নাটোর, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের কোনো লাভ হয়নি।
রেলের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র মতে, ঈশ্বরদী স্টেশন থেকে মৈত্রী ট্রেনে যাত্রী উঠা নামার ব্যবস্থা করা হলে প্রতিদিন ৩২৬টিরও বেশি যাত্রী ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে চলাচল করার সম্ভাবনা রয়েছে। ট্রেনটিতে শুধু মাত্র ঢাকা থেকে যাত্রী উঠা নামার ব্যবস্থা থাকায় একদিকে যেমন উত্তরাঞ্চলের মানুষ বঞ্চিত হচ্ছে। অন্যদিকে রেল কর্তৃপক্ষও প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের শতশত যাত্রীদের এই ট্রেনে যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টির দাবীতে গত ২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ঈশ্বরদীস্থ নাগরিক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে রেলমন্ত্রনালয় বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
ঢাকা- কোলকাতা -ঈশ্বরদী- বেনাপোল হয়ে চলাচলরত মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঈশ্বরদীতে পানি ও তেল নেওয়ার সুযোগ থাকলেও যাত্রী উঠার কোন সুযোগ নেই। ফলে এ অঞ্চলের যাত্রীরা বাড়তি অর্থ খরচ করে ভিন্ন রুটে বাস বা অন্য কোন মাধ্যমে কোলকাতায় যাতায়াত করছে।
ঈশ্বরদী স্টেশন থেকে মৈত্রী ট্রেনে যাত্রী উঠা নামার ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আফজাল হোসেন বলেন, ‘রেল কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার অভাব নেই। শুধু মাত্র কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কাজ করতে না পারায় কর্তৃপক্ষও যাত্রী উঠা নামার ব্যবস্থা করতে পারছে না।