এ বিষয়ে দায়ের করা এক আবেদনের শুনানী করে বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
আজ আদালতে মোকাদ্দেস আলীর পক্ষে শুনানী করেন অ্যাডভোকেট প্রবীর নিয়োগী, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার শাহাদাত আলম। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
জানতে চাইলে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোকাদ্দেস আলীকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করেছে আদালত। তিনি বলেন আজ আদালত এ আদেশ দিয়েছেন, ছয়মাসের জন্য মেয়রের বরখাস্তের আদেশ স্থগিতা করেছেন আদালত। এদিকে মোকাদ্দেস আলীর আইনজীবী ব্যারিস্টার শাহাদাত আলম বলেন, গতকাল সোমবার আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্চ করে আমরা রিট আবেদনটি দায়ের করি। সে রিটের শুনানী করে আজ আদালত এ আদেশ দেন।
তিনি বলেন, মেবি ছয় মাসের জন্য এ আদেশ দিয়েছেন আদালত। চলতি বছরের ৭ আগস্ট স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. খলিলুর রহমান স্বাক্ষরিত এই বরখাস্তের আদেশ সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. বিল্লাল হোসেনের কাছে পাঠানো হয়।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, সহকারী সচিব, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক, পৌর সচিবসহ সংশ্লিস্টদেরকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ার পর প্যানেল মেয়র-২ সেলিম আহম্মেদকে পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেন জেলা প্রশাসক।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ১১ অক্টোবর সিরাজগঞ্জ বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিমপাড় মূলিবাড়িতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সমাবেশস্থলে ট্রেন পোড়ানোর মামলাসহ ছয় মামলায় অভিযুক্ত হয়ে পলাতক ছিলেন মোকাদ্দেস আলী। মোকাদ্দেস আলী এবারের পৌর নির্বাচনেও মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।