বৃহস্পতিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০১৫, দুপুর ০১:০১
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে হানাদার মুক্ত হয় এ জেলা। বৃহস্পতিবার(৩ ডিসেম্বর)সকাল ১০টায় সাধারণ পাঠাগার চত্বরে কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আকবর হোসেন। পরে বের হবে মুক্তির শোভাযাত্রা, বিকেলে শহীদ মিনারে মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শনী, কবিতা আবৃত্তি ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সংরক্ষণে পাঠ্যবইয়ে অর্ন্তভুক্ত করার দবি জানিয়ে এ প্রজন্মের শিক্ষার্থী ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকরা বলেন, দ্রুত স্থানীয় যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। ঠাকুরগাঁওয়ের আবুল হোসেন সরকার মহাবিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী বৃষ্টি, শাহানাজ ও আরিফ বলেন, ৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও মুক্ত দিবস কিনা জানি না। জেলার মুক্ত দিবস, গণহত্যাসহ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ্যবইয়ে অর্ন্তভুক্ত করলে নতুন প্রজন্ম জানতে পারতো। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সাবেক পৌর মেয়র আকবর হোসেন জানান, জেলায় জেলায় যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক। সেই সময়ে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা করেছে ভুল্লী এলাকার চৌধুরী পরিবারের কেউ কেউ এখনো বেঁচে আছে। তাদের বিচারের কাঠগড়ায় তুলে বিচার করে জাতিকে কলংক মুক্ত করা হোক। পাশপাশি জেলা ভিত্তিক ইতিহাস লিপিবদ্ধ করলে পরবর্তীতে বিকৃত হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। ঠাকুরগাঁও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার জীতেন্দ্রনাথ রায় জেলার যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে বলেন, সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও রায় কার্যকর করে জাতিকে কলংমুক্ত করবে। পাশাপাশি স্থানীয় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবি করছি। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কাছে তুলে ধরতে এ ধরনের দিবসগুলো পালনে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
মন্তব্য করুন
টপ নিউজ’র আরো খবর
সংশ্লিষ্ট
ভারত থেকে ৩ দিনের মধ্যে পেঁয়াজ আসবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করল ভারত
মালিকপক্ষকে জলদস্যুদের ফোন, যে কথা হলো
কমলো সোনার দাম