গাগার দাবি, ধর্ষণের পর বেশ কয়েক বছর কারো সঙ্গে সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করতে পারেননি তিনি। বলতে পারেননি তার উপর কী নারকীয় অত্যাচার হয়েছে।
বছর সাতেক লাগে একটু একটু করে শক্তি সঞ্চয় করে প্রথম এ বিষয় মুখ খুলতে। গত বছরে দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে এই গায়িকা জানান, সেই যন্ত্রণার হাত থেকে মুক্তি পাওয়া একেবারেই সহজ ছিল না।
তার ভাষায়, 'জানতাম না কীভাবে এই ঘটনা ভুলে থাকতে হয়। আবার এই ঘটনাকে স্বাভাবিক ভাবে মেনেও নিতে পারতাম না। আমি তো এটাও জানতাম না যে এই ঘটনার জন্য নিজেকে দায়ী করা ঠিক নয়।'
তিনি বলেন, 'যাহোক এটা এমন একটা কিছু যা আমার জীবন বদলে দিয়েছে। এটা আমার শরীরে পরিবর্তন এনেছে, চিন্তায় পরিবর্তন এনেছে।'
এটা কিভারে শারীরিক পরিবর্তন এনেছে এমন প্রশ্নের জবাবে গাগা বলেন, 'আপনি যখন এ ধরনের ভীতিকর অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যাবেন, তখন এটা শরীরেও প্রভাব ফেলে।'
২৯ বছর বয়সী এই গায়িকা তখন নাকি মনে করতেন, ধর্ষণ একটা পাপ। সেই পাপের জন্য তিনিই নিজেই দায়ী। উত্তেজক পোশাক পরার জন্যই নাকি এই ঘটনা। তাই নিজেকে দায়ী করতে শুরু করেন তিনি।
কিন্তু শারীরিক এবং মানসিক যন্ত্রণা তাকে পুরোটা কাবু করতে পারেনি। যন্ত্রণাকে তিনি নিজের শক্তিতে বদলে ফেলেন। শুধু নিজেকে বদলে ফেলাই নয়, তার মতো আরও অনেকে যারা নানা সময় শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচারের শিকার হয়েছেন তাদেরও মুক্তির পথ দেখিয়েছেন লেডি গাগা।
গাগা বলেন, 'অনেক সময় দেখেছি অনেকে নিজের অত্যাচারের কথা নিজের মনের মধ্যেই রেখে দেন। গুমড়ে গুমড়ে মরতে থাকেন। এটা ঠিক নয়। পচা ফলের মতো কোন যন্ত্রণা নিজের মধ্যে না রেখে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে মাথা উঁচু করে বাঁচা উচিত।
তবে কোথায়, কখন কার দ্বারা তিনি ধর্ষিত হয়েছিলেন তা অবশ্য খোলসা করে কিছু বলেননি লেডি গাগা। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস