আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীসহ ৮ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি

সোমবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৫, দুপুর ০৪:৩৮

আনসার আল ইসলাম (আল-কায়দা ভারতীয় উপমহাদেশ) নামের সংগঠনটির প্যাডে এ হত্যার হুমকি দেয়া হয়। চিঠিতে রাজশাহীর বহুল প্রচারিত দৈনিক সানশাইনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ইউনুস আলীকেও ওই ৮ জনের তালিকায় রাখা হয়েছে।

একই ধরনের চিঠির অনুলিপি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এপিএস সিরাজুল ইসলাম।

সোমবার সকালে চিঠিটি সানশাইন পত্রিকার কার্যালয়ে এসে পৌঁছে। যাদের হত্যা করা হবে বলে চিঠিতে নাম প্রকাশ করা হয়েছে তারা হলেন- রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি ইকবাল বাহার, রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হায়াত ও রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।

চিঠিতে যা লেখা হয়েছে: 

আমাদের বাংলাদেশ শাখার উপশাখা রাজশাহী অঞ্চলে আমাদের কার্যক্রম আমরা শুরু করেছি, তারই ধারাবাহিকতায় আমরা রাজশাহী অঞ্চলে আল্লাহ, রাসূল ও মুসলমানের নিকৃষ্টতম দুশমনদের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করেছি। আল্লাহ ও রাসূলের দ্বীন প্রতিষ্ঠায় এদের প্রত্যেককে হত্যা করা হবে। এরপরে ৮ বিশিষ্ট ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়।

শেষে মূল কথায় চিঠিতে উল্লেখ করা হয়:

আল্লাহ ও রাসূলের দ্বীনের বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছেন এবং আল্লাহ নয়, অন্য কারো কাছে নত স্বীকার করেছে তারা আমাদের টার্গেট। সাধারণ কোনো মুসলমান আমাদের টার্গেট নয়।

সংক্ষিপ্ত তালিকায় অনেকের নাম আসেনি, তাই বলে ইসলামের দুশমনরা ছাড় পাবেন এমন না। আল্লাহর মুজাহিদগণ আল্লাহ ও রাসূলের দ্বীন প্রতিষ্ঠায় বাধা দানকারী, কটাক্ষকারী সবাইকে শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করবেন।

আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুণ। আমরা শুধু আল্লাহরই ইবাদত করি এবং তারই সাহায্য চাই। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক মুহম্মদ এর উপর।

চিঠির নিচে আনসার আল ইসলাম (আল-কায়দা ভারতীয় উপমহাদেশ) প্রধান হিসেবে মুফতি আবদুল্লাহ আশরাফ ও রাজশাহী অঞ্চলের স্থানীয় প্রধান নির্দেশক হিসেবে রাজশাহী কলেজের শিক্ষক অধ্যাপক হবিবুর রহমানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও চিঠির খামে প্রেরক হিসেবে অধ্যাপক আবু সিদ্দিকের নাম ব্যবহার করা হয়েছে।

তবে, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইডি ইকবাল বাহার জানান, এ ধরনের কোনো চিঠি তার কাছে এসে পৌঁছায়নি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied