মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসভার থানাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম শাহানাজ বেগম ওরফে শেলি। তিনি পৌরসভার এক দুই ও তিন নং সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর এবং চলতি পৌরসভা নির্বাচনেও নারী কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রিন্স নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি ওয়ার্ডে গিয়ে কথা হয় শাহানাজ বেগমের সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে অভিযোগ করে বলেন, তিনি রেজিয়া সুলতানা, আমেনা বেগম, পারভীন বেগমসহ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর কাচি মার্কায় ভোট প্রার্থনা করতে ওই গ্রামে যান। এ সময় তিনি ছবি রানীর বাড়িতে গেলে ছবি রানী তাঁকে দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে তাঁকে মারার জন্য ঝাড়ু নিয়ে তেড়ে আসেন। তিনি এর প্রতিবাদ করে পাশের আতিয়ার রহমানের বাড়তে যান। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার সময় ছবি রানীর ছেলে সুমন রায় তিন-চারজনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালায়। এ সময় সুমন মিয়া তাঁর গলা চেপে ধরে কিলঘুষি মারেন।
শাহানাজের সঙ্গে থাকা রেজিয়া সুলতানা বলেন, তাঁকে (শাহানাজ) অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে কিলঘুষি মারেন সুমন। এ সময় ভয়ে আমরা একজনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেই।
শাহানাজের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে শায়লা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমার মা এলাকায় জনপ্রিয় কাউন্সিলর প্রার্থী। তিনি জনগনের ভোটে টানা তিনবার নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তাকে ঘায়েল করতে এমন হামলা চালানো হয়েছে। আমি মায়ের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
ছবি রানীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গতবার শাহানাজ ভোট নিয়ে গেছেন, আর এলাকায় আসেননি। এ নিয়ে তার কথা কথাকাটাকাটি হয়েছে। আমার ছেলে তাকে মারধর করেনি। তবে সুমনকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।
বদরগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, এ ঘটনায় এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে আটক করা হয়েছে।